শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

অন্যান্য

আইন নিয়ে কেন পড়বেন?

দেশের প্রায় প্রতিটি পাবলিক কিংবা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়েই অন্যতম চাহিদাসম্পন্ন বিষয় আইন। বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন কোর্স পড়ানো হয়। তবে সার্বিকভাবে আইন পড়তে হলে কিছু বিষয় একজনকে জানতেই হবে। এর মধ্যে অন্যতম ‘জুরিসপ্রুডেনস’, যা একাধারে আইনের বিজ্ঞান, দর্শন ও ব্যাকরণ। আইনের প্রাথমিক ধারণাগুলো এখানে আলোচনা করা হয়। তা ছাড়া পড়ানো হয় সাংবিধানিক আইন, যা ছাড়া আমরা এ […]

নিউজ ডেস্ক

১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫:০৯

দেশের প্রায় প্রতিটি পাবলিক কিংবা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়েই অন্যতম চাহিদাসম্পন্ন বিষয় আইন। বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন কোর্স পড়ানো হয়। তবে সার্বিকভাবে আইন পড়তে হলে কিছু বিষয় একজনকে জানতেই হবে। এর মধ্যে অন্যতম ‘জুরিসপ্রুডেনস’, যা একাধারে আইনের বিজ্ঞান, দর্শন ও ব্যাকরণ।

আইনের প্রাথমিক ধারণাগুলো এখানে আলোচনা করা হয়। তা ছাড়া পড়ানো হয় সাংবিধানিক আইন, যা ছাড়া আমরা এ দেশের আইনগুলো বুঝতেই পারব না। বাংলাদেশে পারিবারিক আইনগুলোতে ধর্মীয় আইনের যে গভীর প্রভাব রয়েছে, তা আমরা বুঝি মুসলিম ও হিন্দু আইন পড়তে গেলে।

আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সদস্য হিসেবে বাংলাদেশকে কী কী আইন মেনে চলতে হবে, তা পড়ানো হয় আন্তর্জাতিক আইনে।

তা ছাড়া স্নাতক পর্যায়ে ভূমি আইন, ক্রয়বিক্রয়–সংক্রান্ত আইন, পরিবেশ আইন, ক্রিমিনোলজি, সিপিসি, সিআরপিসি ইত্যাদি সবখানেই পড়ানো হয়। স্নাতকোত্তর পর্যায়ে আরও কিছু বিশেষায়িত বিষয় পড়ানো হয়।

আইন খুবই বিস্তৃত বিষয়। তবে এ দেশে পেশাগত ক্ষেত্রে আইনের সঠিক বিকাশ হয়নি বলে মানুষ এখনো কয়েকটি প্রথাগত ক্ষেত্রেই ভবিষ্যৎ গড়ার কথা ভাবে—আদালতে ওকালতি, বিচারক কিংবা শিক্ষক। তবে এর বাইরে আরও অনেক অনেক কাজ সম্ভব। যেমন আইন পড়ে গবেষকও হওয়া যায়। গবেষণা যে শুধু আইনের ভেতরেই সীমাবদ্ধ থাকবে তা নয়। সমাজবিজ্ঞান, ধর্মতত্ত্ব, অর্থনীতি, মেডিকেল সায়েন্স সবকিছুর সঙ্গেই আইন নিয়ে গবেষণা সম্ভব। এ কারণে আইনকে আন্তগবেষণা ক্ষেত্রও বলা যায়।

প্রথমত, আইনজীবী হিসেবে সফল ক্যারিয়ার গড়ার সম্ভাবনা তো আছেই। কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীরা যেসব চাকরিতে আবেদনের যোগ্য, আইনের শিক্ষার্থীরাও সেই সব পদে অনায়াসে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন। ‘জুডিশিয়াল সার্ভিস’ অর্থাৎ সহকারী জজ ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে ‘সরকারি ফার্স্ট ক্লাস গেজেটেড অফিসার’ হওয়ার সুযোগ আছে, যা শুধু আইনের শিক্ষার্থীদের জন্যই। বিসিএসে পররাষ্ট্র, প্রশাসন, পুলিশ, কাস্টমস ইত্যাদি নন-টেকনিক্যাল ক্যাডারে যোগ দিতে পারবেন।

দেশের প্রায় প্রতিটি পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনের শিক্ষকের চাহিদা আছে। কমিশনড অফিসার পদমর্যাদায় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীতে স্বল্পমেয়াদি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ‘জাজ অ্যাডভোকেট জেনারেল’ হিসেবে যোগ দেওয়া যায়। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘সহকারী আইনসচিব’ হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার কথাও ভাবতে পারেন।

এ ছাড়া বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি দূতাবাস, ব্যাংক ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে ‘ল অফিসার’ হিসেবে নিয়োগ পাওয়া যায়। আদালতে সরকারি আইন কর্মকর্তা বা পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হিসেবে নিয়োগ হয়। বিদেশে ইমিগ্রেশন কেস অফিসার বা ল অফিসার হিসেবে কাজ করেন অনেকে।

আইনের ডিগ্রিধারীদের জন্য রয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা—যেমন ইউএনএইচসিআর, ইউএনডিপি, ডব্লিউএইচও, ইউনিসেফ, আইওএম, আইএলও ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে কাজের সুযোগ। আইনি পরামর্শক বা উপদেষ্টা হিসেবেও ক্যারিয়ার গড়তে পারেন। তা ছাড়া মানবাধিকার কিংবা নারী ও শিশু অধিকার নিয়ে যদি কেউ কাজ করতে চান, তবে তাঁর জন্য সেরা প্ল্যাটফর্ম আইনপাঠ।

কেউ যদি একটু ব্যতিক্রম কোনো ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত হতে চান, চলচ্চিত্রশিল্পে আইন পরামর্শক বা কোর্টরুম–বিষয়ক চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্যকারও হতে পারেন। আইনের বিষয়গুলো গল্পচ্ছলে লিখে হতে পারেন বিখ্যাত ঔপন্যাসিক জন গ্রিশামের মতো লেখকও।

বিষয়টা যখন আইন তখন অন্তত এই প্রশ্ন করা উচিত নয় যে কারা পড়বে। আইনপাঠ সবার জন্য জরুরি। অতএব উত্তর একটাই—আইন সবাই পড়বে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে কারা পড়বেন? এ ক্ষেত্রে দুটো ভাগ করা যায়। প্রথমত, গবেষণার প্রবৃত্তি যাঁদের আছে।

আইনের শাসন আছে কি না, আইনগুলো সমাজের সঙ্গে খাপ খাচ্ছে কি না—এসব নিয়ে যাঁরা চিন্তাভাবনা করতে ভালোবাসেন, তাঁরাই আইন পড়বেন। আর দ্বিতীয়ত, যাঁরা পেশাগত
তবে একজন ছাত্রের কিছু বৈশিষ্ট্য থাকা দরকার যা আইন পড়তে সাহায্য করবে।

গভীরভাবে চিন্তা করতে পারা তার মধ্যে অন্যতম। আইন কখনোই মুখস্থের বিষয় নয়। অনেকের ভুল ধারণা যে আইনের ধারা জানা মানেই আইন জানা। যা মোটেও সত্য নয়। আইন পড়ার প্রথম ধাপ হচ্ছে একটা বিষয়কে বিশ্লেষণ করতে পারা। গভীর চিন্তাশক্তি এ ক্ষেত্রে খুব জরুরি।

জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আইনের অনেক বিষয় ব্যবসায় শিক্ষার বিভিন্ন বিষয়ের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত—চুক্তি আইন, ব্যবসায়িক আইন, প্রাতিষ্ঠানিক আইন যার মধ্যে অন্যতম। ঠিক তেমনি সম্পর্ক আছে বিজ্ঞানের বিষয়গুলোর সঙ্গে। এনার্জি ল কিংবা ফরেনসিক ল তো তাঁদেরই জন্য, যাঁরা একসময় পদার্থবিজ্ঞান কিংবা জীববিজ্ঞান পড়তে ভালোবাসতেন।

অন্যান্য

নতুন ক্যারিয়ার সুযোগ: ভিডিও এডিটর পদে ৫ জনকে নিয়োগ দেবে দৈনিক সকাল

পদবি: ভিডিও এডিটরডিপার্টমেন্ট: নিউজ বিভাগকাজের ধরন: ফুলটাইমবেতন: আলোচনা সাপেক্ষেকর্মস্থল: ঢাকা দায়িত্বসমূহ:নিউজ রিপোর্টারের সঙ্গে সমন্বয় করে ভিডিও প্রতিবেদন তৈরি। প্রোডিউসার ও রিপোর্টারের সঙ্গে সমন্বয় করে চাহিদা অনুযায়ী প্রোগ্রাম তৈরি। বিভিন্ন ক্যামেরার ভিডিও কোড সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা। গ্রাফিক্স ভিত্তিক প্রোগ্রাম প্রস্তুত করা। অনএয়ারের আগে প্রোগ্রামের জন্য প্রোমো ভিডিও তৈরি করা। অন-এয়ার প্রোগ্রাম পরিচালনা ও সম্পাদনায় অভিজ্ঞতা […]

নতুন ক্যারিয়ার সুযোগ:  ভিডিও এডিটর পদে ৫ জনকে নিয়োগ দেবে দৈনিক সকাল

দৈনিক সকাল

নিউজ ডেস্ক

০১ মে ২০২৫, ২১:৫১

পদবি: ভিডিও এডিটর
ডিপার্টমেন্ট: নিউজ বিভাগ
কাজের ধরন: ফুলটাইম
বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে
কর্মস্থল: ঢাকা

দায়িত্বসমূহ:
নিউজ রিপোর্টারের সঙ্গে সমন্বয় করে ভিডিও প্রতিবেদন তৈরি।

প্রোডিউসার ও রিপোর্টারের সঙ্গে সমন্বয় করে চাহিদা অনুযায়ী প্রোগ্রাম তৈরি।

বিভিন্ন ক্যামেরার ভিডিও কোড সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা।

গ্রাফিক্স ভিত্তিক প্রোগ্রাম প্রস্তুত করা।

অনএয়ারের আগে প্রোগ্রামের জন্য প্রোমো ভিডিও তৈরি করা।

অন-এয়ার প্রোগ্রাম পরিচালনা ও সম্পাদনায় অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

অন্যান্য যোগ্যতা:
ভিডিও ও অডিও মান নির্ণয়ের সক্ষমতা থাকতে হবে।

অন্তত দুটি এডিটিং সফটওয়্যার (যেমন: Premiere Pro, Final Cut Pro ইত্যাদি) ব্যবহারে দক্ষতা।

কালার গ্রেডিং ও কালার ব্যালেন্স সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে।

গ্রাফিক্স সফটওয়্যার যেমন Adobe Photoshop, Illustrator এবং After Effects-এ কাজের অভিজ্ঞতা আবশ্যক।

Windows এবং Mac উভয় প্ল্যাটফর্মে কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

অভিজ্ঞতা:
প্রার্থীদের ভিডিও এডিটিং-এ ন্যূনতম ৩ থেকে ৪ বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

আবেদন পদ্ধতি:
আগ্রহী প্রার্থীদেরকে তাদের জীবনবৃত্তান্ত (CV) ইমেইলের মাধ্যমে পাঠাতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
ইমেইল ঠিকানা: [email protected]

অন্যান্য

যুদ্ধবিরতি কার্যকর ‘চায়’ ইরান, ইসরায়েলকে রাজি করাতে ট্রাম্পকে আহ্বান

ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আহ্বান জানিয়েছে ইরান। তেহরান বলছে, দুই দেশের মধ্যে চার দিন ধরে আকাশপথে যে হামলা পাল্টা হামলা চলছে, সেটা বন্ধ করতে চাইলে এটাই ‘একমাত্র পথ’। অন্যদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলছেন, ইরানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তার দেশ ‘জয়ের পথে’ রয়েছে। রয়টার্স বলছে, ইরানের শহরগুলোতে ইসরায়েলের বাহিনী বিমান হামলা আরও […]

যুদ্ধবিরতি কার্যকর ‘চায়’ ইরান, ইসরায়েলকে রাজি করাতে ট্রাম্পকে আহ্বান

যুদ্ধবিরতি কার্যকর ‘চায়’ ইরান, ইসরায়েলকে রাজি করাতে ট্রাম্পকে আহ্বান

নিউজ ডেস্ক

১৭ জুন ২০২৫, ০০:৩৫

ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আহ্বান জানিয়েছে ইরান।

তেহরান বলছে, দুই দেশের মধ্যে চার দিন ধরে আকাশপথে যে হামলা পাল্টা হামলা চলছে, সেটা বন্ধ করতে চাইলে এটাই ‘একমাত্র পথ’।

অন্যদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলছেন, ইরানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তার দেশ ‘জয়ের পথে’ রয়েছে।

রয়টার্স বলছে, ইরানের শহরগুলোতে ইসরায়েলের বাহিনী বিমান হামলা আরও জোরালো হয়েছে। আবার ইরানও প্রতিশোধমূলক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দেখিয়েছে যে তারা ইসরায়েলের বিমান প্রতিরক্ষা ভেদ করতে সক্ষম। ইরানের এ হামলাকে তাদের সফল পাল্টা আঘাত হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি এক্স পোস্টে বলেছেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যদি সত্যিকারের কূটনীতিটা করতে চান এবং যুদ্ধ বন্ধে আগ্রহী হন, তাহলে পরের পদক্ষেপগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

“ইসরায়েলকে অবশ্যই আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে। তারা সামরিক আগ্রাসন পুরোপুরি না থামালে আবাদের জবাবও চলতে থাকবে। ওয়াশিংটন থেকে একটি ফোন কল নেতানিয়াহুকে থামাতে পারে। আর সেটাই কূটনীতিতে ফেরার পথ উন্মুক্ত করতে পারে।”

এদিকে ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘ইরান যুদ্ধবিরতি চায়’।

জি-সেভেন সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমি ৬১তম দিনে এসে বলেছিলাম, আমাদের মধ্যে এখনো কোনো চুক্তি হয়নি। তাদের একটি চুক্তিতে আসতে হবে এবং এটা করাটা দুপক্ষের জন্যই কঠিন। এবং ইরান এই যুদ্ধে জয়ী হচ্ছে না। ”

এর আগে অবশ্য রয়টার্স এক খবরে বলেছিল, যুদ্ধবিরতির আলোচনায় ইরান রাজি নয়।

দুই পক্ষের মধ্যস্ততায় সম্পৃক্ত থাকা এক কর্মকর্তার বরাতে বলা হয়, ইসরায়েলি হামলার মধ্যে অস্ত্রবিরতি নিয়ে তেহরান কোনো আলোচনায় ইরান রাজি নয় বলে কাতার ও ওমানকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে।

অন্যান্য

ইরান এফ-থার্টি ফাইভ যুদ্ধে জয়লাভকারী প্রথম দেশ; ইসরাইলি নারী পাইলট আটক

ইরানি সেনাবাহিনীর বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইসরাইলের ২টি যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে। আরও জানায়, ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী শুক্রবার ঘোষণা করেছে যে তারা ২টি ইসরাইলি এফ-থার্টি ফাইভ যুদ্ধবিমান এবং বিপুল সংখ্যক ছোট শত্রু বিমানকে সফলভাবে ধ্বংস করেছে। বিশ্বে এই প্রথমবারের মতো কোনও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা একটি এফ-থার্টি ফাইভ যুদ্ধবিমানকে বাধা দিয়ে গুলি করে ভূপাতিত করতে […]

ইরান এফ-থার্টি ফাইভ যুদ্ধে জয়লাভকারী প্রথম দেশ; ইসরাইলি নারী পাইলট আটক

ইরান এফ-থার্টি ফাইভ যুদ্ধে জয়লাভকারী প্রথম দেশ; ইসরাইলি নারী পাইলট আটক

নিউজ ডেস্ক

১৫ জুন ২০২৫, ০৩:০২

ইরানি সেনাবাহিনীর বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইসরাইলের ২টি যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে।

আরও জানায়, ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী শুক্রবার ঘোষণা করেছে যে তারা ২টি ইসরাইলি এফ-থার্টি ফাইভ যুদ্ধবিমান এবং বিপুল সংখ্যক ছোট শত্রু বিমানকে সফলভাবে ধ্বংস করেছে।

বিশ্বে এই প্রথমবারের মতো কোনও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা একটি এফ-থার্টি ফাইভ যুদ্ধবিমানকে বাধা দিয়ে গুলি করে ভূপাতিত করতে সফল হয়েছে।

কথিত আছে যে ইরানি সেনাবাহিনীর বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থেকে একটিমাত্র গুলি ছুঁড়ে ওই যুদ্ধবিমানগুলোর একটিকে ভূপাতিত করা হয়েছে।

এই যুদ্ধবিমানের এক নারী পাইলট আটক হয়েছেন।

এদিকে খাতামুল-আম্বিয়া প্রতিরক্ষা কেন্দ্রের কমান্ডার বলেছেন: ইরানি প্রতিরক্ষা বাহিনী ৫টি ইসরাইলি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করতে সফল হয়েছে, যার মধ্যে একটি ইরানের আকাশসীমায় ছিল।

খাতামুল-আম্বিয়া প্রতিরক্ষা কেন্দ্রের ভাষ্যমতে, ইহুদিবাদী ইসরাইলের একজন পাইলট এখন ইরানি সেনাবাহিনীর বিশেষ ইউনিটের হাতে রয়েছে।

ইহুদিবাদী ইসরাইলের এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ধ্বংসের ঘটনায় এক্স নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারীদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

ফাতেমা নামের এক ইউজার ইসরাইলি এফ-৩৫ ভূপাতিত করাকে শয়তান ইসরাইলের পুতুল আধিপত্যের পতন বলে মনে করেন।

আরেকজন এক্স ব্যবহারকারী আবুল ফাজল লিখেছেন: ইরান ইতিহাসের একমাত্র দেশ যারা যুদ্ধের প্রথম দিনেই বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক যুদ্ধবিমান শিকার করতে এবং তার পাইলটকে বন্দী করতে সক্ষম হয়েছে।

কিয়া ইসমাইলপুরও বিধ্বস্ত এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের ছবি প্রকাশ করে এই যুদ্ধবিমানের সাথে সম্পর্কিত ছবির সাথে মিলিয়ে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

জাহরা নামের আরেকজন এক্স কর্মীও লিখেছেন, ইতিহাসে প্রথমবারের মতো, একটি বাস্তব অভিযানে ইসরাইলের একটি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে: “ইরানি এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম শক্তিকে আকাশের হৃদয় থেকে টেনে নিয়ে গেছে।

সূত্র : পার্সটুডে