রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

টেক নিউজ

পলকপন্থি চক্রের থাবায় বন্ধ হয়ে গেছে প্রায় সরকারি ওয়েবসাইট

বন্ধ হয়ে গেছে দেশের সরকারি সব ওয়েবসাইট। ব্যবহারকারীরা প্রবেশ করতে পারছেন না এসব ওয়েবসাইটে। কোন সেবাতো পাওয়া যাচ্ছেই না সঙ্গে মিলছে না কোনো তথ্যও। আইসিটি বিভাগের একাধিক সূত্র বলছে এর পেছনে সদ্য সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকপন্থি চক্রের হাত রয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে বিভিন্ন সরকারি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে না পারার অভিযোগ […]

পলকপন্থি চক্রের থাবায় বন্ধ হয়ে গেছে প্রায় সরকারি ওয়েবসাইট

পলকপন্থি চক্রের থাবায় বন্ধ হয়ে গেছে প্রায় সরকারি ওয়েবসাইট

নিউজ ডেস্ক

১৪ আগস্ট ২০২৪, ২২:২৯

বন্ধ হয়ে গেছে দেশের সরকারি সব ওয়েবসাইট। ব্যবহারকারীরা প্রবেশ করতে পারছেন না এসব ওয়েবসাইটে। কোন সেবাতো পাওয়া যাচ্ছেই না সঙ্গে মিলছে না কোনো তথ্যও।

আইসিটি বিভাগের একাধিক সূত্র বলছে এর পেছনে সদ্য সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকপন্থি চক্রের হাত রয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল থেকে বিভিন্ন সরকারি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে না পারার অভিযোগ আসতে থাকে ব্যবহারকারীদের পক্ষ থেকে। দৈনিক সকালের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন সরকারি ওয়েবসাইটে প্রবেশের চেষ্টা করে বিষয়টির সত্যতা পাওয়া যায়।

খোদ আইসিটি বিভাগ, আইসিটি অধিদপ্তর, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি), বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) ওয়েবসাইট অচল। এসব ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা যাচ্ছে না।

মূলত ওয়েবসাইটে বিষয়গুলো তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের এস্পায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) দেখভাল করে উল্লেখ করে আইসিটি সচিব সামসুল আরেফিন  জানান, ওয়েবসাইটগুলো পুনরায় সচল করতে কাজ চলছে।

তিনি বলেন, ওয়েবসাইটগুলোতে কিছু সাইবার অ্যাটাক হয়েছিল। সব ঠিকঠাক করে দ্রুত সেগুলো সচল করতে কাজ চলছে। যদিও এটুআই এর দাবি, রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জন্য বন্ধ রয়েছে ওয়েবসাইটগুলো।

জানা যায়, দেশের সরকারি ওয়েবসাইটগুলো ন্যাশনাল পোর্টাল ফ্রেমওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত। বিষয়টির কারিগরি দিকগুলো দেখভাল করে এটুআই। তবে এটুআইয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইটই ফ্রেমওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত না। ফলে প্রায় সব সরকারি ওয়েবসাইট অচল থাকলেও সচল রয়েছে এটুআইয়ের ওয়েবসাইট।

সূত্র বলছে, আইসিটি বিভাগ এবং এটুআইতে সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের অনুগত হিসেবে পরিচিত কর্মকর্তাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল ন্যাশনাল পোর্টাল ফ্রেমওয়ার্কের কারিগরি বিষয়গুলো। তারাই এখন ওয়েবসাইটগুলো বিকল করে রেখেছেন।

তবে এটুআইয়ের কমিউনিকেশনস অ্যান্ড আউটরিচ কনসালটেন্ট আদনান ফয়সল মঙ্গলবার বিকালে

বলেন, ওয়েবসাইটগুলোর মেইনটেন্যান্সের (রক্ষণাবেক্ষণ) কাজ চলছে। দ্রুতই সচল হয়ে যাবে।

আরেকটি সূত্র পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সরকারি ওয়েবসাইটগুলো থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি, বাণী এবং এধরনের অন্যান্য কনটেন্ট সরানো হচ্ছে। সেগুলো সরিয়ে দ্রুত ওয়েবসাইট সচল করা হবে।

অন্যান্য

ডিসেম্বরে চাকরিজীবীরা পাচ্ছেন টানা ৪ দিন ছুটি

ডিসেম্বর মাসে টানা ছুটি পেতে যাচ্ছেন সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীরা। সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে সরকারি ছুটি মিলিয়ে টানা ছুটি পেতে পারেন তারা। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সাধারণ ছুটির মধ্যে রয়েছে বিজয় দিবস ও বড়দিনের ছুটি। ১৬ ডিসেম্বর সোমবার। রবিবার একদিন ছুটি ম্যানেজ করতে পারলেই শুক্র ও শনিবার মিলিয়ে টানা ৪ দিনের ছুটি নিতে পারবেন সরকারি চাকরিজীবীরা। এছাড়া ২৫ ডিসেম্বর […]

নিউজ ডেস্ক

৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৬:৪৮

ডিসেম্বর মাসে টানা ছুটি পেতে যাচ্ছেন সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীরা। সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে সরকারি ছুটি মিলিয়ে টানা ছুটি পেতে পারেন তারা। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সাধারণ ছুটির মধ্যে রয়েছে বিজয় দিবস ও বড়দিনের ছুটি। ১৬ ডিসেম্বর সোমবার।

রবিবার একদিন ছুটি ম্যানেজ করতে পারলেই শুক্র ও শনিবার মিলিয়ে টানা ৪ দিনের ছুটি নিতে পারবেন সরকারি চাকরিজীবীরা। এছাড়া ২৫ ডিসেম্বর বুধবার। তাই বৃহস্পতিবার একদিন ছুটি ম্যানেজ করতে পারলেই টানা চারদিন ছুটি পেতে পারবেন সরকারি চাকরিজীবীরা।

সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দেশের সব সরকারি ও আধা-সরকারি অফিস এবং সংবিধিবদ্ধ স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত সংস্থায় এ ‍দুদিন ছুটি পালন করা হবে।

তবে যেসব অফিসের সময়সূচি ও ছুটি তাদের নিজস্ব আইন-কানুন দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে বা যেসব অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের চাকরি সরকার থেকে অত্যাবশ্যক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান নিজস্ব আইন-কানুন অনুযায়ী জনস্বার্থ বিবেচনা করে এ ছুটি ষোষণা করবে।

এদিকে ২৪ ডিসেম্বর ও ২৬ ডিসেম্বর যিশু খ্রিস্টের জন্মোৎসব (বড়দিনের আগে ও পরের দিন) হচ্ছে খ্রিষ্টান পর্বের ঐচ্ছিক ছুটি। ছুটির প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, একজন কর্মচারীকে তার নিজ ধর্ম অনুযায়ী বছরে অনধিক মোট তিন দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার অনুমতি দেয়া যেতে পারে।

প্রত্যেক কর্মচারীকে বছরের শুরুতে নিজ ধর্ম অনুযায়ী নির্ধারিত তিন দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার জন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের পূর্ব অনুমোদন নিতে হয়।কর্মব্যস্ত জীবনে সাপ্তাহিক ছুটিতে অনেকেরই ব্যক্তিগত নানান জরুরি কাজ থাকে।

তবে সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে সরকারি ছুটি পেলে কোথাও টুরে যাওয়া যায় বা কোনো পরিকল্পনা করা যায়। তাই এমন সুযোগের অপেক্ষায় থাকেন বহু মানুষ।

 

 

 

জাতীয়

ছাগলকাণ্ডের মতিউর বিদেশ যেতে চান

ছাগলকাণ্ডে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য পদ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্টের পদ হারানো মতিউর রহমান বিদেশ যেতে চান। বিদেশ যেতে চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছেন তিনি। সোমবার (২৫ নভেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিটটি করেন মতিউর ও তার স্ত্রী। ২১ অক্টোবর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আস […]

নিউজ ডেস্ক

২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৪:৩৫

ছাগলকাণ্ডে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য পদ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্টের পদ হারানো মতিউর রহমান বিদেশ যেতে চান। বিদেশ যেতে চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছেন তিনি।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিটটি করেন মতিউর ও তার স্ত্রী।
২১ অক্টোবর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালত শুনানি শেষে; মতিউর রহমান তার স্ত্রী লায়লা কানিজ ও ছেলে আহম্মেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবের বিদেশ গমনে আবারো নিষেধাজ্ঞা দেন।

ওইদিন দুদক উপ-পরিচালক আনোয়ার হোসেন ফের তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, মতিউর রহমান, তার স্ত্রী লায়লা কামিজ ও ছেলে তৌফিকুর রহমান অর্ণবের দাখিল করা সম্পদ বিবরণী যাচাইয়ের জন্য ছয় সদস্য বিশিষ্ট অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে।

এর আগে মতিউর রহমানকে প্রয়োজনে গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছিল দুদক।

জানা যায়, মতিউরের বিরুদ্ধে এর আগে চারবার দুর্নীতির অভিযোগ পায় দুদক। কিন্তু প্রতিবারই নানা কৌশলে আর প্রভাব খাটিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ মুছে ক্লিন শিট পেয়েছিলেন তিনি।

দুদক আবেদনে উল্লেখ করে, মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়া গেছে, যা দুদক অনুসন্ধান করছে।

ইতোমধ্যে মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী, সন্তান ও স্বজনদের নামে দেশ-বিদেশে বিপুল সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। তাদের নামে রাজধানীতে ১৫টি ফ্ল্যাট ও ৪টি বাড়ির সন্ধান পাওয়া গেছে।

এ ছাড়া ময়মনসিংহের ভালুকা, নরসিংদীর বিভিন্ন জায়গায় এবং চাঁদপুরে শত শত বিঘা জমির সন্ধান পাওয়া গেছে। বিদেশেও বিপুল পরিমাণ টাকা পাচারের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, এ অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। গোপন সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগ সংশ্লিষ্টরা অর্থ পাচার ও দেশত্যাগের পরিকল্পনা করছেন। এ জন্য তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা একান্ত প্রয়োজন।

ঈদুল আজহার আগে মতিউর রহমানের ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাতের ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল কেনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এর প্রেক্ষিতেই এনবিআরের এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে