আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর যমুনা চত্বরে চলমান অবস্থান কর্মসূচি ও জনসমাবেশে প্রচণ্ড গরম উপেক্ষা করে অংশ নিচ্ছেন হাজারো আন্দোলনকারী। এমন পরিস্থিতিতে আন্দোলনকারীদের স্বস্তি দিতে শুক্রবার (৯ মে) বিকেল ৩টার দিকে ঢাকার উত্তর সিটি করপোরেশনের একটি জলকামান-সজ্জিত গাড়ি সমাবেশস্থলে পৌঁছে ঠান্ডা পানি ছিটাতে শুরু করে। মুহূর্তেই আন্দোলনকারীদের মাঝে স্বস্তির আবহ ছড়িয়ে পড়ে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সমাবেশে আগত জনতা গরমের দহন থেকে বাঁচতে নিজ উদ্যোগে ছাতা, পানি ও গামছা নিয়ে এলেও বিকেল থেকে যে প্রচণ্ড দাবদাহ শুরু হয়, তা মোকাবিলা করছিল কঠিন। এমন সময়ে ‘ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন’ লেখা একটি বড় জলযান থেকে স্প্রে ক্যাননের মাধ্যমে একাধিক দিক থেকে ঠান্ডা পানি ছিটানো হয়, যা আন্দোলনকারীদের মাঝে স্বস্তির বৃষ্টি হয়ে নামে।
একজন বিক্ষোভকারী, আসাদুল ইসলাম বলেন,
“আন্দোলনের মধ্যেও এত তীব্র গরম যে, পানি খেলেও তৃষ্ণা মেটে না। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে যেন বৃষ্টি পড়ছে। এই শীতলতা আমাদের ঘাম ঝরানো দাবির প্রতীক হয়ে উঠেছে।”
অন্যদিকে আন্দোলনে অংশ নেওয়া একাধিক তরুণ বলেন,
“এই গরমে যে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে, তার পেছনে সিটি করপোরেশনের এই ব্যবস্থা অত্যন্ত সহায়ক। আমরা ধন্যবাদ জানাই তাদের—তারা বুঝিয়েছে, এই আন্দোলনের প্রতি অন্তত মানবিক সংহতি তাদের রয়েছে।”
উল্লেখ্য, যমুনার সামনে গতকাল রাত থেকে শুরু হওয়া এই অবস্থান কর্মসূচি ধীরে ধীরে জনসমুদ্রের রূপ নিয়েছে। আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচারের দাবিতে এই আন্দোলন দিনভর তীব্র স্লোগান ও বক্তব্যে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে এই পদক্ষেপকে কেউ কেউ
“মানবিক সমর্থনের প্রকাশ” হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ বলছেন—“এটাই গণদাবির স্বীকৃতির সূচনা”।
বিকেলে আন্দোলনকারী কয়েকজন বলেন, “আমরা একসঙ্গে দাবি জানাচ্ছি—শুধু পানি নয়, চাই রাজনৈতিক বরফ—যা দিয়ে শেখ হাসিনার স্বৈরশাসন চিরতরে গলিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়।”
তীব্র গরমে অচেতন হয়ে পড়া বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারীকেও পানি ছিটিয়ে সুস্থ করে তোলা হয় বলে জানিয়েছে কর্তব্যরত স্বেচ্ছাসেবক দল। বিকেল থেকে সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত মঞ্চের দুই পাশে ঠান্ডা পানি ছিটানোর এই কার্যক্রম অব্যাহত ছিল।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?