বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

সোশ্যাল মিডিয়া

আমার পরিবারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা একেবারেই ভিত্তিহীন : সজীব ওয়াজেদ

বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, পূর্বাচল নিউ টাউন প্রকল্পে জমি বরাদ্দ নিয়ে আমার পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলাগুলো একেবারেই ভিত্তিহীন, পুরোপুরি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং অপপ্রচারের অংশ। শুক্রবার (২ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তার ভেরিফায়েড পেজের এক পোস্টে তিনি এ দাবি করেন। পোস্টে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, আমাদের […]

নিউজ ডেস্ক

০২ মে ২০২৫, ১৭:১৫

বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, পূর্বাচল নিউ টাউন প্রকল্পে জমি বরাদ্দ নিয়ে আমার পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলাগুলো একেবারেই ভিত্তিহীন, পুরোপুরি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং অপপ্রচারের অংশ।

শুক্রবার (২ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তার ভেরিফায়েড পেজের এক পোস্টে তিনি এ দাবি করেন।

পোস্টে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে তিনটি কথিত নিয়মভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। ১. আমরা নাকি নির্ধারিত ফরমে আবেদন করিনি; ২. আমাদের নামে রাজউকের আওতায় জমি থাকার পরও বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে; ৩. আবেদনকারীদের তালিকায় নাকি আমাদের নাম ছিল না।

সরকার চাইলে জমি বরাদ্দ দিতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, ১৯৬৯ সালের রাজউক (জমি বরাদ্দ) বিধিমালার ১৩(ক) ধারা অনুযায়ী — যেখানে স্পষ্টভাবে বলা আছে, সরকার চাইলে বিশেষ অবদানের জন্য

(যেমন: সরকারি দায়িত্ব, জনসেবা বা জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে অবদান রাখা) ব্যক্তিদের জমি বরাদ্দ দিতে পারে। এছাড়াও, মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবারের সদস্য এবং রাষ্ট্রীয় অবদান রাখা সরকারি কর্মকর্তাদের জমি বরাদ্দ দেওয়ার সুযোগও ওই বিধিমালাতেই আছে।

অভিযোগকে অপ্রাসঙ্গিক আখ্যা দিয়ে জয় বলেন, আমার পরিবারের সদস্যরা এই বিশেষ বিধানের আওতায় (১৩(ক)(১)(ক) এবং ১৩(ক)(১)(গ)) মন্ত্রী এবং শহীদ পরিবারের সদস্য হিসেবে আবেদন করেছিলেন। এই বিধান অনুযায়ী, কারও নামে রাজউক এলাকায় অন্য জমি থাকলেও সেটা কোনো বাধা না।

যথাযথভাবে প্রক্রিয়ায় আবেদন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছিলাম, যিনি তা যথাযথভাবে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে সুপারিশসহ প্রেরণ করেন। সুতরাং, বলা হচ্ছে যে আমরা সঠিক ফরমে আবেদন করিনি—এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

‘এরপর গৃহায়ণ মন্ত্রণালয় বিধি অনুযায়ী (অ্যালোকেশন অব বিজনেস ১৯৯৬) আবেদনগুলো অনুমোদন করে এবং রাজউককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলে। রাজউক তা বরাদ্দ কমিটির সামনে উপস্থাপন করে, এবং নিয়ম অনুযায়ী বরাদ্দ অনুমোদন করা হয়।’

জমিগুলো বিনামূল্যে দেওয়া হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রত্যেক ধাপে নিয়ম মেনে কাজ হয়েছে। আমরা সরকার নির্ধারিত দামে কিনেছি।

দুদক থেকে নিরপেক্ষতা আশা করাই বোকামি দাবি করে তিনি জানান, দুদক একটা পুরোপুরি রাজনৈতিক হুমকির যন্ত্র হয়ে উঠেছে— আমার পরিবারকে হয়রানি আর বদনামের জন্য। দুদকের চেয়ারম্যান আবদুল মোমেন, যাকে আওয়ামী লীগ সরকার দুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্ত করেছিল, এখন এই অপারেশনের প্রধান। তার একমাত্র যোগ্যতা, তিনি বিএনপি-ঘনিষ্ঠ আমলা ছিলেন, খালেদা জিয়ার প্রাইভেট সেক্রেটারি ছিলেন।

পোস্টে তিনি দাবি করেন, মামলার ভেতরে অনিয়মের কোনো তথ্য প্রমাণ নেই, সবই প্রচারণা।

সোশ্যাল মিডিয়া

হাসনাত সারজিসকে শুয়োর বলে চাকরী হারালেন এখন টিভির উপস্থাপিকা

জাতীয় নাগরিক পার্টির শীর্ষনেতা এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রধানমুখ হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করার জেরে এখন টিভির নিউজরুম এডিটর ও টেলিভিশন উপস্থাপিকা জেনিসিয়া বর্ণাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। সম্প্রতি দেশে আলোড়ন সৃষ্টিকারী মাগুরার ন্যাক্কারজনক ঘটনা, যেখানে আট বছরের শিশু আছিয়া গণধর্ষণের শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়, সে ঘটনাকে কেন্দ্র করে গণমাধ্যমের […]

হাসনাত সারজিসকে শুয়োর বলে চাকরী হারালেন এখন টিভির উপস্থাপিকা

ছবি: সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৪ মার্চ ২০২৫, ০৬:৩৬

জাতীয় নাগরিক পার্টির শীর্ষনেতা এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রধানমুখ হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করার জেরে এখন টিভির নিউজরুম এডিটর ও টেলিভিশন উপস্থাপিকা জেনিসিয়া বর্ণাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

সম্প্রতি দেশে আলোড়ন সৃষ্টিকারী মাগুরার ন্যাক্কারজনক ঘটনা, যেখানে আট বছরের শিশু আছিয়া গণধর্ষণের শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়, সে ঘটনাকে কেন্দ্র করে গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। ঘটনার প্রেক্ষাপটে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এখন টিভি সরাসরি সম্প্রচারে ছিল।

তবে সম্প্রচারের সময় একটি কারিগরি ত্রুটির কারণে স্টুডিওর অভ্যন্তরীণ কথোপকথনের কিছু অংশ লাইভ সম্প্রচারে চলে আসে। যেখানে নিউজরুম থেকে একজন উপস্থাপক জানতে চান, হাসনাত ও সারজিস মাগুরায় গেছেন কি না।

এর প্রতিউত্তরে উপস্থাপিকা জেনিসিয়া বর্ণা কটূক্তি করে বলেন, “এই শুয়োরগুলো গেলেই কি আর না গেলেই কি!”

এই মন্তব্য মুহূর্তের মধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। বিষয়টি নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হলে এখন টিভির সিইও তুষার আবদুল্লাহ দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে উপস্থাপিকা জেনিসিয়া বর্ণাকে চাকরিচ্যুত করেন বলে জানা গেছে।

এই ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে উপস্থাপিকা জেনিসিয়া বর্ণা বা এখন টিভির সিইও তুষার আবদুল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও এখন পর্যন্ত তাদের কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিক মহল এবং নাগরিক সমাজে আলোচনা চলছে। কেউ কেউ বলছেন, গণমাধ্যমের একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তির কাছ থেকে এমন মন্তব্য আসা অত্যন্ত দুঃখজনক, যা সাংবাদিকতার নৈতিকতা ও নিরপেক্ষতার পরিপন্থী। অন্যদিকে, কেউ কেউ বলছেন, কারিগরি ত্রুটির কারণে এটি অনিচ্ছাকৃতভাবে সম্প্রচারিত হলেও একজন গণমাধ্যমকর্মীর পেশাদারিত্বের জায়গা থেকে সংযত থাকা উচিত ছিল।

ঘটনার পর থেকে বিষয়টি নিয়ে এখন টিভির অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনায়ও টানাপোড়েন চলছে বলে জানা গেছে। টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর সংবাদ পরিবেশনে দায়িত্বশীলতার গুরুত্ব এবং গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।

সোশ্যাল মিডিয়া

‘টক অব দ্যা কান্ট্রি’ হাসনাত আবদুল্লাহ, বিশেষ বার্তা দিলেন খালেদ মুহিউদ্দীন

জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বৃহস্পতিবার রাতে এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে দাবি করেছেন, সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসকে সামনে রেখে বাংলাদেশে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার চেষ্টা চলছে। সেটিকে ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ নামে নতুন একটি ষড়যন্ত্র হিসেবে […]

নিউজ ডেস্ক

২১ মার্চ ২০২৫, ১৮:৫৩

জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বৃহস্পতিবার রাতে এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে দাবি করেছেন, সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসকে সামনে রেখে বাংলাদেশে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার চেষ্টা চলছে।

সেটিকে ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ নামে নতুন একটি ষড়যন্ত্র হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ক্যান্টনমেন্ট থেকে এই পরিকল্পনা করা হয় বলেও তিনি তার পোস্টে উল্লেখ করেছেন।

বলা চলে এটি এখন ‘টক অব দ্যা কান্ট্রি’।

এ নিয়ে জনপ্রিয় সংবাদ উপস্থাপক খালেদ মুহিউদ্দীন তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট করেছেন।

পোস্টে তিনি লেখেন- হাসনাত আব্দুল্লাহ যে সাহস টা দেখালো, যে প্রলোভন অগ্রাহ্য করল সেটা বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল। তার পাশে ছাত্র-জনতাকে দাঁড়াতে হবে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকেই দলটিকে রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি উঠে আসছে।

সোশ্যাল মিডিয়া

কান্নাজড়িত কণ্ঠে অনুরোধ করে বলেন ‘আমারে এরকম বিরক্ত করলে আত্মহত্যা করমু ভাই’

ওই কিরে, ওই কিরে’ বলে তরমুজ বিক্রেতা রনি এখন ভাইরাল। তার এই ডায়ালগটি এখন স্যোশাল মাধ্যমের সবখানেই ব্যবহার করছেন নেটিজেনরা। এমনকি রনিকে ডেকে নিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তরমুজ কেটে প্রতিষ্ঠানের প্রচারণা করছেন। কিন্তু এসব কর্মকাণ্ডের কারণে বিপাকে পড়েছেন ভাইরাল তরমুজ বিক্রেতা রনি। তিনি এতটাই ভাইরাল হয়েছেন যে, কনটেন্ট ক্রিয়েটররা তার দোকানের সামনে গিয়ে ভিড় জমাচ্ছেন। এতে […]

নিউজ ডেস্ক

১৭ মার্চ ২০২৫, ১৪:০৫

ওই কিরে, ওই কিরে’ বলে তরমুজ বিক্রেতা রনি এখন ভাইরাল। তার এই ডায়ালগটি এখন স্যোশাল মাধ্যমের সবখানেই ব্যবহার করছেন নেটিজেনরা। এমনকি রনিকে ডেকে নিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তরমুজ কেটে প্রতিষ্ঠানের প্রচারণা করছেন। কিন্তু এসব কর্মকাণ্ডের কারণে বিপাকে পড়েছেন ভাইরাল তরমুজ বিক্রেতা রনি।

তিনি এতটাই ভাইরাল হয়েছেন যে, কনটেন্ট ক্রিয়েটররা তার দোকানের সামনে গিয়ে ভিড় জমাচ্ছেন। এতে তিনি স্বাভাবিকভাবে তরমুজ বিক্রি করতে পারছেন না। তাই আক্ষেপ করে তিনি এভাবে চলতে থাকলে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন।

তিনি গতকাল এক ভিডিওতে বলেছেন, ‘আমারে এরকম বিরক্ত করলে আমি গলায় ছুরি দিমু নয়তো ২৪ তলা থেকে পড়ে আত্মহত্যা করমু ভাই।

আমার দেড় লক্ষ টাকার মাল পচে যাচ্ছে। আমি বিক্রি করতে পারতেছি না।’

তিনি ওই ভিডিওতে আরো বলেন, ‘আমি তো ভিডিও করার জন্য না বলি নাই। আমি ভিডিও দিব।

আপনারা যা বলবেন আমি তাই শুনবো, কিন্তু আমারে ভালো রাখেন। কর্ম করে খাইতে দেন ভাই। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে অনুরোধ করে বলেন, ‘আমারে বিরক্ত করবেন না ভাই।’

সম্প্রতি কারওয়ান বাজারে তরমুজ বিক্রি করতে গিয়ে ভাইরাল হন রনি। তরমুজ বিক্রির সময় এক কনটেন্ট ক্রিয়েটর তা ধারণ করে ছড়িয়ে দেন।

তা মুহুতেই স্যোশাল মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তারপর থেকেই রনির দোকানে ভিড় জমাতে থাকেন কনটেন্ট ক্রিয়েটররা। এদিকে, তরমুজ বিক্রেতার এমন বক্তব্যের পর অনেক প্রতিষ্ঠান তার পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন।