ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেছেন, ফ্যাসিবাদ ও ফ্যাসিবাদের দোসররা আবারও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠছে। ফ্যাসিবাদ ও তাদের দোসরা এখনো দেশ নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। মাফিয়াগোষ্ঠী দেশ থেকে পালিয়ে গেলেও তাদের দোসররা দেশ ও দেশের বাইরে থেকে নতুন করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে।
৫ আগস্ট ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে জীবনের মায়া ত্যাগ করে রাস্তায় নেমে আসছিলাম বুকভরা আশা নিয়ে। কিন্তু এখনো রাষ্ট্রের বিভিন্ন সেক্টরে ফ্যাসিবাদ ও তাদের দোসরদের দেখে আমরা বিস্মিত ও হতবাক। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের প্রকাশ্য দোসররা মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী কোন যোগ্যতা বলে উপদেষ্টা হয়েছে জাতি জানতে চায়। ফারুকীকে প্রত্যাহার না করলে আবারো রাজপথে নামবো। যা কিছু হবে রাজপথে ফায়সালা হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা নিরাপদে আছেন এবং নিরাপত্তার সাথে আছেন। আওয়ামী লীগ সংখ্যালঘু ইস্যুকে ট্রাম্পকার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছে।
এদেশের জনগণ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা রুখে দিয়েছে। তিনি বিশ্ববাসিকে অপপ্রচারে কান না দেয়ার আহ্বান জানান। দ্রব্যমূল্য নিয়ে তিনি সরকারকে বলেন, অবিলম্বে সিন্ডিকেট ভেঙে দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতায় নাগালে রাখুন। সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবে দ্রুত ব্যবস্থা নিন।
গরিবদুঃখী মানুষের নাভিশ্বাস কমিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন। আজ শুক্রবার বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কতেয়ালী থানা শাখার উদ্যেগে বাবুবাজার মাজার ( উত্তরপাশ, ব্রীজের নিচে) ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবে সংগঠিত গণহত্যার বিচার, দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতার, অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও তাদেরকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা, সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ইহকাকালীন শান্তি ও পারকালে মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামী সমাজভিত্তিক কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে- আয়োজিত গণসমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
গণসমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কতোয়ালী থানা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, আলহাজ আবদুর রহমান, ডা. মুহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, আলহাজ কেএম বিল্লাল হোসাইন, হাফেজ মাওলানা জহিরুল ইসলাম, মুহাম্মদ নুরুজ্জামান সরকার, মাওলানা কে এম শরীয়াতুল্লাহ, আলহাজ এম এইচ মোস্তফা, মুহাম্মদ কায়েস উদ্দিন, মুহাম্মদ আল-আমিন সোহাগ, হাফেজ মুহাম্মদ শাহাদাত হোসাইন প্রধানীয়া, মাওলানা মুহাম্মদ জোবায়ের হোসাইন, আরিয়ান মুহাম্মদ ইমন, আলহাজ মুহাম্মদ আলী হোসেন।