রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

অন্যান্য

কুড়িগ্রামে চর মন্ত্রনালয় চেয়ে, অর্ধকোটি মানুষের দাবী

জুয়েল রানা, রৌমারী প্রতিনিধি: কুড়িগ্রাম চর উন্নয়ন কমিটি কুুড়িগ্রাম জেলা শাখার আহ্বায়ক শিক্ষাবিদ ও সাংবাদিক অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম বেবু ও সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম রুবেল কতৃক রৌমারী উপজেলা চর উন্নয়ন কমিটির আংশিক আহবায়ক কমিটি দেওয়া হয়। ইমান আলী ইমনকে আহবায়ক কমিটির প্রধান মাস্তাফিজুর রহমান তারাকে সদস্য সচিব ও যুগ আহবায়ক হিসাবে মঞ্জুরুল ইসলাম ,আবুল কালাম আজাদ, […]

প্রতিনিধি ডেস্ক

১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৭:৩৪

জুয়েল রানা, রৌমারী প্রতিনিধি:

কুড়িগ্রাম চর উন্নয়ন কমিটি কুুড়িগ্রাম জেলা শাখার আহ্বায়ক শিক্ষাবিদ ও সাংবাদিক অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম বেবু ও সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম রুবেল কতৃক রৌমারী উপজেলা চর উন্নয়ন কমিটির আংশিক আহবায়ক কমিটি দেওয়া হয়। ইমান আলী ইমনকে আহবায়ক কমিটির প্রধান মাস্তাফিজুর রহমান তারাকে সদস্য সচিব ও যুগ আহবায়ক হিসাবে মঞ্জুরুল ইসলাম ,আবুল কালাম আজাদ, মশিউর রহমান পলাশ,ও মিজানুর রহমান মিনুসহ ৬ সদস্য বিশিষ্ট্য আংশিক কমিটি প্রদান করেন। উক্ত কমিটিকে মালা দিয়ে বরণ করেন চরাঞ্চলের সাধারণ মানুষ। বরণ শেষে কমিটির সদস্যরা বক্তব্যে  বলেন,  

 বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর(বিবিএস) তথ্যমতে, জেলায় দারিদ্র্যর হার ৭০ দশমিক ৮ শতাংশ। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) বলেছে,জেলায় অতি দরিদ্রতার হার ৫৩ দশমিক ২ শতাংশ। এর অন্যতম কারণ হলো নদী ভাঙ্গন এবং চর বসবাস কারী মানুষের অনিশ্চিত জীবনযাপন।

এ পরিপ্রক্ষিতে এসডিজির (টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে) বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে, বঞ্চিত চর বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দাবী উঠেছে তৃণমূল থেকে। সম্প্রতি কুড়িগাম অনুষ্ঠিত এক নাগরিক সংলাপ থেকে জোড়ালো দাবী জানানো হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় রৌমারী উপজলা চর বিষয়ক আহবায়ক কমিটির আলাচনা সভায় বক্তারা বলেন, কুড়িগ্রাম জেলার চরাঞ্চলের মানুষের দুর্ভাগ্য লাঘব করার জন্য কুড়িগ্রাম চর মন্ত্রণালয়ের দাবী জানানো হয়। যা চর মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে চরের মানুষের সকল উন্নয়ন বাস্তবায়িত হবে।  

কুড়িগ্রাম জেলার জনসংখ্যা ২৩ লাখের কিছু বেশি। জেলাটির ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমার, ফুলকুমার সহ ১৬টি নদ-নদী। এগুলার অববাহিকায় রয়েছে সাড়ে চার শতাধিক চর। প্রায় সাড়ে ৮০০ বর্গ কিলো মিটার চরে বসবাস করেন সাড়ে ৫ লাখ মানুষ। এসব চরে বসবাসকারী মানুষের প্রধান আয়ের উৎস কৃষি। 

চরের পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়া কন্যা সন্তানদের বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়। বাল্য বিবাহ, অপুষ্টিসহ নানা কারণ প্রতিবন্ধী মানুষ বড়ই বেশি। বর্তমান জেলায় ৯১ হাজার ৬৭২জন প্রতিবন্ধী রয়েছে। দরিদ্র্য সূচক দেশের সর্বোচ্চ অবস্থানে এই জেলা। 

কুড়িগ্রাম জেলার মধ্য দিয় ভারতের প্রায় ১৪টি নদী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এ ছাড়া আরোও দুটি আসাম রাজ্যের নদী এ জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত। বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি পানি বহনকারী বিপুলা ব্রহ্মপুত্র নদও কুড়িগ্রাম দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। যারফলে কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলা বন্যা চলাকালীন সময় ৩-৪ বার বন্যায় প্লাবিত হয়। এ বছর জেলার নদী তীরবর্তী ৪১ ইউনিয়নের দুই শতাধিক গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েন। 

ইউনিসফর তথ্য অনুযায়ী দেশে ১৮ বছরের কমবয়সী ময়েদের বিয়র হার ৬৬ শতাংশ। কুড়িগ্রাম এ চিত্র আরও ভয়াবহ। অর্থাৎ প্রায় ৭৮ শতাংশ। কুড়িগ্রাম জেলায় মাট প্রতিবন্ধীর সংখ্যা ৯১ হাজার ৬৭২ জন, অসচেতনতার কারণে বাল্যবিবাহ গর্ভবর্তী মায়ের পুষ্টির অভাব, প্রসবকালীন জটিলতা, প্রসবকালীন সময় প্রত্যান্ত চরাঞ্চল হতে যথাসময়ে ডাক্তারের শরণাপণ্য না হতে পারার কারণে অদক্ষ ধাত্রীর মাধ্যম অনিরাপদ ডেলিভারি, দারিদ্রতা ও সামাজিক কুসংস্কার প্রতিবন্ধিতার অন্যতম কারণ হিসাবে হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, কুড়িগ্রাম জেলার ১ হাজার ২৪০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্য চরাঞ্চল ১৬৯টি বিদ্যালয় রয়েছে। মাধ্যমিক বিদ্যালয় নাই বললেই চলে।

অন্যান্য

শবেকদরের রোজা ভাঙিয়ে কয়েদির স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ র‌্যাব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

তৎকালীন র‌্যাব কর্মকর্তা আলেপ উদ্দিনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে, যেখানে দাবি করা হচ্ছে যে, তিনি এক আসামির স্ত্রীকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেছিলেন। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে তার স্ত্রীকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করেন। এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে আসার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। বিষয়টি নিয়ে সোমবার […]

শবেকদরের রোজা ভাঙিয়ে কয়েদির স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ র‌্যাব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৩:৫৭

তৎকালীন র‌্যাব কর্মকর্তা আলেপ উদ্দিনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে, যেখানে দাবি করা হচ্ছে যে, তিনি এক আসামির স্ত্রীকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেছিলেন। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে তার স্ত্রীকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করেন।

এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে আসার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। বিষয়টি নিয়ে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমও একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন, যা নতুন করে আলোচনা সৃষ্টি করেছে।

আলজাজিরার সাংবাদিক মউদুদ সুজন ফেসবুকে এ ঘটনা নিয়ে একটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি লেখেন, গুম হওয়া এক ব্যক্তির দাবি, পবিত্র শবেকদরের রাতে তার স্ত্রীকে রোজা ভাঙিয়ে ধর্ষণ করা হয়। ওই ব্যক্তি আরও জানান, এর আগেও তিনবার তার স্ত্রীকে একইভাবে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল, যেখানে প্রতিবারই তাকে স্বামীর জীবন নিয়ে ভয় দেখানো হয়েছিল।

পোস্টে আরও বলা হয়েছে, শেষবার ধর্ষণের পর ওই নারীর মানসিক অবস্থার মারাত্মক অবনতি ঘটে এবং কিছুদিন পর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এই অভিযোগ সামনে আসার পর মানবাধিকার সংগঠনগুলো এর যথাযথ তদন্ত ও বিচার দাবি করেছে।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বশীলতার প্রশ্নও নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছে। অনেকে দাবি করছেন, রাষ্ট্রীয় বাহিনীর সদস্যদের এই ধরনের কর্মকাণ্ড কেবল মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়, বরং এটি একটি গুরুতর অপরাধ, যার দ্রুত বিচার হওয়া প্রয়োজন।

এখন দেখার বিষয়, অন্তর্বর্তী সরকার এই ঘটনার তদন্তে কী ধরনের ব্যবস্থা নেয় এবং দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে কতটা কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

সেই পোস্টে উল্লেখ করা হয়, ধর্ষক র‍্যাবের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, নাম আলেপ। স্বামী সবকিছু হারিয়ে যখন আলেপকে বারংবার ফোন দিতে থাকে আলেপ রিপ্লাইয়ে জানান, বন্দি মেয়ে বা বন্দি পুরুষদের স্ত্রীদের সঙ্গে এমন আচরণ এখানে অলিখিতভাবে স্বীকৃত।

সেখানে উল্লেখ করা হয়, মানুষ কতটা নীচুতে নামলে নিজের মা/স্ত্রী/মেয়ে থাকা সত্ত্বেও একজন বন্দির স্ত্রীকে এমনভাবে ট্রিট করে! এই র‍্যাব কর্মকর্তা আলেপের বিচার সবার আগে হওয়া উচিত।

এ নিয়ে ফেসবুক পোস্ট করেছেন আলজাজিরার সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়েরও। ৫ আগস্ট ২০২৪ পরবর্তী পরিস্থিতিতে এই আলেপ বেশ বহাল তবিয়তেই দিন কাটাচ্ছিল, এসবি থেকে বদলি হয় রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশে। পরে ২০ অক্টোবর ২০২৪ তার একটি পোস্টের পর যেন কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে, আলেপকে বরিশাল পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয় এবং পরে সেখান থেকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

এই আলেপের মতো খুনি, অপহরণকারী এবং জঘন্য সব কর্মকাণ্ডে লিপ্ত অনেকেই বিভিন্ন বাহিনীতে এখনো কর্মরত রয়েছে। তাদের চিহ্নিত করে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলেও মন্তব্য করেন সায়ের।

অন্যান্য

ফিরে আসতে পারে ‘স্বৈরশাসনের যুগ’

স্বৈরশাসকদের যুগ ফিরে আসতে পারে বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান ভলকার টার্ক। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের বার্ষিক অধিবেশনের উদ্বোধনী ভাষণে তিনি এ সতর্ক করেন। খবর এএফপির। টার্ক বলেন, বিশ্ব এখন খুবই বিপজ্জনক এক অবস্থার মধ্যে রয়েছে, যেখানে স্বৈরাচারীরা কর্তৃত্ব বিস্তার করছে। বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার দমন করা হচ্ছে। তিনি এ বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো […]

নিউজ ডেস্ক

২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২১:৩৭

স্বৈরশাসকদের যুগ ফিরে আসতে পারে বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান ভলকার টার্ক। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের বার্ষিক অধিবেশনের উদ্বোধনী ভাষণে তিনি এ সতর্ক করেন। খবর এএফপির।

টার্ক বলেন, বিশ্ব এখন খুবই বিপজ্জনক এক অবস্থার মধ্যে রয়েছে, যেখানে স্বৈরাচারীরা কর্তৃত্ব বিস্তার করছে। বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার দমন করা হচ্ছে।

তিনি এ বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো দেশের নাম উল্লেখ করেননি। তবে বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিবর্তন ও চীনের প্রভাব বিস্তারের সঙ্গে তার মন্তব্য সম্পর্কিত বলে মনে করা হচ্ছে।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, একটির পর একটি মানবাধিকার খর্ব করা হচ্ছে, কারণ শাসকরা জনগণের ক্ষমতায়নকে ভয় পায়।

তিনি আরও বলেন, যুদ্ধ পরিচালনাকারী সরকারগুলো আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদকে অগ্রাহ্য করছে, যার ফলে সাধারণ মানুষ তাদের খাদ্য, পানি ও শিক্ষার অধিকার হারাচ্ছে।

ভলকার টার্ক জানান, বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার রক্ষার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা এখন সংকুচিত। স্বৈরশাসক ও ক্ষমতাধর ব্যক্তিরা এই ভিত্তি দুর্বল করে দিচ্ছে।

বর্তমানে একনায়কতান্ত্রিক সরকারগুলো বিশ্বের মোট অর্থনীতির এক-তৃতীয়াংশ নিয়ন্ত্রণ করছে, যা ৩০ বছর আগের তুলনায় দ্বিগুণ।

মানবাধিকার ও আইনের শাসন যেন ব্যক্তি, সমাজ ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মূল ভিত্তি থাকে, সে জন্য সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

অন্যান্য

রমজানে কামাল করতে যাচ্ছেন ড.মুহাম্মদ ইউনূস

আসছে পবিত্র মাহে রমজান।বছরই বাংলাদেশে রমজান মাসের আগে থেকেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়তে থাকে এবং রমজানের সময় তা সর্বোচ্চ পর্যায়ে চলে যায়। বর্তমানে দেশে সরবরাহে সংকট না থাকলেও কিছু অসাধু আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের একটি অংশ রমজানকে কেন্দ্র করে বাড়তি মুনাফা পেতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়।দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সীমিত আয়ের মানুষের উপর চাপ বেড়ে যায়।নিত্যপ্রয়োজনীয় […]

নিউজ ডেস্ক

০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২০:০৯

আসছে পবিত্র মাহে রমজান।
বছরই বাংলাদেশে রমজান মাসের আগে থেকেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়তে থাকে এবং রমজানের সময় তা সর্বোচ্চ পর্যায়ে চলে যায়।


বর্তমানে দেশে সরবরাহে সংকট না থাকলেও কিছু অসাধু আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের একটি অংশ রমজানকে কেন্দ্র করে বাড়তি মুনাফা পেতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সীমিত আয়ের মানুষের উপর চাপ বেড়ে যায়।নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অত্যাধিক দাম এবং ক্রয়ক্ষমতার বাইরে যাওয়ার কারণে অধিকাংশ পরিবারের প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী কিনতে হিমশিম খেতে হয়।


নিয়মিত বাজার মনিটরিং না হওয়া এবং ব্যবসায়ীদের অযৌক্তিক মুনাফা লাভের আশায় তারা পণ্য মজুত করে। বাজারে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে।

তবে এ বছর আগে থেকেই সতর্ক অবস্থানে রয়েছে সরকার, বাজিমাত বা কামাল করতে যাচ্ছেন ড.মুহাম্মদ ইউনূস।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস আসন্ন রমজানে দ্রব্যমূল্য ও পণ্য সরবরাহ শৃঙ্খল স্বাভাবিক রাখার জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাজ করার কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন।

রমজান মাসে দ্রব্য মূল্য স্বাভাবিক রাখতে রাষ্ট্রীয় সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে।
ফলে এবার সিন্ডিকেট ভাঙবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।


আসন্ন রমজান ও ঈদ সামনে রেখে সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
রমজানে সংশ্লিষ্ট সব পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ থাকায় এবার বাজার স্থিতিশীল ও নিত্যপণ্যের দাম নিম্নমুখী থাকবে।

রমজানের আগেই প্রায় ৩০ টি দেশ থেকে চাহিদা অনুযায়ী বিপুল পরিমাণ পণ্য আমদানি করছে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার পবিত্র মাহে রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এক্ষেত্রে মিয়ানমার, জাপান, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, চীন, সৌদি আরব এবং তুরস্কসহ প্রায় ৩০ টি দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ পণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ। এছাড়াও ভারত থেকে কিছু পণ্য আমদানি করা হচ্ছে।এরই মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। কমেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম।

পবিত্র মাহে রমজান সামনে রেখে মুসলিম দেশ তুরস্কের সাথেও সম্পর্ক বাড়াচ্ছে বর্তমান সরকার। এরই মধ্যে দেশটি থেকে সামরিক সরঞ্জাম এবং পণ্য আমদানি রপ্তানির চুক্তি হয়েছে। এবছর রমজান মাসকে কেন্দ্র করে তুরস্ক থেকে বিপুল পরিমাণ ফল আমদানি করছেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা।