বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এরশাদ উল্লাহ-র ওপর সম্পন্ন হওয়া গুলিবিদ্ধ হামলার বিরুদ্ধে। বুধবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর থেকে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির মাধ্যমে নৈরাজ্য ও ভয়ের পরিবেশ গড়ে তুলতে দুষ্কৃতকারীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
এই নৈরাজ্যের অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রাপ্ত এর্শাদ উল্লাহ এবং অনেকে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন — “সেই অপতৎপরতারই নির্মম বহিঃপ্রকাশ।”
ফখরুল আরও বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি এই হামলার উদ্দেশ্য হলো নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করা এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “দুষ্কৃতকারীদের কঠোর হস্তে দমন করা ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই।” দল-মত/*-সাপেক্ষে সকল মানুষকে একজোট হয়ে গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটাধিকার রক্ষায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বিবৃতিতে নিহত ও আহত ব্যক্তিদের দ্রুত সুস্থতা কামনায় বক্তব্য রাখা হয়। এবং হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি উঠেছে।
এই ঘটনা চট্টগ্রামের রাজনৈতিক ক্ষেত্রে একটি উদ্বেগজনক সংকেত হিসেবে দেখা হচ্ছে — নির্বাচনপ্রসঙ্গিক সহিংসতার মাত্রা বাড়তে পারে এমন আশঙ্কায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, রাজনৈতিক দল ও সাধারণ জনগণ সক্রিয় ভূমিকা নিতে বাধ্য হচ্ছেন।