মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

সোশ্যাল মিডিয়া

এমন দমবন্ধ করা, পহেলা বৈশাখ দেখিনি, কখনও দেখব বলেও আশা করিনি : শাওন

প্রয়াত নন্দিত কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের দ্বিতীয় স্ত্রী ও বিতর্কিত অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন মন্তব্য করেছেন, এমন দমবন্ধ করা, সব কিছু অবরুদ্ধ করা পহেলা বৈশাখ দেখিনি। কখনও দেখব বলেও আশা করিনি। আজ সোমবার (১৪ এপ্রিল) পশ্চিমবঙ্গের আনন্দবাজার পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে তার একটি লেখা প্রকাশিত হয়, যেখানে তিনি ওই মন্তব্য করেন। শাওনের নিবন্ধনটি নিচে তুলে ধরা […]

এমন দমবন্ধ করা, পহেলা বৈশাখ দেখিনি, কখনও দেখব বলেও আশা করিনি : শাওন

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৪ এপ্রিল ২০২৫, ১৯:৫৬

প্রয়াত নন্দিত কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের দ্বিতীয় স্ত্রী ও বিতর্কিত অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন মন্তব্য করেছেন, এমন দমবন্ধ করা, সব কিছু অবরুদ্ধ করা পহেলা বৈশাখ দেখিনি। কখনও দেখব বলেও আশা করিনি।

আজ সোমবার (১৪ এপ্রিল) পশ্চিমবঙ্গের আনন্দবাজার পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে তার একটি লেখা প্রকাশিত হয়, যেখানে তিনি ওই মন্তব্য করেন। শাওনের নিবন্ধনটি নিচে তুলে ধরা হলো-

এ বারের পহেলা বৈশাখটা অন্য বারের তুলনায় যেন একবারে আলাদা। প্রতি বছর আমার দেশে যে ভাবে এই উৎসবটা পালিত হত, সে ভাবে আর হবে না, খুবই অপ্রত্যাশিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের উদ্যোগে বাংলা নববর্ষে ঢাকায় যে শোভাযাত্রা বার হয়, সেটারও নাম বদল হয়েছে।

‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র সঙ্গেই পরিচিত আমরা। যদিও এ বছর সেটা ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’ বলেই পরিচিত হবে। নামবদলের নেপথ্যে যে রাজনীতির ভূমিকা আছে, তা আঁচ করতে পারি।

কিন্তু রাজনৈতিক কারণে নামবদল হলেই যে আনন্দ নষ্ট হবে, সেটা কিন্তু মনে করতাম না। কিন্তু যখনই দেখলাম, প্রতি বছর আমাদের যে শোভাযাত্রা হয় সেটা চারুকলা বিভাগের ছাত্রেরা আয়োজন করে। কিন্তু এ বার ব্যাপারটা ছাত্রদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এর মধ্যে সরকারের হস্তক্ষেপ দেখতে পাচ্ছি। আসলে সংস্কৃতি কিংবা ঐতিহ্য উদ্‌যাপনে সরকারের হস্তক্ষেপ আমরা আশা করি না।

সরকারের এই হস্তক্ষেপের কারণে প্রতি বার যে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ হয়, সেটা এ বার হবে না বলেই আমার ধারণা। আমি প্রতি বছর সশরীরে শোভযাত্রায় থাকতে না পারলেও অন্তত টেলিভিশনের পর্দায়, কিংবা সমাজমাধ্যমে সবটা দেখতাম।

জানি না, এ বার তেমন কিছু হবে কি না! তবে এ বছর উদ্‌যাপন স্বতঃস্ফূর্ত না হলে বিষয়টা একজন বাঙালি হিসেবে ও শিল্পী হিসেবে দুঃখজনক। আমি নিজে শিল্পী। কিন্তু বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের শিল্পীজগৎ ও সংস্কৃতিমনস্কদের নিয়ে নিজেই কেমন সন্দিহান হয়ে গিয়েছি।

সংস্কৃতি জগতের বহু নামীদামি মানুষকেই দেখলাম এই পটপরিবর্তনের সঙ্গে নিজেরাও বদলে গিয়েছেন। একটা কথা উল্লেখ করতে হয়। সম্প্রতি আমাদের এখানে মহিলা সমিতিতে ‘শেষের কবিতা’ নাটকটি মঞ্চস্থ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শুনলাম, জনতার প্রতিবাদের মুখে নাকি সেটা করা সম্ভব হয়নি।

একদল মানুষ যেখানে নাটক মঞ্চায়ন রুখতে তৎপর। সে ক্ষেত্রে আমার প্রশ্ন— আমাদের সাংস্কৃতিক জগতের অনেকেই আছেন যাঁরা বর্তমান সরকারের সঙ্গে যুক্ত, তাঁরা কেন কিছু দেখছেন না? তাঁরা কি দেখেও না দেখার ভান করছেন? আসলে সব থেকে মনখারাপের জায়গা হল, একজন শিল্পী হয়ে অন্য শিল্পীর জন্য একাত্ম হতে আর দেখছি না।

হয়তো বলতে দেওয়া হচ্ছে না। আসলে বলতে গেলে মুখ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। তাই আজকাল আমিও খুব বেশি কিছু বলি না।

এমন দমবন্ধ করা, সব কিছু অবরুদ্ধ করা পহেলা বৈশাখ দেখিনি। কখনও দেখব বলেও আশা করিনি। আসলে ছোটবেলার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে রমনা বটমূল, ছায়ানটের গান। ছোটবেলায় সব সময় যেতাম সেখানে।

ছায়ানটের গান দিয়ে শুরু হত দিন। সকলে মিলে রাস্তায় বেড়াতাম, রংবেরঙের মুখোশ কিনতাম, যে দিকে তাকাতাম সে দিকেই লাল-সাদা। মনে হত গোটা বাংলাদেশটা ঝলমল করছে। তেমন একটা ঝলমলে শহরে পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপনটা এমন হয়ে যাবে, সেটা ভাবিনি।

চারপাশে নামবদল নিয়ে এখন নানা কথা শুনছি। তবে এর বীজটা মনে হয় আগে থেকেই রোপণ করা হয়ে গিয়েছিল। আসলে এখন নামের মধ্যেও ধর্ম খুঁজে বার করা হচ্ছে। ‘আনন্দ’ শব্দটার মধ্যেও চাইলে অনেক কিছু খুঁজতে পারেন। আমার ধারণা, একটা বিশেষ শ্রেণিকে তুষ্ট করতেই এই নামবদল।

কারণ তাঁরা ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামটা পছন্দ করে না। তাঁরা অনেক দিন ধরেই চাইছিলেন, এই বদলটা হোক। রাজনৈতিক পটভূমি বদলালে কিছু না কিছু রদবদল হয়ই। কিন্তু আমরা যা ভেবেছিলাম, তার থেকে অনেক বেশি পরিবর্তন হয়েছে।

অনেকেই হয়তো পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে একটা বিভাজন লক্ষ করতে পারবেন। আগে এখানে বাঙালি সত্তা প্রবল পরিমাণে ছিল, কিন্তু এখন অবশ্য একটা বিভাজন খুবই স্পষ্ট।

যদিও এত কিছুর মধ্যে আমি নিজের পরিবার ও কিছু প্রিয় মানুষকে নিয়ে উৎসব উদ্‌যাপন করব। সবটাই বাড়িতে। যে কোনও উৎসবের সঙ্গে খাওয়াদাওয়া ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে থাকে।

তবে ইলিশ-পান্তা খাওয়ার পক্ষপাতী নই সে ভাবে। বরং অনেক ধরনের ভর্তা ও দেশীয় মাছ খেতে ভালবাসি। আসলে এই দিনটাতে ঘরটাকেও সে ভাবে সাজাব। নিজের ও ঘরের মধ্যে সেই দেশীয় সাজকেই অগ্রাধিকার দিয়ে থাকি।

তবে মাঝেমধ্যে মনে হয়, আমরা যে বাঙালিয়ানা দেখে বড় হয়েছি, সেটা হয়তো আমার সন্তানেরা দেখতে পাচ্ছে না। তবে আমার দুই ছেলে অনেকটা বড়। একজনের বয়স ১৮, ছোটটার ১৪ হল। মানুষ হিসেবে ওরাও খুব সচেতন। ওরা বাংলাদেশের ইতিহাস পড়ত।

এখন আমি আরও বেশি করে আমাদের দেশের ইতিহাস পড়তে উৎসাহিত করি। ওদের একটা নিজস্ব মনন তৈরি হচ্ছে। আসলে আমি আশা ছাড়িনি। আমার মনে হয়, আমি যে বাংলাদেশ দেখে বড় হয়েছি, তেমন বাঙালিয়ানা আমার সন্তানেরাও আবার দেখতে পাবে। আর চাই, আমার সন্তানেরা যাতে বাঙালির সংস্কৃতির গুরুত্বটা বোঝে।

তবে যে কোনও প্রসঙ্গে একজন কথায় কথায় চলেই আসেন। তিনি হুমায়ূন আহমেদ। অনেকেই প্রশ্ন করেন, এমন সময় তিনি থাকলে তাঁর কেমন লাগত? আমি নিশ্চিত করে উত্তর দিতে পারব না, তাঁর কী অনুভূতি হত। তবে এটা জানি, তিনি প্রবল ভাবে বাঙালি ছিলেন।

যাঁরা ওঁর লেখা পড়েছেন, তাঁরা জানেন। তিনি বাঙালির সংস্কৃতি থেকে রান্নাবান্নার কতটা অনুরাগী ছিলেন। একটা কথা হলফ করে বলতে পারি। পরিবর্তিত এই সময়ে যেখানে নাটক মঞ্চস্থ করা বন্ধ হচ্ছে, গান বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে, সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের উপর বাধা আসছে, সেটা হুমায়ূন আহমেদ পছন্দ করতেন না বলেই ধারণা।

মাঝেমধ্যে হতাশ লাগে। তবে তার পরেও দেশকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে ছাড়ি না। ভবিষ্যৎ নিয়ে স্বপ্ন দেখি। তবে একটা জিনিস বড্ড ভাবায়। বাংলাদেশে ‘মব সংস্কৃতির’ চল শুরু হয়েছে, যাকে বলা হয় ‘উত্তেজিত জনতা’।

তবে এটাও ঠিক, জনতা নিজে নিজে উত্তেজিত হয় না। পিছনে কোনও না কোনও ইন্ধন থাকে। আমি চাই এই ‘মব সংস্কৃতি’ বন্ধ করতে আশু পদক্ষেপ করুক এই সরকার।

সোশ্যাল মিডিয়া

হাসনাত সারজিসকে শুয়োর বলে চাকরী হারালেন এখন টিভির উপস্থাপিকা

জাতীয় নাগরিক পার্টির শীর্ষনেতা এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রধানমুখ হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করার জেরে এখন টিভির নিউজরুম এডিটর ও টেলিভিশন উপস্থাপিকা জেনিসিয়া বর্ণাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। সম্প্রতি দেশে আলোড়ন সৃষ্টিকারী মাগুরার ন্যাক্কারজনক ঘটনা, যেখানে আট বছরের শিশু আছিয়া গণধর্ষণের শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়, সে ঘটনাকে কেন্দ্র করে গণমাধ্যমের […]

হাসনাত সারজিসকে শুয়োর বলে চাকরী হারালেন এখন টিভির উপস্থাপিকা

ছবি: সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৪ মার্চ ২০২৫, ০৬:৩৬

জাতীয় নাগরিক পার্টির শীর্ষনেতা এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রধানমুখ হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করার জেরে এখন টিভির নিউজরুম এডিটর ও টেলিভিশন উপস্থাপিকা জেনিসিয়া বর্ণাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

সম্প্রতি দেশে আলোড়ন সৃষ্টিকারী মাগুরার ন্যাক্কারজনক ঘটনা, যেখানে আট বছরের শিশু আছিয়া গণধর্ষণের শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়, সে ঘটনাকে কেন্দ্র করে গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। ঘটনার প্রেক্ষাপটে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এখন টিভি সরাসরি সম্প্রচারে ছিল।

তবে সম্প্রচারের সময় একটি কারিগরি ত্রুটির কারণে স্টুডিওর অভ্যন্তরীণ কথোপকথনের কিছু অংশ লাইভ সম্প্রচারে চলে আসে। যেখানে নিউজরুম থেকে একজন উপস্থাপক জানতে চান, হাসনাত ও সারজিস মাগুরায় গেছেন কি না।

এর প্রতিউত্তরে উপস্থাপিকা জেনিসিয়া বর্ণা কটূক্তি করে বলেন, “এই শুয়োরগুলো গেলেই কি আর না গেলেই কি!”

এই মন্তব্য মুহূর্তের মধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। বিষয়টি নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হলে এখন টিভির সিইও তুষার আবদুল্লাহ দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে উপস্থাপিকা জেনিসিয়া বর্ণাকে চাকরিচ্যুত করেন বলে জানা গেছে।

এই ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে উপস্থাপিকা জেনিসিয়া বর্ণা বা এখন টিভির সিইও তুষার আবদুল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও এখন পর্যন্ত তাদের কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিক মহল এবং নাগরিক সমাজে আলোচনা চলছে। কেউ কেউ বলছেন, গণমাধ্যমের একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তির কাছ থেকে এমন মন্তব্য আসা অত্যন্ত দুঃখজনক, যা সাংবাদিকতার নৈতিকতা ও নিরপেক্ষতার পরিপন্থী। অন্যদিকে, কেউ কেউ বলছেন, কারিগরি ত্রুটির কারণে এটি অনিচ্ছাকৃতভাবে সম্প্রচারিত হলেও একজন গণমাধ্যমকর্মীর পেশাদারিত্বের জায়গা থেকে সংযত থাকা উচিত ছিল।

ঘটনার পর থেকে বিষয়টি নিয়ে এখন টিভির অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনায়ও টানাপোড়েন চলছে বলে জানা গেছে। টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর সংবাদ পরিবেশনে দায়িত্বশীলতার গুরুত্ব এবং গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।

সোশ্যাল মিডিয়া

‘টক অব দ্যা কান্ট্রি’ হাসনাত আবদুল্লাহ, বিশেষ বার্তা দিলেন খালেদ মুহিউদ্দীন

জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বৃহস্পতিবার রাতে এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে দাবি করেছেন, সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসকে সামনে রেখে বাংলাদেশে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার চেষ্টা চলছে। সেটিকে ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ নামে নতুন একটি ষড়যন্ত্র হিসেবে […]

নিউজ ডেস্ক

২১ মার্চ ২০২৫, ১৮:৫৩

জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বৃহস্পতিবার রাতে এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে দাবি করেছেন, সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসকে সামনে রেখে বাংলাদেশে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার চেষ্টা চলছে।

সেটিকে ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ নামে নতুন একটি ষড়যন্ত্র হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ক্যান্টনমেন্ট থেকে এই পরিকল্পনা করা হয় বলেও তিনি তার পোস্টে উল্লেখ করেছেন।

বলা চলে এটি এখন ‘টক অব দ্যা কান্ট্রি’।

এ নিয়ে জনপ্রিয় সংবাদ উপস্থাপক খালেদ মুহিউদ্দীন তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট করেছেন।

পোস্টে তিনি লেখেন- হাসনাত আব্দুল্লাহ যে সাহস টা দেখালো, যে প্রলোভন অগ্রাহ্য করল সেটা বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল। তার পাশে ছাত্র-জনতাকে দাঁড়াতে হবে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকেই দলটিকে রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি উঠে আসছে।

সোশ্যাল মিডিয়া

কান্নাজড়িত কণ্ঠে অনুরোধ করে বলেন ‘আমারে এরকম বিরক্ত করলে আত্মহত্যা করমু ভাই’

ওই কিরে, ওই কিরে’ বলে তরমুজ বিক্রেতা রনি এখন ভাইরাল। তার এই ডায়ালগটি এখন স্যোশাল মাধ্যমের সবখানেই ব্যবহার করছেন নেটিজেনরা। এমনকি রনিকে ডেকে নিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তরমুজ কেটে প্রতিষ্ঠানের প্রচারণা করছেন। কিন্তু এসব কর্মকাণ্ডের কারণে বিপাকে পড়েছেন ভাইরাল তরমুজ বিক্রেতা রনি। তিনি এতটাই ভাইরাল হয়েছেন যে, কনটেন্ট ক্রিয়েটররা তার দোকানের সামনে গিয়ে ভিড় জমাচ্ছেন। এতে […]

নিউজ ডেস্ক

১৭ মার্চ ২০২৫, ১৪:০৫

ওই কিরে, ওই কিরে’ বলে তরমুজ বিক্রেতা রনি এখন ভাইরাল। তার এই ডায়ালগটি এখন স্যোশাল মাধ্যমের সবখানেই ব্যবহার করছেন নেটিজেনরা। এমনকি রনিকে ডেকে নিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তরমুজ কেটে প্রতিষ্ঠানের প্রচারণা করছেন। কিন্তু এসব কর্মকাণ্ডের কারণে বিপাকে পড়েছেন ভাইরাল তরমুজ বিক্রেতা রনি।

তিনি এতটাই ভাইরাল হয়েছেন যে, কনটেন্ট ক্রিয়েটররা তার দোকানের সামনে গিয়ে ভিড় জমাচ্ছেন। এতে তিনি স্বাভাবিকভাবে তরমুজ বিক্রি করতে পারছেন না। তাই আক্ষেপ করে তিনি এভাবে চলতে থাকলে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন।

তিনি গতকাল এক ভিডিওতে বলেছেন, ‘আমারে এরকম বিরক্ত করলে আমি গলায় ছুরি দিমু নয়তো ২৪ তলা থেকে পড়ে আত্মহত্যা করমু ভাই।

আমার দেড় লক্ষ টাকার মাল পচে যাচ্ছে। আমি বিক্রি করতে পারতেছি না।’

তিনি ওই ভিডিওতে আরো বলেন, ‘আমি তো ভিডিও করার জন্য না বলি নাই। আমি ভিডিও দিব।

আপনারা যা বলবেন আমি তাই শুনবো, কিন্তু আমারে ভালো রাখেন। কর্ম করে খাইতে দেন ভাই। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে অনুরোধ করে বলেন, ‘আমারে বিরক্ত করবেন না ভাই।’

সম্প্রতি কারওয়ান বাজারে তরমুজ বিক্রি করতে গিয়ে ভাইরাল হন রনি। তরমুজ বিক্রির সময় এক কনটেন্ট ক্রিয়েটর তা ধারণ করে ছড়িয়ে দেন।

তা মুহুতেই স্যোশাল মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তারপর থেকেই রনির দোকানে ভিড় জমাতে থাকেন কনটেন্ট ক্রিয়েটররা। এদিকে, তরমুজ বিক্রেতার এমন বক্তব্যের পর অনেক প্রতিষ্ঠান তার পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন।