আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পাশের দেশের গোয়েন্দা সংস্থা গত কয়েক মাসে অন্তত ৮০ জন সুব্রত বাইনের মতো পেশাদার আততায়ীকে বাংলাদেশের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশ করিয়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ করেছেন আলজাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের। তার এই দাবিকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গন ও নিরাপত্তা মহলে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে জুলকারনাইন সায়ের এসব তথ্য তুলে ধরেন। পোস্টে তিনি লেখেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে আন্ডারওয়ার্ল্ডের সন্ত্রাসী, কুষ্টিয়া–মেহেরপুর অঞ্চলের চরমপন্থী গ্রুপ এবং বিভিন্ন অপরাধী নেটওয়ার্ক একত্রিত হয়েছে। তাদের লক্ষ্য হলো নির্বাচনের সময় সহিংসতা সৃষ্টি করা এবং প্রার্থী, কেন্দ্রীয় নেতা ও স্থানীয় জনপ্রিয় নেতাদের টার্গেট করে হত্যাকাণ্ড ঘটানো।
জুলকারনাইন সায়ের দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা—যিনি সুব্রত বাইনের হ্যান্ডলার হিসেবে পরিচিত—জামিনে থাকা পিচ্চি হেলাল এবং চরমপন্থী সংগঠন গণমুক্তি ফৌজের প্রধান মুকুলের সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে টেলিফোন কনফারেন্সে এসব পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, সুব্রত বায়েন কারাগার থেকে নিজের মেয়ের মোবাইল ফোন ব্যবহার করে পিচ্চি হেলাল ও পশ্চিমবঙ্গে পলাতক মুকুলের সঙ্গে যোগাযোগ করে। পরে সুব্রত বায়েনের মেয়ে সিনথিয়া বিতু নেপালে পলাতক বিডিআর হত্যা মামলার আসামি লেদার লিটনসহ পিচ্চি হেলাল, মুকুল, বাড্ডার বড় সাঈদ ও দিপুর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে বলে দাবি করা হয়।
জুলকারনাইন সায়েরের ভাষ্য অনুযায়ী, নির্বাচন বানচাল করা এবং দেশকে চরম অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে একটি বিশেষ গোষ্ঠী সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাবে। তিনি সতর্ক করে বলেন, এই পরিস্থিতিতে বিভক্ত না হয়ে একতাবদ্ধ থাকাই দেশ ও গণতন্ত্র রক্ষার একমাত্র পথ।
এই অভিযোগ সামনে আসার পর নির্বাচনকালীন নিরাপত্তা এবং সীমান্ত নজরদারি জোরদারের দাবি আরও জোরালো হয়ে উঠেছে।