রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

টেক নিউজ

যমুনা টিভিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলো ভারত সরকার

ভারতে জাতীয় নিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলার কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশের চারটি প্রধান টিভি চ্যানেলের ইউটিউব সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া চ্যানেলগুলো হলো—যমুনা টিভি, একাত্তর টিভি, বাংলাভিশন ও মোহনা টিভি। দেশটির সরকারি নির্দেশনার পরই ইউটিউব এই পদক্ষেপ নেয় বলে নিশ্চিত করেছে একাধিক গবেষণা ও মিডিয়া পর্যবেক্ষণ সংস্থা। অনলাইন মিডিয়া পর্যবেক্ষক সংস্থা ডিসমিসল্যাব জানায়, তারা প্রথমে […]

নিউজ ডেস্ক

০৯ মে ২০২৫, ২৩:৪৮

ভারতে জাতীয় নিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলার কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশের চারটি প্রধান টিভি চ্যানেলের ইউটিউব সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া চ্যানেলগুলো হলো—যমুনা টিভি, একাত্তর টিভি, বাংলাভিশন ও মোহনা টিভি। দেশটির সরকারি নির্দেশনার পরই ইউটিউব এই পদক্ষেপ নেয় বলে নিশ্চিত করেছে একাধিক গবেষণা ও মিডিয়া পর্যবেক্ষণ সংস্থা।

অনলাইন মিডিয়া পর্যবেক্ষক সংস্থা ডিসমিসল্যাব জানায়, তারা প্রথমে ভারতীয় ভিপিএন সার্ভার ব্যবহার করে ইউটিউবে পরীক্ষা চালায়। ভারতের আইপি ঠিকানা শনাক্ত হওয়ার পর তারা বাংলাদেশের অন্তত ৩৮টি টিভি ও সংবাদ চ্যানেলের ইউটিউব অ্যাক্সেস যাচাই করে। দেখা যায়, চারটি নির্দিষ্ট চ্যানেল—যমুনা, একাত্তর, বাংলাভিশন ও মোহনা—ভারতের অভ্যন্তরে দেখা যাচ্ছে না। ইউটিউবে প্রবেশের সময় একটি বার্তা দেখা যায়, যেখানে বলা হয়েছে: “জাতীয় নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলার সঙ্গে সম্পর্কিত সরকারি আদেশের কারণে এই কনটেন্ট বর্তমানে এই দেশে দেখা যাচ্ছে না।”

ডিসমিসল্যাব এই ফলাফল যাচাই করতে নয়াদিল্লি ও কলকাতা-ভিত্তিক সাংবাদিকদের কাছ থেকে বিষয়টির প্রমাণ সংগ্রহ করে। তাদের একজন স্ক্রিন রেকর্ডিং পাঠিয়ে নিশ্চিত করেন, ভারতে বসে ওই চ্যানেলগুলোর ইউটিউব সম্প্রচারে প্রবেশ করা যাচ্ছে না।

যমুনা টিভি নিশ্চিত করেছে যে, তারা ইউটিউব থেকে একটি নোটিশ পেয়েছে যেখানে জানানো হয়েছে যে, ভারতের সরকারি অনুরোধের ভিত্তিতে চ্যানেলটি সেদেশে ব্লক করে দেওয়া হয়েছে। নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, ভবিষ্যতে আপলোড হওয়া সব ভিডিও ভারতীয় দর্শকদের জন্য অনুপলভ্য থাকবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি একটি ‘জিও-ব্লকিং’ পদ্ধতি, যেখানে ব্যবহারকারীর ভৌগোলিক অবস্থানের ভিত্তিতে কনটেন্ট সীমাবদ্ধ করে দেওয়া হয়। এর ফলে বিশ্বব্যাপী দর্শকদের জন্য চ্যানেলগুলো খোলা থাকলেও ভারতীয় দর্শকরা আর এগুলো দেখতে পাচ্ছেন না।

এই সিদ্ধান্ত এমন সময় এলো, যখন দক্ষিণ এশিয়ায় উত্তেজনা তুঙ্গে। ভারতীয় বাহিনী ৬ ও ৭ মে রাতে ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে অভিযানে নামে। এর পর থেকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে যুদ্ধোন্মাদ ও চরম জাতীয়তাবাদী কাভারেজ শুরু হয়, যার প্রভাব অন্যান্য দেশের সংবাদ মাধ্যম ও কনটেন্টেও পড়েছে বলে বিশ্লেষকদের মত।

এদিকে, ভারতের প্রভাবশালী স্বাধীন অনলাইন সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ওয়্যার’ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের ওয়েবসাইটও ভারতে পুরোপুরি ব্লক করে দেওয়া হয়েছে। ৯ মে তারা সামাজিক মাধ্যমে এক বিবৃতিতে জানায়, “ভারত সরকার আমাদের ওয়েবসাইট thewire.in দেশজুড়ে বন্ধ করে দিয়েছে, যা সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার উপর সরাসরি হস্তক্ষেপ।”

বিষয়টিকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে সংবাদপত্র ও টেলিভিশন সম্প্রচারের ওপর এমন রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ দক্ষিণ এশিয়ার মিডিয়া স্বাধীনতার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বলে মনে করছেন অনেকে।

টেক নিউজ

নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য ৯০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন করবে বাংলাদেশ ব্যাংক : গভর্নর

বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন উদ্যোক্তাদের সহায়তায় ৮০০ থেকে ৯০০ কোটি টাকা অর্থমূল্যের একটি বিশেষ তহবিল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট–২০২৫’-এর স্টার্টআপ কানেক্ট সেশন–এ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, “এই তহবিলের অর্থ বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে বিতরণ করা হবে এবং শুধুমাত্র স্টার্টআপ কোম্পানিগুলোকে মূলধন জোগান […]

নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য ৯০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন করবে বাংলাদেশ ব্যাংক : গভর্নর

ছবি সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

০৭ এপ্রিল ২০২৫, ২০:৫৭

বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন উদ্যোক্তাদের সহায়তায় ৮০০ থেকে ৯০০ কোটি টাকা অর্থমূল্যের একটি বিশেষ তহবিল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।

রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট–২০২৫’-এর স্টার্টআপ কানেক্ট সেশন–এ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, “এই তহবিলের অর্থ বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে বিতরণ করা হবে এবং শুধুমাত্র স্টার্টআপ কোম্পানিগুলোকে মূলধন জোগান দিতে তা ব্যবহার করা হবে। এ বিষয়ে শিগগিরই একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।”

স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (আইসিটি) এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)–এর যৌথ আয়োজনে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দেশের দ্রুত অগ্রসরমান স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম এবং বৈশ্বিক বিনিয়োগ সংযোগ জোরদারে এ আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন দেশি–বিদেশি তরুণ উদ্যোক্তাসহ উদ্ভাবনী মনের বহু অংশগ্রহণকারী। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড–এর স্বাধীন পরিচালক তানভীর আলী। প্রবন্ধে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের তরুণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে উদ্ভাবনের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে, তবে তুলনামূলকভাবে এখনো এই খাতে বিনিয়োগ কম।”

প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন প্রধান উপদেষ্টার আইসিটি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব, বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এবং আইসিটি সচিব ও স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড–এর চেয়ারম্যান শীশ হায়দার চৌধুরী। আলোচনা পর্ব পরিচালনা করেন শেয়ার ট্রিপের সিইও সাদিয়া হক।

আলোচনায় গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, “বাংলাদেশে ভবিষ্যতে বিকাশ–এর মতো অন্তত ১০টি ইউনিকর্ন কোম্পানি গড়ে উঠতে পারে—এমনটাই আমরা প্রত্যাশা করি।”

শীশ হায়দার জানান, অন্তর্বর্তী সরকার একটি ‘ফান্ড অফ ফান্ডস’ গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, যেখানে বিভিন্ন উৎস থেকে বিনিয়োগ সংগ্রহ করে তা প্রারম্ভিক ও প্রবৃদ্ধি পর্যায়ের স্টার্টআপগুলোকে সহায়তা প্রদান করা হবে। এর মাধ্যমে উদ্যোক্তারা ব্যবসা সম্প্রসারণ, আন্তর্জাতিকীকরণ ও টেকসই হওয়ার সুযোগ পাবেন।

তিনি বলেন, “স্টার্টআপ কানেক্ট ২০২৫ হচ্ছে এমন একটি উদ্যোগ, যা বাংলাদেশকে একটি বৈশ্বিক উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তাবান্ধব হাবে পরিণত করার অঙ্গীকারকে তুলে ধরে।”

বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, “নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো ট্রেড লাইসেন্স পেতে হয়রানি ও বারবার নবায়নের জটিলতা। সরকারি লাল-ফিতার দৌরাত্ম্য অনেক সময় তাদের অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দেয়।”

তিনি আরও জানান, ৪০টি দেশের ৫০০–এর বেশি বিদেশি বিনিয়োগকারী এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। তাদের চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জ–এর অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো পরিদর্শনে নেওয়া হবে।

চৌধুরী আশিক বলেন, “বাংলাদেশে উদ্ভাবনী উদ্যোক্তার কোনো ঘাটতি নেই, কিন্তু মূলধনের সংকটে অনেকেই এগোতে পারেন না। এই কারণেই বাংলাদেশ ব্যাংক এই বিশেষ স্টার্টআপ তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”