আওয়ামী লীগ জুলাই-আগস্টের “গণ-অভ্যুত্থান”কে ভণ্ডুল করতে সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে নেমেছে—এমন অভিযোগ তুলেছেন সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি। সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া বিশ্লেষণধর্মী এক ভিডিওবার্তায় তিনি বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে অনন্য একটি ঘটনা।
তার ভাষায়, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে কখনো এমন গণ-অভ্যুত্থান হয়নি, যেখানে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রকাশ্য নেতৃত্ব ছাড়াই লাখো মানুষ রাস্তায় নেমে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দীর্ঘ ১৫ বছরের শাসনব্যবস্থাকে উল্টে দিয়েছে।’
রনি বলেন, “এটি শুধু বাংলাদেশের নয়, ভারত-পাকিস্তান বা এমনকি শ্রীলঙ্কাতেও এরকম হয়নি।” তবে তিনি আক্ষেপ করে বলেন, সেই অভ্যুত্থানের পর যেসব স্বপ্ন ছিল, তা ভেঙে গেছে। “দেশে নতুন ধরনের দুর্বৃত্তায়ন শুরু হয়েছে, এমন অপরাধ বেড়েছে যা আগে ভাবা যায়নি,” মন্তব্য করেন রনি।
তার দাবি, এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে আওয়ামী লীগ নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর কৌশল নিয়েছে। রনি বলেন, “পরাজিত আওয়ামী লীগ এখন পাল্টা আক্রমণ শুরু করেছে। তারা ২০২৫ সালের শুরু থেকে সংগঠন মজবুত করছে, মিছিল-মিটিং করছে, নানা বক্তব্য দিচ্ছে।
তারা বলছে শেখ হাসিনার হাতেই বাংলাদেশ নিরাপদ।” তিনি অভিযোগ করেন, “যারা কয়েক মাস লজ্জায় মুখ দেখাতে পারেনি, তারা এখন দেশের বাইরে থেকে নানা ন্যারেটিভ ছড়িয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। এরকম বক্তব্য-বিশ্লেষণ তৈরি করা হচ্ছে, যা রুখে দেওয়ার ক্ষমতা বিএনপিরও নেই, সরকারেরও নেই।”
রনি সতর্ক করে বলেন, আওয়ামী লীগ সর্বশক্তি দিয়ে মাঠে নামছে, তাদের প্রচারযন্ত্রও পুরোপুরি সক্রিয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, রনির এই বক্তব্য আসলে চলমান রাজনৈতিক উত্তাপ এবং ক্ষমতাকেন্দ্রিক দ্বন্দ্বের নতুন মাত্রা তুলে ধরছে।