রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

অন্যান্য

ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ কর্মসূচির ঘোষণা

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে একের পর এক ঘটে যাওয়া ধর্ষণ, চুরি, ডাকাতি এবং ছিনতাইয়ের ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কা তীব্র হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং অপরাধীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এক প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন। এই কর্মসূচি আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি, দুপুর ১১:০০ […]

প্রতিনিধি ডেস্ক

২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:১০

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে একের পর এক ঘটে যাওয়া ধর্ষণ, চুরি, ডাকাতি এবং ছিনতাইয়ের ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কা তীব্র হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং অপরাধীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এক প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন।

এই কর্মসূচি আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি, দুপুর ১১:০০ টায় ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটে অনুষ্ঠিত হবে।

আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীরা “অপরাধীদের রেহাই নয়, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই!” এই শ্লোগান ধারণ করে দেশব্যাপী অপরাধের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন। তাদের মতে, সাম্প্রতিক অপরাধের ঘটনায় অপরাধীদের শাস্তি না হওয়ায় সমাজে অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে এবং সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

একজন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী বলেন, “এটা আমাদের দেশের ভবিষ্যতের প্রশ্ন। আমরা চুপ করে থাকতে পারি না। দেশের প্রত্যেক নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব, এবং আমরা চাই অপরাধীরা দ্রুততম সময়ে কঠোর শাস্তি পাক।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এই প্রতিবাদ কর্মসূচি সাধারণ মানুষের মধ্যেও ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। তারা আশা করছেন, এই আন্দোলনের মাধ্যমে প্রশাসন অপরাধ দমনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে আরও সচেতন হবে এবং দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।

এই প্রতিবাদ কর্মসূচি কতটা প্রভাব ফেলবে এবং প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া কেমন হবে, তা সময়ই বলে দেবে। তবে শিক্ষার্থীদের এই উদ্যোগ সমাজে অপরাধবিরোধী মনোভাব তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

অন্যান্য

শবেকদরের রোজা ভাঙিয়ে কয়েদির স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ র‌্যাব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

তৎকালীন র‌্যাব কর্মকর্তা আলেপ উদ্দিনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে, যেখানে দাবি করা হচ্ছে যে, তিনি এক আসামির স্ত্রীকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেছিলেন। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে তার স্ত্রীকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করেন। এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে আসার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। বিষয়টি নিয়ে সোমবার […]

শবেকদরের রোজা ভাঙিয়ে কয়েদির স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ র‌্যাব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৩:৫৭

তৎকালীন র‌্যাব কর্মকর্তা আলেপ উদ্দিনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে, যেখানে দাবি করা হচ্ছে যে, তিনি এক আসামির স্ত্রীকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেছিলেন। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে তার স্ত্রীকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করেন।

এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে আসার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। বিষয়টি নিয়ে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমও একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন, যা নতুন করে আলোচনা সৃষ্টি করেছে।

আলজাজিরার সাংবাদিক মউদুদ সুজন ফেসবুকে এ ঘটনা নিয়ে একটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি লেখেন, গুম হওয়া এক ব্যক্তির দাবি, পবিত্র শবেকদরের রাতে তার স্ত্রীকে রোজা ভাঙিয়ে ধর্ষণ করা হয়। ওই ব্যক্তি আরও জানান, এর আগেও তিনবার তার স্ত্রীকে একইভাবে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল, যেখানে প্রতিবারই তাকে স্বামীর জীবন নিয়ে ভয় দেখানো হয়েছিল।

পোস্টে আরও বলা হয়েছে, শেষবার ধর্ষণের পর ওই নারীর মানসিক অবস্থার মারাত্মক অবনতি ঘটে এবং কিছুদিন পর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এই অভিযোগ সামনে আসার পর মানবাধিকার সংগঠনগুলো এর যথাযথ তদন্ত ও বিচার দাবি করেছে।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বশীলতার প্রশ্নও নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছে। অনেকে দাবি করছেন, রাষ্ট্রীয় বাহিনীর সদস্যদের এই ধরনের কর্মকাণ্ড কেবল মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়, বরং এটি একটি গুরুতর অপরাধ, যার দ্রুত বিচার হওয়া প্রয়োজন।

এখন দেখার বিষয়, অন্তর্বর্তী সরকার এই ঘটনার তদন্তে কী ধরনের ব্যবস্থা নেয় এবং দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে কতটা কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

সেই পোস্টে উল্লেখ করা হয়, ধর্ষক র‍্যাবের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, নাম আলেপ। স্বামী সবকিছু হারিয়ে যখন আলেপকে বারংবার ফোন দিতে থাকে আলেপ রিপ্লাইয়ে জানান, বন্দি মেয়ে বা বন্দি পুরুষদের স্ত্রীদের সঙ্গে এমন আচরণ এখানে অলিখিতভাবে স্বীকৃত।

সেখানে উল্লেখ করা হয়, মানুষ কতটা নীচুতে নামলে নিজের মা/স্ত্রী/মেয়ে থাকা সত্ত্বেও একজন বন্দির স্ত্রীকে এমনভাবে ট্রিট করে! এই র‍্যাব কর্মকর্তা আলেপের বিচার সবার আগে হওয়া উচিত।

এ নিয়ে ফেসবুক পোস্ট করেছেন আলজাজিরার সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়েরও। ৫ আগস্ট ২০২৪ পরবর্তী পরিস্থিতিতে এই আলেপ বেশ বহাল তবিয়তেই দিন কাটাচ্ছিল, এসবি থেকে বদলি হয় রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশে। পরে ২০ অক্টোবর ২০২৪ তার একটি পোস্টের পর যেন কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে, আলেপকে বরিশাল পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয় এবং পরে সেখান থেকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

এই আলেপের মতো খুনি, অপহরণকারী এবং জঘন্য সব কর্মকাণ্ডে লিপ্ত অনেকেই বিভিন্ন বাহিনীতে এখনো কর্মরত রয়েছে। তাদের চিহ্নিত করে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলেও মন্তব্য করেন সায়ের।

শিক্ষাঙ্গন

ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি সমাজবিজ্ঞান ক্লাবের উদ্যোগে রিকশাচালকদের ট্রাফিক নিয়ম সচেতনতা বৃদ্ধি

মোঃ ফকরুল আকন (ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি প্রতিনিধি): ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সমাজবিজ্ঞান ক্লাব আফতাবনগর ও রামপুরা ব্রিজ এলাকায় রিকশাচালকদের মধ্যে ট্রাফিক নিয়ম সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিশেষ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। ক্লাবের সদস্যরা রিকশাচালকদের সঠিক ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলার গুরুত্ব বোঝানোর পাশাপাশি, যানজট কমাতে ও দুর্ঘটনা এড়াতে কীভাবে আরও শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে চলাচল করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করেছেন। […]

নিউজ ডেস্ক

১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০০:২৫

মোঃ ফকরুল আকন (ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি প্রতিনিধি):

ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সমাজবিজ্ঞান ক্লাব আফতাবনগর ও রামপুরা ব্রিজ এলাকায় রিকশাচালকদের মধ্যে ট্রাফিক নিয়ম সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিশেষ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।

ক্লাবের সদস্যরা রিকশাচালকদের সঠিক ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলার গুরুত্ব বোঝানোর পাশাপাশি, যানজট কমাতে ও দুর্ঘটনা এড়াতে কীভাবে আরও শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে চলাচল করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করেছেন।

এছাড়া, ক্লাবের পক্ষ থেকে রিকশাচালকদের জন্য সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে এই উদ্যোগ চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে ক্লাব।

অন্যান্য

ফিরে আসতে পারে ‘স্বৈরশাসনের যুগ’

স্বৈরশাসকদের যুগ ফিরে আসতে পারে বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান ভলকার টার্ক। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের বার্ষিক অধিবেশনের উদ্বোধনী ভাষণে তিনি এ সতর্ক করেন। খবর এএফপির। টার্ক বলেন, বিশ্ব এখন খুবই বিপজ্জনক এক অবস্থার মধ্যে রয়েছে, যেখানে স্বৈরাচারীরা কর্তৃত্ব বিস্তার করছে। বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার দমন করা হচ্ছে। তিনি এ বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো […]

নিউজ ডেস্ক

২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২১:৩৭

স্বৈরশাসকদের যুগ ফিরে আসতে পারে বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান ভলকার টার্ক। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের বার্ষিক অধিবেশনের উদ্বোধনী ভাষণে তিনি এ সতর্ক করেন। খবর এএফপির।

টার্ক বলেন, বিশ্ব এখন খুবই বিপজ্জনক এক অবস্থার মধ্যে রয়েছে, যেখানে স্বৈরাচারীরা কর্তৃত্ব বিস্তার করছে। বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার দমন করা হচ্ছে।

তিনি এ বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো দেশের নাম উল্লেখ করেননি। তবে বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিবর্তন ও চীনের প্রভাব বিস্তারের সঙ্গে তার মন্তব্য সম্পর্কিত বলে মনে করা হচ্ছে।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, একটির পর একটি মানবাধিকার খর্ব করা হচ্ছে, কারণ শাসকরা জনগণের ক্ষমতায়নকে ভয় পায়।

তিনি আরও বলেন, যুদ্ধ পরিচালনাকারী সরকারগুলো আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদকে অগ্রাহ্য করছে, যার ফলে সাধারণ মানুষ তাদের খাদ্য, পানি ও শিক্ষার অধিকার হারাচ্ছে।

ভলকার টার্ক জানান, বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার রক্ষার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা এখন সংকুচিত। স্বৈরশাসক ও ক্ষমতাধর ব্যক্তিরা এই ভিত্তি দুর্বল করে দিচ্ছে।

বর্তমানে একনায়কতান্ত্রিক সরকারগুলো বিশ্বের মোট অর্থনীতির এক-তৃতীয়াংশ নিয়ন্ত্রণ করছে, যা ৩০ বছর আগের তুলনায় দ্বিগুণ।

মানবাধিকার ও আইনের শাসন যেন ব্যক্তি, সমাজ ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মূল ভিত্তি থাকে, সে জন্য সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।