মোঃ ইমাম হোসেন, (ঢাকা প্রতিনিধি):
ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘাত ও সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে সবাইকে ‘সজাগ ও সতর্ক’ থাকার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। একই আহ্বান জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামীও। দল দুটির নেতারা মনে করছেন, দেশের ভেতরে ও বাইরে থেকে একটি গোষ্ঠী পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে ষড়যন্ত্র করছে।
গত কয়েক দিন ধরে রাজধানীতে সড়ক অবরোধ, ছাত্র সংঘর্ষ এবং ঢাকার বাইরে থেকে শাহবাগে লোক জড়ো করা, পাশাপাশি দুটি শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্রের কার্যালয় ঘিরে কর্মসূচি পালনের মতো নানা ঘটনায় অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। এর মধ্যেই গতকাল চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর অনুসারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবীদের সংঘর্ষে সাইফুল ইসলাম নামে এক আইনজীবী নিহত হন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘ছাত্র-জনতার বিপ্লবের অর্জনকে ম্লান করার জন্য ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠী গভীর ষড়যন্ত্র করছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং সবাইকে শান্ত থেকে পরিস্থিতি মোকাবিলার আহ্বান জানাচ্ছি।’
অন্যদিকে, নিহত আইনজীবীকে ‘প্রিয় দলীয় সহকর্মী’ উল্লেখ করে জামায়াতে ইসলামীও এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান বলেন, ‘চট্টগ্রামে যে নৃশংস হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। একটি গোষ্ঠী পতিত স্বৈরাচারের পক্ষ নিয়ে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক। নিহত সাইফুল ইসলামের আত্মত্যাগ স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমি দলীয় সহকর্মী ও সাধারণ জনগণের প্রতি যেকোনো উসকানিতে ধৈর্য ধরার এবং আইন নিজের হাতে না নেওয়ার আহ্বান জানাই।’

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?