বাহরাইনকে উড়িয়ে দিলো বাংলাদেশ। র্যাঙ্কিংয়ে ঢের এগিয়ে থাকা দলটাকে পাত্তাই দিলো না টাইগ্রেসরা। রীতিমতো গোল উৎসব করলেন ঋতুপর্ণা-তহুরারা। তাতে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে শুভসূচনা করলো বাংলাদেশ।
শক্তিমত্তা কিংবা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে বেশ এগিয়ে আছে বাহরাইন। তবে মাঠের খেলায় তা এতটুকুও ফুটিয়ে তুলতে পারেনি দলটি। উল্টো হেরে বসেছে ৭-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে।
রোববার (২৯ জুন) নারী এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে র্যাঙ্কিংয়ে ৩৬ ধাপ এগিয়ে থাকা বাহরাইনের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশেী নারীরা। মিয়ানমারের ইয়াংগুনে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যায় খেলতে নামে উভয় দল।
কিক অফের পর প্রথম মিনিটেই দারুণ আক্রমণ শাণায় বাংলাদেশ। বাঁ দিক থেকে দূরপাল্লার শট নেন ঋতুপর্ণা, কিন্তু বাহরাইনের গোলকিপার লাফিয়ে দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় বল গ্লাভসে জমান।
চাপ ধরে রেখে দশম মিনিটে গোল পেয়ে যায় বাংলাদেশ। মাঝমাঠ থেকে আসা লম্বা ক্রস দারুণ ক্ষিপ্রতায় অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে ডি-বক্সে ঢুকে দারুণ শটে বল জালে জড়ান শামসুন্নাহার জুনিয়র।
ম্যাচের ১৫তম মিনিটে ব্যবধান ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ঋতুপর্ণা। স্বপ্না রানীর আড়াআড়ি ক্রস ধরে বক্সে ঢুকে বাঁ পায়ের দৃষ্টিনন্দন বাঁকানো শটে লক্ষ্যভেদ করেন এই ফরোয়ার্ড। ম্যাচে চালকের আসনে বসে যায় বাংলাদেশ।
২৪ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ আসে মনিকা চাকমার কাছে। কিন্তু গোলরক্ষককে একা পেয়েও ক্রসবারের ওপর পাঠালে হতাশ হতে হয় তাকে।
৩২ মিনিটে আফাঈদা জালে বল জড়ালেও অফসাইডের ফাঁদে পড়ে গোল হয়নি। ৩৫তম মিনিটে বক্সের ভেতরে তহুরার শট প্রতিহত হয় ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে।
আক্রমণের তোপে নাভিশ্বাস উঠতে থাকে বাহরাইনের ফুটবলারদের। এর মাঝেই ৪০তম মিনিটে ব্যবধান আরো বাড়িয়ে নেয় বাংলাদেশ। মনিকার কর্নার থেকে মারিয়া বল পাঠান কোহাতি কিসকুর কাছে। যা থেকে গোল করতে সমস্যা হয়নি তার।
এখানেই শেষ নয়, ৩-০ গোলে এগিয়ে যাবার পর প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে আরো দুই গোল পায় বাংলাদেশ। দুটো গোলই করেন তহুরা খাতুন। ৫-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় টাইগ্রেসরা।
দ্বিতীয়ার্ধেও একই ছন্দে খেলতে থাকে বাংলাদেশ। চলতে থাকে আক্রমণ। ৬০তম মিনিটে সতীর্থের ক্রসে শামসুন্নাহার জুনিয়র বল জালে জড়ান। আর ৭৪তম মিনিটে স্কোরলাইন ৭-০ করেন মুনকি আক্তার।
এরপর বল দখলে রেখে খেলতে থাকে বাংলাদেশ। মাঝে সাগরিকা ৮৬তম মিনিটে জালে বল জড়ালেও অফসাইডের কারণে হয়নি গোল। একটু পর তহুরার শট ক্রসবার কাঁপিয়ে ফিরলে ব্যবধান আর বাড়েনি।