পবিত্র আশুরা উপলক্ষে শনিবার (৫ জুলাই) দেওয়া এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আশুরা কেবল শোকের দিন নয়, বরং ন্যায়বিচার, মানবিক মর্যাদা ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রামের চিরন্তন প্রেরণা। তিনি বলেন, “আশুরা হলো ইসলাম ধর্মের একটি স্মরণীয় দিন।
হযরত ইমাম হোসেন (রা.) ও তাঁর ঘনিষ্ঠজনদের শাহাদাতের স্মরণে ১০ মহররম ইতিহাসে এক বেদনাদায়ক দিন। এ দিনটি আমাদেরকে গভীর শোকের সঙ্গে অন্যায়ের বিরুদ্ধে স্পষ্ট প্রতিবাদের শিক্ষা দেয়।”
ফখরুল বলেন, কারবালার প্রান্তরে ইমাম হোসেন (রা.)-এর আত্মত্যাগ মানবিক সাম্য, ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠার বার্তা দেয়। তিনি নিপীড়িতদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশের বার্তা তুলে ধরে বলেন, “শহীদে কারবালার মূল শিক্ষা হলো—অসত্য, জুলুম ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে মরণপণ সংগ্রাম।”
সরকারের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, “পতিত আওয়ামী স্বৈরাচার বাংলাদেশকে কারবালার প্রান্তরে পরিণত করেছিল। দেশের মানুষকে জুলুম, হিংস্রতা ও রক্তপাতের মধ্যে জীবনযাপন করতে হয়েছে। গত দেড় দশক ধরে দেশে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল।
গণতন্ত্রকামী মানুষের ঠিকানা ছিল কারাগার। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে বন্দি করে রাখা হয়েছে এবং বিদেশে চিকিৎসার আবেদন উপেক্ষা করে তাঁকে মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “কারবালার প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আওয়ামী স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী জনগণ ও রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে দুঃশাসনের অবসান ঘটিয়ে দেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করেছে।”
আশুরার শিক্ষা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আশুরা ত্যাগ, নৈতিকতা এবং অন্যায়কে প্রতিহত করার শিক্ষা দেয়। এটি নিপীড়িতদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ ও সংহতি সৃষ্টি করে। ব্যক্তিগত অভিলাষ নয়, বরং জবরদস্তি, অহংকার ও আত্মসম্মানহীন নিপীড়কের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলাই ১০ মহররমের মূল বাণী।”
শেষে তিনি ইমাম হোসেন (রা.) ও কারবালার শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং তাঁদের আত্মত্যাগের আদর্শ থেকে শিক্ষা নিয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।