বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

সোশ্যাল মিডিয়া

শেখ হাসিনার ফেরার সম্ভাবনা নেই, নেতাকর্মীরা ‘ভুল বুঝছেন’ – খালেদ মুহিউদ্দীন

প্রখ্যাত সাংবাদিক ও লেখক খালেদ মহিউদ্দিন তার এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে দাবি করেছেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা শুধু নিজেই দেশ ছাড়েননি, বরং তিনি নিশ্চিত করেছেন তার পরিবারের সবাই যেন নিরাপদে চলে যেতে পারেন। তিনি লেখেন, উনি বারবার বলেছেন পালাবেন না, কিন্তু কাজ করেছেন ঠিক উল্টোটা। উনি তার নেতাকর্মীদের বলেছেন, তোমরা আগে যাও, তারপর আমি আসছি […]

নিউজ ডেস্ক

২৩ মার্চ ২০২৫, ০১:৫৭

প্রখ্যাত সাংবাদিক ও লেখক খালেদ মহিউদ্দিন তার এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে দাবি করেছেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা শুধু নিজেই দেশ ছাড়েননি, বরং তিনি নিশ্চিত করেছেন তার পরিবারের সবাই যেন নিরাপদে চলে যেতে পারেন।

তিনি লেখেন, উনি বারবার বলেছেন পালাবেন না, কিন্তু কাজ করেছেন ঠিক উল্টোটা। উনি তার নেতাকর্মীদের বলেছেন, তোমরা আগে যাও, তারপর আমি আসছি এই নীতিতে চলেছেন।

তার মতে, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এখনও আশা করছেন, শেখ হাসিনা ফিরে আসবেন। এই আশায় তারা মিটিং-মিছিল ও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে তিনি মনে করেন, বাস্তবে এটি সম্ভব নয়।

খালেদ মহিউদ্দিন তার স্ট্যাটাসে স্পষ্ট ভাষায় উল্লেখ করেন, “আপনারা একটু মার খাবেন, দৌড়ের উপর থাকবেন। কিন্তু নেত্রী ফিরবে না।

তার এই বক্তব্য নিয়ে ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়া

তোমরা তিনজনেই যোগ্য প্রার্থী ছিলে,তোমরা হারো নাই, হেরেছে তোমাদের ন্যারেটিভ : পিনাকী

ছাত্রদলের এই পরাজয়ে শুভকামনা জানিয়েছেন জনপ্রিয় অ্যাক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য। এক ফেসবুক পোস্টে ছাত্রদলের তিন শীর্ষ প্রার্থীদের প্রতি শুভকামনা জানিয়ে লেখেন, আবিদ, হামিম ও মায়েদ তোমাদের তিনজনের প্রতি আমার শুভকামনা আর দোয়া রইলো। তোমরা তিনজনেই যোগ্য প্রার্থী ছিলে। তোমরা হারো নাই, হেরেছে তোমাদের ন্যারেটিভ। ভুল ন্যারেটিভ নিয়ে ছাত্র ছাত্রীদের কাছে যাওয়ার জন্যই এমন ভরাডুবি।রাজনীতিতে দলের চাইতে […]

তোমরা তিনজনেই যোগ্য প্রার্থী ছিলে,তোমরা হারো নাই, হেরেছে তোমাদের ন্যারেটিভ : পিনাকী

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬:৫৫

ছাত্রদলের এই পরাজয়ে শুভকামনা জানিয়েছেন জনপ্রিয় অ্যাক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য।

এক ফেসবুক পোস্টে ছাত্রদলের তিন শীর্ষ প্রার্থীদের প্রতি শুভকামনা জানিয়ে লেখেন,

আবিদ, হামিম ও মায়েদ তোমাদের তিনজনের প্রতি আমার শুভকামনা আর দোয়া রইলো। তোমরা তিনজনেই যোগ্য প্রার্থী ছিলে। তোমরা হারো নাই, হেরেছে তোমাদের ন্যারেটিভ। ভুল ন্যারেটিভ নিয়ে ছাত্র ছাত্রীদের কাছে যাওয়ার জন্যই এমন ভরাডুবি।রাজনীতিতে দলের চাইতে বেশী প্রয়োজন ন্যারেটিভ তৈরির ক্ষমতা।

শেষ পর্যন্ত যারা শক্তিশালী ন্যারেটিভ তৈরি করতে পারে তারাই বিজয়ী হয়।ডাকসু নির্বাচনের ক্রেডিবিলিটি নিয়ে কথা বলে নিজেদের আশা করি আরো দুর্বল করবে না। ভোট দিয়েছে ছাত্র ছাত্রীরাই। কাকে তারা ভোট দিয়েছে তারা জানে।

তোমরা আসলে হারো নাই। জিতছো। তোমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভোট টানতে চাইছো। পারছো তো। জগন্নাথ হলে জিতছো। এইটাই তো চাইছিলা।নিজের দলের অপদার্থ স্ট্রাটেজিস্টদের বিরুদ্ধে দাড়াও। যারা সম্ভাবনার মৃত্যু ঘটায় ইন্ডিয়ার পানি পড়া খাইয়া। তোমাদের দল যতোবার রাজাকার বলে চিক্কুর মারবে ততোবার তোমাদের এইভাবে ব্যালটে রায় দেয়া হবে।

বাংলাদেশের অন্তরকে দেখতে শিখো। ওইখান থেকেই রাজনৈতিক ক্ষমতা উৎসরিত হয়।
তোমাদের প্রতি আমার শুভকামনা, ভালোবাসা থাকবে। তোমাদের ভবিষ্যৎ সুন্দর, মঙ্গলময় আর কল্যানের হোক।

ইনকিলাব জিন্দাবাদ।

সোশ্যাল মিডিয়া

এইটা ডাকসু না, এক্কেবারে ‘হিজাবসু’ বাংলার মাটিতে ওই জঙ্গি ঠেলাঠেলি চলবো না : নীলা ইসরাফিল

সদ্য সমাপ্ত ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল থেকে সদস্য পদে লড়া সাবিকুন নাহার তামান্না সদস্য পদে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন। তার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ১০ হাজার ৮৪টি। ফলাফল ঘোষণার সময় তার নাম বিজয়ী হিসেবে উচ্চারিত হতেই ‘হিজাব হিজাব’ শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে সিনেট ভবনে। এই মুহূর্তের ভিডিওটি আলোড়ন তুলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও। যা […]

এইটা ডাকসু না, এক্কেবারে ‘হিজাবসু’ বাংলার মাটিতে ওই জঙ্গি ঠেলাঠেলি চলবো না : নীলা ইসরাফিল

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩১

সদ্য সমাপ্ত ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল থেকে সদস্য পদে লড়া সাবিকুন নাহার তামান্না সদস্য পদে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন। তার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ১০ হাজার ৮৪টি। ফলাফল ঘোষণার সময় তার নাম বিজয়ী হিসেবে উচ্চারিত হতেই ‘হিজাব হিজাব’ শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে সিনেট ভবনে। এই মুহূর্তের ভিডিওটি আলোড়ন তুলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও।

যা ঘিরে চলছে আলোচনা। এবার সেই প্রসঙ্গে কথা বললেন এনসিপির সাবেক নেত্রী নীলা ইসরাফিল। এক ফেসবুক পোস্টে তিনি শিবিরের রাজনীতি ও হিজাব প্রসঙ্গে কথা বলেন। নীলা নিজের ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘ডাকসু ভোট শেষ হইল,কী দেখি?

শিবিরের পোলাপাইন প্যানেল মারল ল্যান্ডস্লাইড, ভাইস প্রেসিডেন্ট হইল সাদিক কায়েম ১৪ হাজারেরও বেশি ভোট পাইয়া, জিএস হইল ফারহাদ, এজিএস হইল মোহিউদ্দিন।

মোট ২৮টা পদের মধ্যে ২৩টা ঝুইলা নিল! কিন্তু ব্যাটা, জিতার পরেও শান্তিতে বইসা দেশ গোছাইতেছে না, হিজাব হিজাব কইরা বাজারের হাঁকডাক দিতাছে। আরে গাধা, হিজাব দিয়া কি বৃষ্টির পানি ধইরা রাখবি, না গ্যাস বিল কমাইবি? দেশে প্রতিদিন নারীদের উপরে ধর্ষণ হইতাছে, থানায় কেস জমা, আদালতে মামলা ঝুলছে, আর এই লোকেরা হিজাব খাটাইতে ব্যস্ত। শুনছিস? নারীদের নিরাপত্তা দিবার কোন চিন্তাই নাই, শুধু হিজাবের রাজত্ব!’

ডাকসুকে হিজাবসু তকমা দিয়ে নীলা লেখেন, ‘যে দেশে নারীদের সম্মান নাই, সেই দেশে গায়ে কাপড় চাপাইতে হইল। ভাই, প্রথমে তোর নিজের মাথা কাপড়ে মুড়িয়ে ফ্যালা, তারপর মেয়েদের মাথায় চাপাইবি।

দেশের গরীব পেট ভইরা খাইতে পারে না, তরুণরা চাকরি পায় না, তুই আবার ধর্মব্যবসার লুঙ্গি মাইরা মঞ্চে উঠে গলা ফাটাস! মাইরের উপর মাইর, এইটা ডাকসু না, এক্কেবারে “হিজাবসু”!’ মেয়েদের ওপর জোর করে কাপড় চাপিয়ে দেওয়া যাবে না উল্লেখ করে নীলা আরো লেখেন, ‘শুনে রাখ, বাংলার মাটিতে তোর ওই জঙ্গি ঠেলাঠেলি চলবো না। নারীদের গায়ে জোর কইরা কাপড় চাপাইতে চাইলে, প্রথমে তোর নিজের মুখটা কাপড় দিয়া মুড়াইস।’

সোশ্যাল মিডিয়া

ডিসি মাসুদের ফোনালাপ ভাইরাল,‘ এরা তো শিবির স্যার, আমাদের এখানে নতুন কিছু ফোর্স লাগবে,

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. মাসুদ আলম আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ছাত্র–জনতার ওপর লাঠিচার্জের আগমুহূর্তে তার উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে ফোনালাপের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। ভিডিওতে শোনা যায়—তিনি বলছেন, “এরা তো শিবির স্যার, আমাদের এখানে নতুন কিছু ফোর্স লাগবে।” সোমবার (১৭ নভেম্বর) […]

ডিসি মাসুদের ফোনালাপ ভাইরাল,‘ এরা তো শিবির স্যার, আমাদের এখানে নতুন কিছু ফোর্স লাগবে,

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৫:৪৫

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. মাসুদ আলম আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ছাত্র–জনতার ওপর লাঠিচার্জের আগমুহূর্তে তার উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে ফোনালাপের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। ভিডিওতে শোনা যায়—তিনি বলছেন, “এরা তো শিবির স্যার, আমাদের এখানে নতুন কিছু ফোর্স লাগবে।”

সোমবার (১৭ নভেম্বর) জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণার পর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধুর বাড়ির সামনে দুটি এক্সকাভেটর নিয়ে যেতে চাইলে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের বাধা দেয় সেনা ও পুলিশ। এরপর দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেই সময়ই ঘটনাস্থলেই ডিসি মাসুদের ফোনালাপটি ধারণ করা হয় এবং মুহূর্তেই এটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

‘বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার’ নামে একটি ফেসবুক পেজ ভিডিওটি পোস্ট করে লিখেছে—“কোনো আন্দোলন দমনের জন্য ‘শিবির ট্যাগ’ এখনো কার্যকর। গতকাল ফ্যাসিস্ট আমলের পাবনার ডিসি, বর্তমান রমনা ডিসি মাসুদ আন্দোলনকারীদের শিবির বলে আখ্যায়িত করে দমন অভিযানের অনুমোদন নিয়েছেন।” ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই নেটিজেনদের বড় একটি অংশ তার সমালোচনায় সরব।

ডিসি মাসুদকে এ বিষয়ে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কোনো কল রিসিভ করেননি।

এর আগে মাসুদ আলমকে ঘিরে একাধিক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে বুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় তার হাতে এক শিক্ষার্থীর মুখ চেপে ধরার ছবি প্রকাশ পেয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। আবার ২০২৪ সালের কোটা ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় পাবনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালানোর অনুমতি না দিয়ে উল্টো তাদের নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়ায় তিনি প্রশংসাও পেয়েছিলেন। ভাইরাল এক ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়—“যদি তোমাদের অ্যাটাক করার জন্য কেউ আসে, আগে আমাকে মারতে হবে।”

এর বাইরে রাজনৈতিক অস্থিরতা মোকাবিলায় মাঠে দ্রুত উপস্থিত হওয়া এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখার কারণে তিনি বিভিন্ন সময় আলোচনায় এসেছেন। আবার কখনো মন্তব্য ঘিরে বিতর্কেও জড়িয়েছেন—যেমন সায়েন্সল্যাব মোড়ে কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের সময় তার মন্তব্য, “এই সংঘর্ষের কারণ আল্লাহ ছাড়া কেউ বলতে পারবে না।”

মাসুদ আলম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের ২৮তম ব্যাচের কর্মকর্তা। র‍্যাব-৬ ঝিনাইদহ ক্যাম্পে দায়িত্ব পালন শেষে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হন। পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর গত বছরের ৫ আগস্ট ডিএমপিতে বদলি হয়ে রমনা বিভাগের ডিসি হিসেবে যোগ দেন। ভাইরাল সাম্প্রতিক ভিডিওটি তার সম্পর্কে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে—আন্দোলনকারীদের শনাক্ত না করেই ‘শিবির’ আখ্যা দিয়ে দমন অভিযান চালানো কি পেশাদার পুলিশের আচরণ? এই প্রশ্নই এখন সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার প্রধান বিষয়।