আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে রাজধানীর পল্টনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে গণঅধিকার পরিষদ। শুক্রবার (৯ মে) বিকেলে দলের নেতা-কর্মীরা পল্টন মোড়ে অবস্থান নেন এবং সড়ক আংশিক অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করেন। এই কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর।
বিক্ষোভস্থলে তিনি বলেন,
“দেশে ফ্যাসিস্ট শাসনের ধারক ও বাহক হিসেবে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। এই দলে এখন গণতন্ত্র ও নৈতিকতা বলতে কিছু নেই। তাই তাদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।”
নুর তার বক্তব্যে সরকারকে উদ্দেশ করে বেশ কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন, যার মধ্যে অন্যতম ছিল আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা ও এ বিষয়ে একটি আইনগত প্রক্রিয়া শুরু করার আহ্বান।
তবে সমাবেশ চলাকালে ঘটে একটি অপ্রত্যাশিত ঘটনা। বিকেল ৫টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে নুরুল হক নুর জানান, পল্টনের বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে তার মোবাইল ফোনটি হারিয়ে গেছে।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে তিনি লেখেন,
“সিমসহ মোবাইলটি পল্টন এলাকায় মিছিল থেকে হারিয়ে গেছে। এই নম্বরে কেউ ফোন বা মেসেজ করলে বিভ্রান্ত হবেন না।” একই সঙ্গে তিনি তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি পোস্টে উল্লেখ করেন।
এদিকে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেছেন, মিছিল ঘিরে পল্টন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি ছিল বেশি। কিছুক্ষণের জন্য যান চলাচল ব্যাহত হলেও পরিস্থিতি পরে স্বাভাবিক হয়ে আসে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিএনপির অনুপস্থিতি সত্ত্বেও নানা ছোট-বড় রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে রাস্তায় নেমেছে—এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বার্তা বহন করছে।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?