বাংলাদেশি চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়ার গ্রেপ্তার নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ব্রিটিশ সাংবাদিক ও মানবাধিকার পর্যবেক্ষক ডেভিড বার্গম্যান। রোববার (১৯ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার এখন নৈতিক ও রাজনৈতিক দিকনির্দেশনায় হিমশিম খাচ্ছে।”
বার্গম্যান আরও বলেন, “সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করা নুসরাত ফারিয়ার গ্রেপ্তার গভীরভাবে উদ্বেগজনক। দেশের এমন এক পর্যায়ে এসে পৌঁছেছি, যেখানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সমর্থক হওয়াও কাউকে টার্গেট করার জন্য যথেষ্ট হয়ে উঠেছে।”
তিনি দাবি করেন, “বাংলাদেশে এখন অনেকেই নিজেদের নিরাপদ ভাবতে পারছেন না। যেকোনো সময় ভিত্তিহীন অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ার আশঙ্কা সত্যি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তথাকথিত ‘সিভিল সোসাইটি’ এখন ন্যায়বিচার নয়, প্রতিশোধের মনোভাব নিয়ে চলছে। এর ফলাফল ভয়াবহ।”
রোববার সকালে থাইল্যান্ডে যাওয়ার সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নুসরাত ফারিয়াকে আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। পরে তাকে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়।
মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ এপ্রিল ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এক হত্যাচেষ্টা মামলায় নুসরাত ফারিয়াসহ ১৭ জন শিল্পীর নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বাদী এনামুল হক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৮৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৩০০–৪০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে এজাহার দাখিল করেন।
অভিযোগে বলা হয়, ফারিয়া ছিলেন ‘ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে অভিযানে অর্থায়নকারী’দের একজন। মামলায় আরও নাম রয়েছে অপু বিশ্বাস, নিপুণ, সুবর্ণা মুস্তাফা, সোহানা সাবাসহ একাধিক জনপ্রিয় শিল্পীর।
ডেভিড বার্গম্যান বলেন, “এটি আইনের শাসনের অপব্যবহার। এটি ন্যায়বিচার নয়, বরং রাজনৈতিক প্রতিহিংসার প্রতিফলন। এ অবস্থা দেশের জন্য গভীর সংকেত।”