আসন্ন ১৩ নভেম্বর নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঘোষিত ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচিকে সফল করার লক্ষ্যে নাশকতার পরিকল্পনায় অর্থায়নের অভিযোগ উঠেছে ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সাংসদ ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে, তিনি ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. ফারুক হোসেন ওরফে ‘বোম ফারুক’-এর মাধ্যমে পাঁচ লাখ টাকা সরবরাহ করেছিলেন।
মঙ্গলবার দুপুরে ফরিদপুর পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বোম ফারুকের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে—‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি সফল করতে নিক্সন চৌধুরী তাকে অর্থ দেন। ফারুক হোসেন এর মধ্যে চার লাখ টাকা আরও এক ব্যক্তিকে দিয়েছেন, যার পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। পুলিশ বলছে, বাকি টাকায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের সংগঠিত করতে তিনি বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠিয়েছেন।
সোমবার সন্ধ্যায় ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলি এলাকার নুরজাহান টাওয়ারের এক ফ্ল্যাট থেকে ফারুক হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় যুব মহিলা লীগের সদস্য নাসরিন আক্তারকেও আটক করা হয়। পুলিশ জানায়, ফারুকের মোবাইল ফোনে ‘ঢাকা লকডাউন’ নিয়ে সক্রিয় যোগাযোগ ও নাশকতা পরিকল্পনার প্রমাণ মিলেছে।
পুলিশ সুপার বলেন, আওয়ামী লীগ ও যুব মহিলা লীগের কর্মীরা গত ৯ নভেম্বর ফরিদপুরে যে বিক্ষোভ মিছিল বের করে, সেখানে ফারুক হোসেনের মদদে সরকারবিরোধী উসকানিমূলক স্লোগান দেওয়া হয়। তিনি আরও জানান, ফারুকের নামে ফরিদপুরে চারটি ও ঢাকায় দুটি মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে নতুন করে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
পুলিশের দাবি, “ঢাকা লকডাউন” কর্মসূচির আড়ালে দেশে নাশকতা ছড়ানোর পরিকল্পনা ছিল। সেই পরিকল্পনা ভেস্তে দিতে ফরিদপুরসহ বিভিন্ন জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৯ জন এবং গত তিন দিনে ৬০ জনের বেশি নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।