চাঁদাবাজি, দখলদারি ও দুর্নীতিসহ সব ধরনের অপকর্মের বিরুদ্ধে বড় ধরনের লংমার্চ শুরু করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
শনিবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম পঞ্চগড় চিনিকল মাঠ থেকে মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস ও পিকআপ নিয়ে পদযাত্রার উদ্বোধন করেন।
লংমার্চকে উদ্দেশ্য করে পথসভায়ে সারজিস আলম বলেন, “সাধারণ মানুষ আর রাজাদের দাসত্ব মেনে চলবে না; সাধারণ মানুষের রক্ত চুষে যারা বৈভব গড়েছেন, তাদের দিন শেষ্, এবং সকল অপকর্মের হিসাব দিতে হবে বলে তিনি জোর দেন। তিনি আরও ঘোষণা করেন, এনসিপি চাঁদাবাজি, সিন্ডিকেট ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেবে এবং এলাকাবাসীর সাথে সংহতি রক্ষায় কাজ করবে।
সংগঠনের তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ১৬৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই লংমার্চে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে অন্তত পাঁচ শতাধিক মোটরসাইকেল অংশ নেয়। পদযাত্রাটি পঞ্চগড় সদর থেকে কামাত কাজলদিঘী, চাকলাহাট, হাড়িভাসা, হাফিজাবাদ, অমরখানা, সাতমেরা ও তেঁতুলিয়ার বিভিন্ন ইউনিয়ন অতিক্রম করে বাংলাবান্ধা ইউনিয়নে পৌঁছে; পথে তেঁতুলিয়া চৌরাস্তা ও সিপাইপাড়া বাজারে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
লংমার্চ চলাকালে অংশগ্রহণকারীরা হাতে লেখা ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড বহন করে—সোগুলোতে ছিল ‘চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা’, ‘মেডিকেল কলেজ চাই’ ও ‘পুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাব থেকে মুক্ত করুন’। জাতীয় ও স্থানীয় দাবি তুলে ধরার জন্য এ ধরনের প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। সারজিস আলম নিজে একটি পিকআপ ভ্যানে উঠে মাইকে স্লোগান দেন এবং স্থানীয়দের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে সমর্থন সংগ্রহ করেন।
লংমার্চ শেষে সমাপনী বক্তব্যে তিনি আশ্বাস দেন যে, আন্দোলন ও গণচেতনাকে অব্যাহত রেখে এনসিপি স্থানীয় জনদাবি বাস্তবায়নে জোর দেবে এবং প্রশাসনের নীরবতা ও উদাসীনতা ভাঙার চেষ্টা করবে। স্থানীয়রা বলছেন,এ ধরনের গণতান্ত্রিক প্রতিবাদ প্রশাসন ও স্থানীয় নেতাদের দায়িত্বশীলতার প্রশ্ন তুলবে