সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

সোশ্যাল মিডিয়া

এত অতিকথন ভালো নয়, আপনি সীমা লঙ্ঘন করেছেন : হাসনাতকে জিল্লুর রহমান

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহর সেনানিবাসে বৈঠক নিয়ে স্ট্যাটাস প্রসঙ্গে সিনিয়র সাংবাদিক জিল্লুর রহমান বলেছেন, এত অতিকথন ভালো নয়। আপনি এটা অতিরিক্ত করে ফেলেছেন। সীমা লঙ্ঘন করে ফেলেছেন এবং দেশটাকে একটা বিপর্যের মধ্যে নিয়ে গেছেন, নিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওবার্তায় সাংবাদিক জিল্লুর রহমান এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেছেন, আমি […]

নিউজ ডেস্ক

২৩ মার্চ ২০২৫, ১০:৩৩

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহর সেনানিবাসে বৈঠক নিয়ে স্ট্যাটাস প্রসঙ্গে সিনিয়র সাংবাদিক জিল্লুর রহমান বলেছেন, এত অতিকথন ভালো নয়। আপনি এটা অতিরিক্ত করে ফেলেছেন।

সীমা লঙ্ঘন করে ফেলেছেন এবং দেশটাকে একটা বিপর্যের মধ্যে নিয়ে গেছেন, নিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওবার্তায় সাংবাদিক জিল্লুর রহমান এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেছেন, আমি শুনেছি যে ছাত্রনেতারা বলছেন ৫ তারিখের পরে নাকি অস্ত্রহাতে যুদ্ধ করার পরিকল্পনা করেছেন। কী হাস্যকর কথা। তারপর আপনি বলেছেন গোপন কথা, আপনার সঙ্গে ক্যান্টনমেন্টে আলোচনা হচ্ছে। আমার কথা হলো, সেই সময়ে সরকার গঠন প্রক্রিয়ার মধ্যে আসিফ যেটা বলছেন, হাসনাত যেগুলো বলছেন, যেসব আলোচনা হচ্ছে, এসব আলোচনা- তাহলে আপনাদের সঙ্গে কেউ কথা বলবেন না কোনো দিন।

তিনি বলেন, হ্যাঁ! একটা আলোচনায় অনেক রকমের আলোচনা হয়। আপনি কি সব আলোচনা পাবলিক করেন? আমরা কি সব সময় করি? এই যে শো-এর আগে আমার সঙ্গে পলিটিশিয়ানরা যেসব কথা বলেন বা শো-এর পরে বলেন, আমি কি সেগুলো অন্য জায়গায় বলে বেড়াই? আর সেগুলো যদি আমি বলতাম, তাহলে এত বছর এই শো রান করতে পারতাম আমি? পারতাম না।

সব সত্য সব সময় বলতে নেই উল্লেখ করে জিল্লুর রহমান বলেন, আপনারা তো এখন দেশটাকে একটা অন্ধকার জগতে নিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। এখন দেশটাকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।

গৃহযুদ্ধ আপনাদের পছন্দ হতে পারে, কিন্তু বাংলাদেশের ২০ কোটি মানুষের পছন্দ নয়।

তিনি বলেন, আপনারা এখন হয়তো অন্য কারো স্বার্থে কাজ করছেন। স্যরি টু সে দিস, আমি স্যরি, আপনি সেনাপ্রধানের সততা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন না। আপনি সেনাপ্রধানের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন না। সেনাবাহিনীকে নিয়ে আপনি প্রশ্ন তুলতে পারেন না।

জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানোর কোনো কারণ নেই। সেনাপ্রধান একবারের জন্যও বলেননি তারা ক্ষমতা নিতে চান। সেনাবাহিনী এ কথা বলেনি। তাহলে কেন আমরা বলছি।

তিনি আরো বলেন, যেখানে বিএনপির মতো দল বলছে, যে তারা কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ চায় না। আপনি যদি জনগণের ক্ষমতা চান, আপনি যদি ভোটের অধিকার চান। জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে দেন না। বিএনপি, জামায়াত, আওয়ামী লীগ- কে থাকবে কে থাকবে না।

দুর্ভাগ্যজনক উল্লেখ করে জিল্লুর রহমান বলেন, আজকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকেও আপনারা বিতর্কের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন। প্রফেসর ড. ইউনূসের সঙ্গে সেনাপ্রধানের দ্বন্দ্ব তৈরি করবার চেষ্টা করছেন। কেন করছেন? এত অতিকথন ভালো নয়।

একটা কথা মনে রাখবেন, আপনারা যা করছেন, প্রতি দিনক্ষণের হিসাব কিন্তু সবার কাছে আছে। গণমাধ্যমের কাছে আছে, এমনকি বিভিন্ন গণমাধ্যমের কাছেও আছে। এত সহজ নয়, এত অতিকথন… মোটেও ভালো নয়। আমি মনে করি, আপনি এটা অতিরিক্ত করে ফেলেছেন। সীমা লঙ্ঘন করে ফেলেছেন এবং দেশটা একটা বিপর্যের মধ্যে নিয়ে গেছেন, নিয়ে যাচ্ছেন।

সোশ্যাল মিডিয়া

হাসনাত সারজিসকে শুয়োর বলে চাকরী হারালেন এখন টিভির উপস্থাপিকা

জাতীয় নাগরিক পার্টির শীর্ষনেতা এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রধানমুখ হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করার জেরে এখন টিভির নিউজরুম এডিটর ও টেলিভিশন উপস্থাপিকা জেনিসিয়া বর্ণাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। সম্প্রতি দেশে আলোড়ন সৃষ্টিকারী মাগুরার ন্যাক্কারজনক ঘটনা, যেখানে আট বছরের শিশু আছিয়া গণধর্ষণের শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়, সে ঘটনাকে কেন্দ্র করে গণমাধ্যমের […]

হাসনাত সারজিসকে শুয়োর বলে চাকরী হারালেন এখন টিভির উপস্থাপিকা

ছবি: সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৪ মার্চ ২০২৫, ০৬:৩৬

জাতীয় নাগরিক পার্টির শীর্ষনেতা এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রধানমুখ হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করার জেরে এখন টিভির নিউজরুম এডিটর ও টেলিভিশন উপস্থাপিকা জেনিসিয়া বর্ণাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

সম্প্রতি দেশে আলোড়ন সৃষ্টিকারী মাগুরার ন্যাক্কারজনক ঘটনা, যেখানে আট বছরের শিশু আছিয়া গণধর্ষণের শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়, সে ঘটনাকে কেন্দ্র করে গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। ঘটনার প্রেক্ষাপটে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এখন টিভি সরাসরি সম্প্রচারে ছিল।

তবে সম্প্রচারের সময় একটি কারিগরি ত্রুটির কারণে স্টুডিওর অভ্যন্তরীণ কথোপকথনের কিছু অংশ লাইভ সম্প্রচারে চলে আসে। যেখানে নিউজরুম থেকে একজন উপস্থাপক জানতে চান, হাসনাত ও সারজিস মাগুরায় গেছেন কি না।

এর প্রতিউত্তরে উপস্থাপিকা জেনিসিয়া বর্ণা কটূক্তি করে বলেন, “এই শুয়োরগুলো গেলেই কি আর না গেলেই কি!”

এই মন্তব্য মুহূর্তের মধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। বিষয়টি নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হলে এখন টিভির সিইও তুষার আবদুল্লাহ দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে উপস্থাপিকা জেনিসিয়া বর্ণাকে চাকরিচ্যুত করেন বলে জানা গেছে।

এই ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে উপস্থাপিকা জেনিসিয়া বর্ণা বা এখন টিভির সিইও তুষার আবদুল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও এখন পর্যন্ত তাদের কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিক মহল এবং নাগরিক সমাজে আলোচনা চলছে। কেউ কেউ বলছেন, গণমাধ্যমের একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তির কাছ থেকে এমন মন্তব্য আসা অত্যন্ত দুঃখজনক, যা সাংবাদিকতার নৈতিকতা ও নিরপেক্ষতার পরিপন্থী। অন্যদিকে, কেউ কেউ বলছেন, কারিগরি ত্রুটির কারণে এটি অনিচ্ছাকৃতভাবে সম্প্রচারিত হলেও একজন গণমাধ্যমকর্মীর পেশাদারিত্বের জায়গা থেকে সংযত থাকা উচিত ছিল।

ঘটনার পর থেকে বিষয়টি নিয়ে এখন টিভির অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনায়ও টানাপোড়েন চলছে বলে জানা গেছে। টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর সংবাদ পরিবেশনে দায়িত্বশীলতার গুরুত্ব এবং গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।

সোশ্যাল মিডিয়া

‘টক অব দ্যা কান্ট্রি’ হাসনাত আবদুল্লাহ, বিশেষ বার্তা দিলেন খালেদ মুহিউদ্দীন

জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বৃহস্পতিবার রাতে এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে দাবি করেছেন, সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসকে সামনে রেখে বাংলাদেশে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার চেষ্টা চলছে। সেটিকে ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ নামে নতুন একটি ষড়যন্ত্র হিসেবে […]

নিউজ ডেস্ক

২১ মার্চ ২০২৫, ১৮:৫৩

জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বৃহস্পতিবার রাতে এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে দাবি করেছেন, সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসকে সামনে রেখে বাংলাদেশে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার চেষ্টা চলছে।

সেটিকে ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ নামে নতুন একটি ষড়যন্ত্র হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ক্যান্টনমেন্ট থেকে এই পরিকল্পনা করা হয় বলেও তিনি তার পোস্টে উল্লেখ করেছেন।

বলা চলে এটি এখন ‘টক অব দ্যা কান্ট্রি’।

এ নিয়ে জনপ্রিয় সংবাদ উপস্থাপক খালেদ মুহিউদ্দীন তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট করেছেন।

পোস্টে তিনি লেখেন- হাসনাত আব্দুল্লাহ যে সাহস টা দেখালো, যে প্রলোভন অগ্রাহ্য করল সেটা বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল। তার পাশে ছাত্র-জনতাকে দাঁড়াতে হবে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকেই দলটিকে রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি উঠে আসছে।

সোশ্যাল মিডিয়া

কান্নাজড়িত কণ্ঠে অনুরোধ করে বলেন ‘আমারে এরকম বিরক্ত করলে আত্মহত্যা করমু ভাই’

ওই কিরে, ওই কিরে’ বলে তরমুজ বিক্রেতা রনি এখন ভাইরাল। তার এই ডায়ালগটি এখন স্যোশাল মাধ্যমের সবখানেই ব্যবহার করছেন নেটিজেনরা। এমনকি রনিকে ডেকে নিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তরমুজ কেটে প্রতিষ্ঠানের প্রচারণা করছেন। কিন্তু এসব কর্মকাণ্ডের কারণে বিপাকে পড়েছেন ভাইরাল তরমুজ বিক্রেতা রনি। তিনি এতটাই ভাইরাল হয়েছেন যে, কনটেন্ট ক্রিয়েটররা তার দোকানের সামনে গিয়ে ভিড় জমাচ্ছেন। এতে […]

নিউজ ডেস্ক

১৭ মার্চ ২০২৫, ১৪:০৫

ওই কিরে, ওই কিরে’ বলে তরমুজ বিক্রেতা রনি এখন ভাইরাল। তার এই ডায়ালগটি এখন স্যোশাল মাধ্যমের সবখানেই ব্যবহার করছেন নেটিজেনরা। এমনকি রনিকে ডেকে নিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তরমুজ কেটে প্রতিষ্ঠানের প্রচারণা করছেন। কিন্তু এসব কর্মকাণ্ডের কারণে বিপাকে পড়েছেন ভাইরাল তরমুজ বিক্রেতা রনি।

তিনি এতটাই ভাইরাল হয়েছেন যে, কনটেন্ট ক্রিয়েটররা তার দোকানের সামনে গিয়ে ভিড় জমাচ্ছেন। এতে তিনি স্বাভাবিকভাবে তরমুজ বিক্রি করতে পারছেন না। তাই আক্ষেপ করে তিনি এভাবে চলতে থাকলে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন।

তিনি গতকাল এক ভিডিওতে বলেছেন, ‘আমারে এরকম বিরক্ত করলে আমি গলায় ছুরি দিমু নয়তো ২৪ তলা থেকে পড়ে আত্মহত্যা করমু ভাই।

আমার দেড় লক্ষ টাকার মাল পচে যাচ্ছে। আমি বিক্রি করতে পারতেছি না।’

তিনি ওই ভিডিওতে আরো বলেন, ‘আমি তো ভিডিও করার জন্য না বলি নাই। আমি ভিডিও দিব।

আপনারা যা বলবেন আমি তাই শুনবো, কিন্তু আমারে ভালো রাখেন। কর্ম করে খাইতে দেন ভাই। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে অনুরোধ করে বলেন, ‘আমারে বিরক্ত করবেন না ভাই।’

সম্প্রতি কারওয়ান বাজারে তরমুজ বিক্রি করতে গিয়ে ভাইরাল হন রনি। তরমুজ বিক্রির সময় এক কনটেন্ট ক্রিয়েটর তা ধারণ করে ছড়িয়ে দেন।

তা মুহুতেই স্যোশাল মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তারপর থেকেই রনির দোকানে ভিড় জমাতে থাকেন কনটেন্ট ক্রিয়েটররা। এদিকে, তরমুজ বিক্রেতার এমন বক্তব্যের পর অনেক প্রতিষ্ঠান তার পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন।