বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

খেলা

চেন্নাই টেস্ট: ভারতের কাছে বাংলাদেশের রেকর্ড ব্যবধানে হার

পাকিস্তানকে তাদের মাটিতে টেস্টে হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশ। টাইগারদের এমন জয়ের পর সবাই আশায় বুক বেঁধে ছিল, ভারতের বিপক্ষে কখনো টেস্ট জিততে না পারা বাংলাদেশ এবার হয়তো পাবে জয়ের স্বাদ। তবে ভক্তদের নিরাশ করে ভারতের কাছে রেকর্ড ব্যবধানে হেরেছে নাজমুল শান্তর দল। চেন্নাই টেস্টে ভারতের দেওয়া পাহাড়সম ৫১৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা […]

নিউজ ডেস্ক

২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫:৩৭

পাকিস্তানকে তাদের মাটিতে টেস্টে হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশ। টাইগারদের এমন জয়ের পর সবাই আশায় বুক বেঁধে ছিল, ভারতের বিপক্ষে কখনো টেস্ট জিততে না পারা বাংলাদেশ এবার হয়তো পাবে জয়ের স্বাদ। তবে ভক্তদের নিরাশ করে ভারতের কাছে রেকর্ড ব্যবধানে হেরেছে নাজমুল শান্তর দল।

চেন্নাই টেস্টে ভারতের দেওয়া পাহাড়সম ৫১৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই হয় বাংলাদেশের। ৩ উইকেটে ১৫৪ রান করে তৃতীয় দিন শেষ করে তারা। তবে চতুর্থ দিনে এসে অশ্বিনের তোপে তাসের ঘরের মতো ভেঙে গেছে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন-আপ। যার ফলে মাত্র ২৩৪ রানেই থেমেছে বাংলাদেশের ইনিংস। আর ভারত তুলে নিয়েছে ২৮০ রানের বিশাল জয়। ভারতের বিপক্ষে রানের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি ব্যবধানে হারের লজ্জা জুটল টাইগারদের।

আজ রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) চেন্নাই টেস্টের চতুর্থ দিনে ব্যাটিংয়ে নামেন আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাকিব আল হাসান। চতুর্থ দিনের শুরু থেকেই দেখেশুনে খেলতে থাকেন এই দুই ব্যাটার।

মাঝে একবার জীবন পান সাকিব। রবীন্দ্র জাদেজার বলে ক্রিজের বাইরে এসে মারতে গিয়ে মিস করেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু ভারতের উইকেটকিপার ঋষভ পান্ত বল গ্লাভসে নিতে পারেননি। অনেক বাইরে চলে আসা সাকিব সময় পেয়ে পৌঁছে যান ক্রিজে। যার ফলে জীবন পান তিনি।

তবে জীবন পেয়েও নিজের ইনিংসকে বেশিদূর নিয়ে যেতে পারেননি তিনি। দলীয় ১৯৪ রানে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে ব্যাকওয়ার্ড শর্ট লেগে যশস্বী জয়সাওয়ালের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। আউট হওয়ার আগে করেন ৫৬ বলে ২৫ রান। তার বিদায়ে ভাঙে ৪৮ রানের জুটি।

সাকিবের পথ ধরে দ্রুত সাজঘরে ফিরে যান লিটন দাসও। ১০ বলে মাত্র ১ রান করে রবীন্দ্র জাদেজার বলে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরে যান প্যাভিলিয়নে। তার বিদায়ে ২০৫ রানেই ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

২০৬ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে জুটি বাঁধেন শান্ত। তবে তারাও ব্যর্থ হন নিজেদের জুটিকে বেশিদূর নিয়ে যেতে। দলীয় ২২২ রানে মিরাজ ফিরে গেলে ভেঙে যায় এই জুটি। ১০ বলে মাত্র ৮ রান করে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে রবীন্দ্র জাদেজার হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান মিরাজ। তাকে ফিরিয়ে ইনিংসে নিজের পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন অশ্বিন।

মিরাজের বিদায়ের পরের ওভারেই সাজঘরে ফিরে যান অধিনায়ক শান্তও। একপ্রান্ত আগলে রাখা শান্ত ১২৭ বলে ৮২ রান করে রবীন্দ্র জাদেজার বলে জাসপ্রিত বুমরাহর হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান। তার বিদায়ে ২২২ রানে আট উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

মিরাজ আর শান্তর পথ ধরে সাজঘরে ফিরে যান তাসকিন আহমেদও। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ষষ্ঠ শিকার হয়ে দলীয় ২২৮ রানে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। তার বিদায়ের পর ২৩৪ রানেই থামে বাংলাদেশের ইনিংস। আর ভারত তুলে নেয় ২৮০ রানের বিশাল জয়।

ভারতের বিপক্ষে রানের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি ব্যবধানে হারের লজ্জা জুটল টাইগারদের। রানের বিচারে ভারতের কাছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় হার ছিল ২০৮ রানে। চেন্নাইয়ে সেই লজ্জাটাও ঢাকতে পারলো না টাইগাররা।

এর আগে পাকিস্তানকে তাদের মাঠেই হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়া বাংলাদেশ এবার ভারতের বিপক্ষে খেলতে নেমেই খেই হারিয়ে ফেললো। চেন্নাই টেস্টে ভারতের বিপক্ষে দুর্দান্ত বোলিং করলেও ব্যাটিংয়ে নেমেই খেই হারিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ভারতকে ৩৭৬ রানে অলআউট করে ব্যাটিংয়ে নামে নাজমুল শান্তর দল। তবে ব্যাটিংয়ে নেমে ভারতীয় বোলারদের তোপে তাসের ঘরের মতো ভেঙে যায় টাইগারদের ব্যাটিং লাইন-আপ।

এমনকি ফলো-অন এড়ানোর জন্য ন্যূনতম যে রান দরকার ছিল সেটাও করতে পারেনি বাংলাদেশ। ব্যাটিং ব্যর্থতায় বাংলাদেশ থেমেছে ১৪৯ রানে। ফলে স্বাগতিকদের চেয়ে ২২৭ রানে পিছিয়ে ফলো-অনে পড়ে তারা। তবে বাংলাদেশকে ফলো-অন না করিয়ে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে ভারত। ব্যাটিংয়ে নেমে ৪ উইকেটে ২৮৭ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছে। তাই চেন্নাই টেস্টে জয়ের জন্য বাংলাদেশকে করতে হতো ৫১৫ রান।

৫১৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের তোপে মাত্র ২৩৪ রানেই থেমেছে বাংলাদেশের ইনিংস। আর ভারত তুলে নিয়েছে ২৮০ রানের বিশাল জয়। ভারতের বিপক্ষে রানের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি ব্যবধানে হারের লজ্জা জুটল টাইগারদের। রানের বিচারে ভারতের কাছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় হার ছিল ২০৮ রানে। চেন্নাইয়ে সেই লজ্জাটাও ঢাকতে পারলো না টাইগাররা।

খেলা

আসিফ আকবর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিসিবি পরিচালক

দেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন। আগামী ৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিসিবি পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনের আগে বুধবার ছিল প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। দুপুর ১২টা পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময়সীমা ছিল, এর মধ্যে তামিম ইকবালসহ মোট ১৬ জন প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।

নিউজ ডেস্ক

০১ অক্টোবর ২০২৫, ১৮:৪৪

দেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন। আগামী ৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিসিবি পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনের আগে বুধবার ছিল প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। দুপুর ১২টা পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময়সীমা ছিল, এর মধ্যে তামিম ইকবালসহ মোট ১৬ জন প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।

চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন মীর হেলাল উদ্দিন। ফলে চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে বৈধ প্রার্থী হিসেবে থেকে যান কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার কাউন্সিলর আসিফ আকবর ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার আহসান ইকবাল চৌধুরী। দুই পরিচালক পদের বিপরীতে অতিরিক্ত প্রার্থী না থাকায় ভোটাভুটি ছাড়াই তারা নির্বাচিত হন।

চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে মোট চারটি মনোনয়ন জমা পড়েছিল। যাচাই-বাছাইয়ে চাঁদপুরের শওকতের মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় তিনজন বৈধ প্রার্থী ছিলেন। পরে আজ আরও একজন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করায় নির্বাচনের প্রয়োজন হয়নি। ফলে আসিফ আকবর ও আহসান ইকবাল চৌধুরী সরাসরি পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পেলেন।

উল্লেখ্য, গত তিন মেয়াদে চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে বিসিবির পরিচালক ছিলেন সাবেক ক্রিকেটার আকরাম খান ও আজম নাসির। এ বছর নতুন মুখ হিসেবে আসিফ আকবরের যোগদান দেশের ক্রিকেট প্রশাসনে ভিন্নমাত্রা যোগ করল। একজন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে ক্রিকেট বোর্ডে তার সক্রিয় অংশগ্রহণ কেমন হয়, সেটি এখন ক্রীড়ামহলে আলোচনার কেন্দ্রে।

যে ১৫ জন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন

ক্যাটাগরি ১

মীর হেলাল (চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা)

তৌহিদ তারেক (পাবনা জেলা ক্রীড়া সংস্থা)

ক্যাটাগরি ২

তামিম ইকবাল (ওল্ড ডিওএইচএস)

রফিকুল ইসলাম বাবু (ইন্দিরা রোড ক্রীড়াচক্র)

মাসুদুজ্জামান (মোহামেডান)

সাঈদ ইব্রাহীম আহমেদ (ফেয়ার ফাইটার্স)

সৈয়দ বুরহান হোসেন পাপ্পু (তেজগাঁও ক্রিকেট একাডেমি)

ইসরাফিল খশরু (এক্সিউম ক্রিকেটার্স)

সাব্বির আহমেদ রুবেল (প্রগতি সেবা সংঘ)

অসিফ রাব্বানী (শাইনপুকুর)

ইয়াসির আব্বাস (আজাদ স্পোর্টিং)

ফাহিম সিনহা (সুর্যতরুণ)

সাইফুল ইসলাম সপু (গোপীবাগ ফ্রেন্ডস)

ওমর শরীফ মোহাম্মদ ইমরান (বাংলাদেশ বয়েজ)

ক্যাটাগরি ৩

সিরাজউদ্দিন আলমগীর (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়)।

খেলা

বিসিবি পরিচালক পদে জয়ী হলেন যারা

আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছেন নির্বাচন কমিশনার। বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিনটি ক্যাটাগরি থেকে মোট ২৩ জন পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন

নিউজ ডেস্ক

০৬ অক্টোবর ২০২৫, ২০:১৬

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনে পরিচালনা পরিষদের ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছেন নির্বাচন কমিশনার। বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিনটি ক্যাটাগরি থেকে মোট ২৩ জন পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন, পাশাপাশি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) থেকে আরও দুজন পরিচালক মনোনীত হয়েছেন।

সোমবার (৬ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। দিনের শেষে কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে।

ক্যাটাগরি-১ (বিভাগীয় প্রতিনিধি):
ঢাকা বিভাগ থেকে নাজমুল আবেদিন ফাহিমআমিনুল ইসলাম বুলবুল,
চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে আহসান ইকবাল চৌধুরিআসিফ আকবর,
খুলনা বিভাগ থেকে আব্দুর রাজ্জাকজুলফিকার আলি খান,
বরিশাল বিভাগ থেকে সাখাওয়াত হোসেন,
সিলেট বিভাগ থেকে রাহাত শামস,
রাজশাহী বিভাগ থেকে মোখলেসুর রহমান,
এবং রংপুর বিভাগ থেকে হাসানুজ্জামান নির্বাচিত হয়েছেন।

ক্যাটাগরি-২ (ক্লাব প্রতিনিধি):
ঢাকা ক্লাব ক্যাটাগরি থেকে ১২ জন পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন। তারা হলেন—
ইশতিয়াক সাদেক, শানিয়ান তানিম, মেহরাব আলম চৌধুরী, ফারুক আহমেদ, আমজাদ হোসেন, মোকসেদুল কামাল, মঞ্জুরুল আলম, আদনান রহমান দিপন, আবুল বাশার শিপলু, ইফতেখার রহমান মিঠু, ফয়জুর রহমান, এবং নাজমুল ইসলাম

ক্যাটাগরি-৩ (সংস্থা ও সাবেক ক্রিকেটার):
এই ক্যাটাগরিতে সাবেক ক্রিকেটার ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোনীত কাউন্সিলর দেবব্রত পালকে পরাজিত করে নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক জাতীয় দলের তারকা খালেদ মাসুদ পাইলট

এনএসসি মনোনয়ন:
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) থেকে পরিচালক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন এম ইসফাক আহসান এবং ইয়াসির মোহাম্মদ ফয়সাল আশিক

এই ২৫ জন নির্বাচিত পরিচালকই পরবর্তী ধাপে বিসিবি সভাপতি ও দুই সহ-সভাপতি নির্বাচনে ভোট প্রদান করবেন। নতুন পরিচালনা পরিষদ এখন থেকে আগামী মেয়াদের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রশাসনিক ও কৌশলগত দিকনির্দেশনা নির্ধারণ করবে।

খেলা

জাতীয় বেইমানদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে, ভুয়া ক্রিকেট বোর্ড লাথি মেরে ছুড়ে ফেলা হবে: ইশরাক

“বিসিবির জালিয়াতির সিলেকশন ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে সাধারণ জনগণ ও ক্রীড়া সংগঠকরা। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য দেশকে স্থিতিশীল রাখতে এখন কিছু বলা হচ্ছে না। অচিরেই এই জাতীয় বেইমানদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে ইনশাআল্লাহ। আমাদের দেশের আইন মেনেই এই ভুয়া বোর্ড লাথি মেরে ছুড়ে ফেলে দেয়া হবে।”

নিউজ ডেস্ক

০৬ অক্টোবর ২০২৫, ২০:৫৮

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনে আবারও সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল। দীর্ঘ প্রশাসনিক ও কূটনৈতিক প্রক্রিয়ার পর অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে পূর্বনির্ধারিত অন্যান্য প্রার্থীরাও বোর্ড পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন বলে জানানো হয়।

সোমবার (৬ অক্টোবর) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিনটি ক্যাটাগরি থেকে ২৩ জন পরিচালক নির্বাচিত হন এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) মনোনীত হন আরও দুজন পরিচালক।

তবে ফলাফল ঘোষণার পরপরই রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা তৈরি হয় বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের প্রতিক্রিয়াকে ঘিরে। ফল ঘোষণার কিছুক্ষণ পর তিনি নিজের ফেসবুক পেজে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লেখেন—

“বিসিবির জালিয়াতির সিলেকশন ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে সাধারণ জনগণ ও ক্রীড়া সংগঠকরা। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য দেশকে স্থিতিশীল রাখতে এখন কিছু বলা হচ্ছে না। অচিরেই এই জাতীয় বেইমানদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে ইনশাআল্লাহ। আমাদের দেশের আইন মেনেই এই ভুয়া বোর্ড লাথি মেরে ছুড়ে ফেলে দেয়া হবে।”

তার এই পোস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং সমর্থক ও সমালোচকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। কেউ কেউ নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, আবার অনেকে ইশরাকের ভাষার তীব্রতা নিয়ে সমালোচনা করেন।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, দেশের ক্রীড়া প্রশাসনেও এখন রাজনৈতিক প্রভাব গভীরভাবে দৃশ্যমান হচ্ছে, যা ভবিষ্যতের নির্বাচনী প্রক্রিয়াগুলোতে আরও জটিলতা তৈরি করতে পারে।