বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

অন্যান্য

বিক্ষোভ দমাতে হাসিনার পরিকল্পনা ও নির্দেশেই জুলাই গণহ*ত্যা

গত জুলাই ও আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমন করতে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন পরিক্ল্পনা করেছিলেন। শেখ হাসিনার এসব পরিকল্পনার বিষয়ে বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দলকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। বাংলাদেশে ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট সংঘটিত ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণ করে তথ্যানুসন্ধান প্রতিবেদন তৈরি করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর (ওএইচসিএইচআর)। ১১৪ পৃষ্ঠার ওই […]

নিউজ ডেস্ক

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:৪৮

গত জুলাই ও আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমন করতে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন পরিক্ল্পনা করেছিলেন। শেখ হাসিনার এসব পরিকল্পনার বিষয়ে বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দলকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন।

বাংলাদেশে ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট সংঘটিত ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণ করে তথ্যানুসন্ধান প্রতিবেদন তৈরি করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর (ওএইচসিএইচআর)। ১১৪ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনটি বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জেনেভা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়েছে।

একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনে করেছিলেন যে যদি ‘হেভি ইউনিট’ মোতায়েন করা যায় তাহলে শুধু জিহাদিরাই রাস্তায় থাকবে অন্যান্য বিক্ষোভকারীরা বাড়ি চলে যাবে। শেখ হাসিনা এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিয়মিতভাবে ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে এবং ফোনে যোগাযোগ করতেন। এবং তাদের কার্যক্রম সরাসরি তদারকি করতেন ও নির্দেশনা দিতেন।

জাতিসংঘ তদন্ত দল বিষয়টি নিশ্চিত করতে কর্মকর্তাদের ফোনের কল লগ পর্যবেক্ষণ করেছেন।

কর্মকর্তারা জানান, শেখ হাসিনা প্রতিদিন নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের কাছ থেকে বিক্ষোভ সম্পর্কে প্রতিবেদন পেতেন এবং তিনটি গোয়েন্দা সংস্থা- ডিজিএফআই, এনএসআই ও পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি)- সরাসরি তাকে রিপোর্ট দিত।

কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৪ আগস্ট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের একটি বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন যেখানে সেনাবাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা প্রধান এবং স্বরাষ্ট্র, শিক্ষা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অন্যান্যরা অংশ নেন। তারা ঢাকা অভিমুখে পদযাত্রা ঠেকাতে পুনরায় কারফিউ জারি এবং তা কার্যকর করার বিষয়ে আলোচনা করেন। ওই দিন (৪ আগস্ট) রাতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে দ্বিতীয় আরেকটি বৈঠক হয়। সবাই একমত হন যে আন্দোলনকারীদের ঢাকায় প্রবেশ ঠেকাতে সেনাবাহিনী ও বিজিবি পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে মোতায়েন থাকবে এবং দরকার হলে বলপ্রয়োগ করা হবে।

ওই বৈঠকে উপস্থিত বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জাতিসংঘ মিশনকে জানায়, পরিকল্পনা ছিল বিজিবি, সাঁজোয়া যান ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করে ঢাকায় ঢোকার পথ বন্ধ করে দেবে এবং পুলিশ জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করবে।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সকালে ও রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে বিজিবির মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর সাবেক মহাপরিচালকের দুটি হোয়াটসঅ্যাপ বার্তার অনুলিপি পেয়েছে জাতিসংঘ দল।

জাতিসংঘ মনে করছে, প্রথম বার্তাটি আন্দোলনকারীদের কাছ থেকে এসেছিল। যেখানে তারা ঢাকায় কোন কোন রুট ব্যবহার করতে হবে সে সম্পর্কে মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের জানিয়েছিল। আর দ্বিতীয় বার্তাটিতে একটি ভিডিও ছিল। যেখানে বলা হয়েছিল, যারা মিছিলে যাবে তারা নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতিরক্ষা লাইন কীভাবে অতিক্রম করবে তার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।

জাতিসংঘ জানায়, তাদের তদন্ত দলের সঙ্গে একজন কর্মকর্তা কথা বলেছেন। যিনি গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনাকে ব্যক্তিগতভাবে ফোন করে জানিয়েছিলেন যে, সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী হচ্ছে না।

অন্যান্য

শবেকদরের রোজা ভাঙিয়ে কয়েদির স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ র‌্যাব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

তৎকালীন র‌্যাব কর্মকর্তা আলেপ উদ্দিনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে, যেখানে দাবি করা হচ্ছে যে, তিনি এক আসামির স্ত্রীকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেছিলেন। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে তার স্ত্রীকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করেন। এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে আসার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। বিষয়টি নিয়ে সোমবার […]

শবেকদরের রোজা ভাঙিয়ে কয়েদির স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ র‌্যাব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৩:৫৭

তৎকালীন র‌্যাব কর্মকর্তা আলেপ উদ্দিনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে, যেখানে দাবি করা হচ্ছে যে, তিনি এক আসামির স্ত্রীকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেছিলেন। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে তার স্ত্রীকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করেন।

এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে আসার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। বিষয়টি নিয়ে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমও একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন, যা নতুন করে আলোচনা সৃষ্টি করেছে।

আলজাজিরার সাংবাদিক মউদুদ সুজন ফেসবুকে এ ঘটনা নিয়ে একটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি লেখেন, গুম হওয়া এক ব্যক্তির দাবি, পবিত্র শবেকদরের রাতে তার স্ত্রীকে রোজা ভাঙিয়ে ধর্ষণ করা হয়। ওই ব্যক্তি আরও জানান, এর আগেও তিনবার তার স্ত্রীকে একইভাবে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল, যেখানে প্রতিবারই তাকে স্বামীর জীবন নিয়ে ভয় দেখানো হয়েছিল।

পোস্টে আরও বলা হয়েছে, শেষবার ধর্ষণের পর ওই নারীর মানসিক অবস্থার মারাত্মক অবনতি ঘটে এবং কিছুদিন পর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এই অভিযোগ সামনে আসার পর মানবাধিকার সংগঠনগুলো এর যথাযথ তদন্ত ও বিচার দাবি করেছে।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বশীলতার প্রশ্নও নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছে। অনেকে দাবি করছেন, রাষ্ট্রীয় বাহিনীর সদস্যদের এই ধরনের কর্মকাণ্ড কেবল মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়, বরং এটি একটি গুরুতর অপরাধ, যার দ্রুত বিচার হওয়া প্রয়োজন।

এখন দেখার বিষয়, অন্তর্বর্তী সরকার এই ঘটনার তদন্তে কী ধরনের ব্যবস্থা নেয় এবং দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে কতটা কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

সেই পোস্টে উল্লেখ করা হয়, ধর্ষক র‍্যাবের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, নাম আলেপ। স্বামী সবকিছু হারিয়ে যখন আলেপকে বারংবার ফোন দিতে থাকে আলেপ রিপ্লাইয়ে জানান, বন্দি মেয়ে বা বন্দি পুরুষদের স্ত্রীদের সঙ্গে এমন আচরণ এখানে অলিখিতভাবে স্বীকৃত।

সেখানে উল্লেখ করা হয়, মানুষ কতটা নীচুতে নামলে নিজের মা/স্ত্রী/মেয়ে থাকা সত্ত্বেও একজন বন্দির স্ত্রীকে এমনভাবে ট্রিট করে! এই র‍্যাব কর্মকর্তা আলেপের বিচার সবার আগে হওয়া উচিত।

এ নিয়ে ফেসবুক পোস্ট করেছেন আলজাজিরার সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়েরও। ৫ আগস্ট ২০২৪ পরবর্তী পরিস্থিতিতে এই আলেপ বেশ বহাল তবিয়তেই দিন কাটাচ্ছিল, এসবি থেকে বদলি হয় রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশে। পরে ২০ অক্টোবর ২০২৪ তার একটি পোস্টের পর যেন কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে, আলেপকে বরিশাল পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয় এবং পরে সেখান থেকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

এই আলেপের মতো খুনি, অপহরণকারী এবং জঘন্য সব কর্মকাণ্ডে লিপ্ত অনেকেই বিভিন্ন বাহিনীতে এখনো কর্মরত রয়েছে। তাদের চিহ্নিত করে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলেও মন্তব্য করেন সায়ের।

অন্যান্য

ফিরে আসতে পারে ‘স্বৈরশাসনের যুগ’

স্বৈরশাসকদের যুগ ফিরে আসতে পারে বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান ভলকার টার্ক। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের বার্ষিক অধিবেশনের উদ্বোধনী ভাষণে তিনি এ সতর্ক করেন। খবর এএফপির। টার্ক বলেন, বিশ্ব এখন খুবই বিপজ্জনক এক অবস্থার মধ্যে রয়েছে, যেখানে স্বৈরাচারীরা কর্তৃত্ব বিস্তার করছে। বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার দমন করা হচ্ছে। তিনি এ বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো […]

নিউজ ডেস্ক

২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২১:৩৭

স্বৈরশাসকদের যুগ ফিরে আসতে পারে বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান ভলকার টার্ক। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের বার্ষিক অধিবেশনের উদ্বোধনী ভাষণে তিনি এ সতর্ক করেন। খবর এএফপির।

টার্ক বলেন, বিশ্ব এখন খুবই বিপজ্জনক এক অবস্থার মধ্যে রয়েছে, যেখানে স্বৈরাচারীরা কর্তৃত্ব বিস্তার করছে। বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার দমন করা হচ্ছে।

তিনি এ বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো দেশের নাম উল্লেখ করেননি। তবে বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিবর্তন ও চীনের প্রভাব বিস্তারের সঙ্গে তার মন্তব্য সম্পর্কিত বলে মনে করা হচ্ছে।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, একটির পর একটি মানবাধিকার খর্ব করা হচ্ছে, কারণ শাসকরা জনগণের ক্ষমতায়নকে ভয় পায়।

তিনি আরও বলেন, যুদ্ধ পরিচালনাকারী সরকারগুলো আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদকে অগ্রাহ্য করছে, যার ফলে সাধারণ মানুষ তাদের খাদ্য, পানি ও শিক্ষার অধিকার হারাচ্ছে।

ভলকার টার্ক জানান, বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার রক্ষার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা এখন সংকুচিত। স্বৈরশাসক ও ক্ষমতাধর ব্যক্তিরা এই ভিত্তি দুর্বল করে দিচ্ছে।

বর্তমানে একনায়কতান্ত্রিক সরকারগুলো বিশ্বের মোট অর্থনীতির এক-তৃতীয়াংশ নিয়ন্ত্রণ করছে, যা ৩০ বছর আগের তুলনায় দ্বিগুণ।

মানবাধিকার ও আইনের শাসন যেন ব্যক্তি, সমাজ ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মূল ভিত্তি থাকে, সে জন্য সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

অন্যান্য

রমজানে কামাল করতে যাচ্ছেন ড.মুহাম্মদ ইউনূস

আসছে পবিত্র মাহে রমজান।বছরই বাংলাদেশে রমজান মাসের আগে থেকেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়তে থাকে এবং রমজানের সময় তা সর্বোচ্চ পর্যায়ে চলে যায়। বর্তমানে দেশে সরবরাহে সংকট না থাকলেও কিছু অসাধু আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের একটি অংশ রমজানকে কেন্দ্র করে বাড়তি মুনাফা পেতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়।দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সীমিত আয়ের মানুষের উপর চাপ বেড়ে যায়।নিত্যপ্রয়োজনীয় […]

নিউজ ডেস্ক

০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২০:০৯

আসছে পবিত্র মাহে রমজান।
বছরই বাংলাদেশে রমজান মাসের আগে থেকেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়তে থাকে এবং রমজানের সময় তা সর্বোচ্চ পর্যায়ে চলে যায়।


বর্তমানে দেশে সরবরাহে সংকট না থাকলেও কিছু অসাধু আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের একটি অংশ রমজানকে কেন্দ্র করে বাড়তি মুনাফা পেতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সীমিত আয়ের মানুষের উপর চাপ বেড়ে যায়।নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অত্যাধিক দাম এবং ক্রয়ক্ষমতার বাইরে যাওয়ার কারণে অধিকাংশ পরিবারের প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী কিনতে হিমশিম খেতে হয়।


নিয়মিত বাজার মনিটরিং না হওয়া এবং ব্যবসায়ীদের অযৌক্তিক মুনাফা লাভের আশায় তারা পণ্য মজুত করে। বাজারে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে।

তবে এ বছর আগে থেকেই সতর্ক অবস্থানে রয়েছে সরকার, বাজিমাত বা কামাল করতে যাচ্ছেন ড.মুহাম্মদ ইউনূস।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস আসন্ন রমজানে দ্রব্যমূল্য ও পণ্য সরবরাহ শৃঙ্খল স্বাভাবিক রাখার জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাজ করার কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন।

রমজান মাসে দ্রব্য মূল্য স্বাভাবিক রাখতে রাষ্ট্রীয় সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে।
ফলে এবার সিন্ডিকেট ভাঙবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।


আসন্ন রমজান ও ঈদ সামনে রেখে সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
রমজানে সংশ্লিষ্ট সব পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ থাকায় এবার বাজার স্থিতিশীল ও নিত্যপণ্যের দাম নিম্নমুখী থাকবে।

রমজানের আগেই প্রায় ৩০ টি দেশ থেকে চাহিদা অনুযায়ী বিপুল পরিমাণ পণ্য আমদানি করছে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার পবিত্র মাহে রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এক্ষেত্রে মিয়ানমার, জাপান, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, চীন, সৌদি আরব এবং তুরস্কসহ প্রায় ৩০ টি দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ পণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ। এছাড়াও ভারত থেকে কিছু পণ্য আমদানি করা হচ্ছে।এরই মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। কমেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম।

পবিত্র মাহে রমজান সামনে রেখে মুসলিম দেশ তুরস্কের সাথেও সম্পর্ক বাড়াচ্ছে বর্তমান সরকার। এরই মধ্যে দেশটি থেকে সামরিক সরঞ্জাম এবং পণ্য আমদানি রপ্তানির চুক্তি হয়েছে। এবছর রমজান মাসকে কেন্দ্র করে তুরস্ক থেকে বিপুল পরিমাণ ফল আমদানি করছেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা।