নোয়াখালীর সেনবাগে এক বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, “পি আর পদ্ধতিতে ভোট করে ক্ষমতার লোভ না করে জনপ্রিয়তা যাচাই করুন। জনগণ যাকে চায়, তারাই সরকার গঠন করবে।”
রোববার (৬ জুলাই) বিকেলে সেনবাগ পৌর শহরে অনুষ্ঠিত এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে তিনি বলেন, “বিএনপি দেশের গণমানুষের দল। ষড়যন্ত্র করে আমাদের দমন করা যাবে না। নতুন রাজনৈতিক দলগুলোকে বলছি— বিএনপিকে ছোট করে কথা বলবেন না। রাজনীতিতে এসেছেন, নিয়ম মেনে সুন্দরভাবে রাজনীতি করুন।”
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, “ড. ইউনুস সাহেব, আমরা আপনার শত্রু নই। লন্ডন বৈঠকের পর ভেবেছিলাম আর ষড়যন্ত্র হবে না। কিন্তু এখন আবার ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছি। ষড়যন্ত্র করে লাভ নেই।”
সমাবেশে বিএনপি নেতারা ২০১১ সালের ৬ জুলাই সংসদ ভবনের সামনে তৎকালীন বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ ফারুকের ওপর নৃশংস হামলার ন্যায়বিচার দাবি করেন। বক্তারা অভিযোগ করেন, ওই হামলার মূল হোতা এডিসি হারুন ও বিপ্লবকে আজও আইনের আওতায় আনা হয়নি।
বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সেনবাগ পৌর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবদুল হান্নান লিটন। পরিচালনায় ছিলেন উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি হুমায়ুন কবির হুমু ও উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নুর নবী রাজু।
প্রধান বক্তা ছিলেন নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আলো। বিশেষ অতিথি ছিলেন নোয়াখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র হারুনুর রশিদ আজাদ ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এবি এম জাকারিয়া।
বিক্ষোভ মিছিলে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌর ওয়ার্ড থেকে আগত বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন। মিছিল ও স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে সেনবাগ পৌর শহর। বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা বলেন, “জনগণের রায়ই চূড়ান্ত। গণতন্ত্রকে হত্যা করে নয়, ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতার পরিবর্তন ঘটুক—এটাই আমাদের দাবি।”