বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন,
তার দলের নেতাকর্মীরা সব সময় “জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু” বলবেন। তিনি বলেন, “যদি জয় বাংলা বলা অপরাধ হয়ে থাকে, আর এ কারণে কাউকে গ্রেপ্তার করতে হয়—তাহলে আমাকে প্রথমে গ্রেপ্তার করুন। তারপর অন্যদের করবেন।”
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার ছাতিহাটি গ্রামে বাবা–মায়ের কবর জিয়ারত শেষে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। বড় ভাই আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর কারামুক্তির পর কর্মী–সমর্থকদের নিয়ে তিনি কবর জিয়ারতে আসেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কাদের সিদ্দিকী বলেন,
“দেশের সংখ্যাগুরু ভোটার যদি ভোট দিতে না পারে, আমরা সেই নির্বাচনে অংশ নেব না। প্রায় ১৫ মাস ধরে অন্তর্বর্তী সরকার আছে, কিন্তু রাষ্ট্রীয় কোনো বিষয়ে আমাদের একবারও আলোচনায় ডাকেনি। গতকাল একটি চিঠি পেয়েছিলাম—ভাবলাম সরকার ডাকছে। পরে দেখি, নির্বাচন কমিশন ডেকেছে। সরকার ডাকলে যেতাম না; তবে নির্বাচন কমিশন যে আহ্বান জানিয়েছে, তাদের কথা বলে আসব।”
তিনি বলেন,
“আমরা এমন নির্বাচন চাই, যেখানে সব মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়। যাতে প্রতিটি ভোটার বলতে পারে—আমি আমার ভোট দিতে পেরেছি।”
সমাবেশে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বলেন,
“আমি বজ্ররের সঙ্গে একমত। আল্লাহর অশেষ রহমত, আমরা দুজন আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার হয়েছিলাম। না হলে আজ ঘৃণিত হতে হতো। আমি জেলে গিয়ে দেখেছি—দেশের বড় বড় কুতুবরা ৫ আগস্টের আগের যে ভাব দেখাত, সেই ভাব আর নেই। আল্লাহ এমন ভাব দেখানো মানুষ পছন্দ করেন না।”
এর আগে কালিহাতী উপজেলা সদরের লতিফ সিদ্দিকীর বাড়ি থেকে কয়েকশ মোটরসাইকেল ও গাড়িবহর নিয়ে তার সমর্থকেরা ছাতিহাটি গ্রামের উদ্দেশে রওনা হন। স্লোগান দিতে দিতে তারা কালিহাতী পর্যন্ত যান। পরে জুমার নামাজ শেষে দুই ভাই মা–বাবার কবর জিয়ারত করেন এবং সমাবেশে বক্তব্য দেন। এ সময় লতিফ সিদ্দিকীর স্ত্রী ও সাবেক সাংসদ লায়লা সিদ্দিকী এবং ছোট ভাই, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আজাদ সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।