আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে রাজধানীর যমুনা চত্বর ঘিরে জড়ো হচ্ছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। শুক্রবার (৯ মে) বাদ জুমা বৃহৎ জনসমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে যমুনার পূর্ব পাশে অবস্থিত ফোয়ারার সামনে। এরই মধ্যে আন্দোলনকারীরা ট্রাক দিয়ে নির্মিত অস্থায়ী মঞ্চের পাশে জড়ো হতে শুরু করেছেন। রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়ানো এই জমায়েতে অংশ নিচ্ছেন একাধিক সংগঠনের কর্মীরা।
দুপুর ১টার দিকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম এবং দলের অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতাকে মঞ্চের আশপাশে অবস্থান নিতে দেখা যায়। এর আগে সকালেই যমুনার সামনে এক তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনে এই সমাবেশের ঘোষণা দেন হাসনাত আবদুল্লাহ।
তিনি বলেন,
“আজ বাদ জুমা ফোয়ারার সামনে জনসমুদ্র হবে। আজ পরিষ্কার হবে—কে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চায় আর কে চায় না।”
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে এই অবস্থান কর্মসূচির সূচনা হয় বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত ১০টায়। হাসনাত আবদুল্লাহর আহ্বানে সাড়া দিয়ে এনসিপি ছাড়াও বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা যমুনা চত্বরে জমায়েত হতে থাকেন।
রাত ১টার দিকে এক বিশাল মিছিল নিয়ে যমুনার সামনে পৌঁছান এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা-কর্মীরা। আন্দোলনের পরিধি আরও বিস্তৃত হয় যখন হেফাজতে ইসলাম, এবি পার্টি, ইসলামী ছাত্রশিবির, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, ইনকিলাব মঞ্চ ও জুলাই ঐক্যের নেতাকর্মীরা একে একে অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দেন।
শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে ঢাকায় জামায়াতে ইসলামীর একটি বড় মিছিল এসে যমুনা চত্বরে যুক্ত হয়। জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের নেতৃত্বে শত শত কর্মী সেখানে উপস্থিত হন।
বিক্ষোভস্থলে দেওয়া এক বক্তব্যে ড. মাসুদ বলেন,
“এই অন্তর্বর্তী সরকারকে যে ছাত্র-জনতা ক্ষমতায় বসিয়েছে, আজ সেই ছাত্র-জনতাই বলছে—আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, আজকের মধ্যেই সব রাজনৈতিক দলকে ডেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দিতে হবে।”
যমুনার চারপাশে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। তবে আন্দোলনকারীদের তীব্র স্লোগান, ব্যানার ও বিভিন্ন প্ল্যাকার্ডে মুখর হয়ে উঠেছে এলাকা। মাঠপর্যায়ের নেতারা বলছেন,
“এটা আর কেবল রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, এটা জাতির পক্ষ থেকে অপরাধী রাজনৈতিক শক্তির বিচারের দাবি।”
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে রাজধানীর যমুনা চত্বর ঘিরে জড়ো হচ্ছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। শুক্রবার (৯ মে) বাদ জুমা বৃহৎ জনসমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে যমুনার পূর্ব পাশে অবস্থিত ফোয়ারার সামনে। এরই মধ্যে আন্দোলনকারীরা ট্রাক দিয়ে নির্মিত অস্থায়ী মঞ্চের পাশে জড়ো হতে শুরু করেছেন। রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়ানো এই জমায়েতে অংশ নিচ্ছেন একাধিক সংগঠনের কর্মীরা।
দুপুর ১টার দিকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম এবং দলের অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতাকে মঞ্চের আশপাশে অবস্থান নিতে দেখা যায়। এর আগে সকালেই যমুনার সামনে এক তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনে এই সমাবেশের ঘোষণা দেন হাসনাত আবদুল্লাহ।
তিনি বলেন,
“আজ বাদ জুমা ফোয়ারার সামনে জনসমুদ্র হবে। আজ পরিষ্কার হবে—কে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চায় আর কে চায় না।”
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে এই অবস্থান কর্মসূচির সূচনা হয় বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত ১০টায়। হাসনাত আবদুল্লাহর আহ্বানে সাড়া দিয়ে এনসিপি ছাড়াও বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা যমুনা চত্বরে জমায়েত হতে থাকেন।
রাত ১টার দিকে এক বিশাল মিছিল নিয়ে যমুনার সামনে পৌঁছান এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা-কর্মীরা। আন্দোলনের পরিধি আরও বিস্তৃত হয় যখন হেফাজতে ইসলাম, এবি পার্টি, ইসলামী ছাত্রশিবির, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, ইনকিলাব মঞ্চ ও জুলাই ঐক্যের নেতাকর্মীরা একে একে অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দেন।
শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে ঢাকায় জামায়াতে ইসলামীর একটি বড় মিছিল এসে যমুনা চত্বরে যুক্ত হয়। জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের নেতৃত্বে শত শত কর্মী সেখানে উপস্থিত হন।
বিক্ষোভস্থলে দেওয়া এক বক্তব্যে ড. মাসুদ বলেন,
“এই অন্তর্বর্তী সরকারকে যে ছাত্র-জনতা ক্ষমতায় বসিয়েছে, আজ সেই ছাত্র-জনতাই বলছে—আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, আজকের মধ্যেই সব রাজনৈতিক দলকে ডেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দিতে হবে।”
যমুনার চারপাশে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। তবে আন্দোলনকারীদের তীব্র স্লোগান, ব্যানার ও বিভিন্ন প্ল্যাকার্ডে মুখর হয়ে উঠেছে এলাকা। মাঠপর্যায়ের নেতারা বলছেন,
“এটা আর কেবল রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, এটা জাতির পক্ষ থেকে অপরাধী রাজনৈতিক শক্তির বিচারের দাবি।”
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রী শেখ শাইরা শারমিনের বিদেশযাত্রায় বাধা দেওয়ার ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনি থাইল্যান্ডগামী থাই এয়ারওয়েজের টিজি৩২২ ফ্লাইটে ওঠার প্রস্তুতি নিলেও ইমিগ্রেশন কাউন্টার থেকে তাকে থামিয়ে দেওয়া হয়। তিনি ফ্লাইটে উঠতে পারেননি।
বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে তিনি ফ্লাইটের জন্য চেক-ইন সম্পন্ন করলেও ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ কোনো নির্দিষ্ট কারণ না জানিয়ে তাকে ফ্লাইটে ওঠার অনুমতি দেয়নি। তবে ইমিগ্রেশন বা কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।
শেখ শাইরা শারমিনের পারিবারিক পরিচিতি ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক বলয়ের সঙ্গে যুক্ত। তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের ভাই শেখ আবু নাসেরের ছেলে শেখ হেলাল উদ্দীনের কন্যা এবং বাগেরহাট-২ আসনের আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়ের বড় বোন। অন্যদিকে, তার স্বামী আন্দালিব রহমান পার্থ একজন বিরোধী রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা এবং বিভিন্ন সময়ে সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের সমালোচনায় সক্রিয় থেকেছেন।
এই প্রেক্ষাপটে একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হয়েও বিদেশযাত্রায় বাধার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে—এটি কি নিয়মতান্ত্রিক কোনো প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো নির্দেশনা বা রাজনৈতিক বিবেচনা কাজ করেছে?
আইন ও প্রশাসনের নিরপেক্ষতা এবং ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের স্বচ্ছতা নিয়ে এ ধরনের ঘটনার পর নানা ধরনের আলোচনা এবং ব্যাখ্যার সুযোগ তৈরি হয়। বিশেষ করে যখন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সরাসরি কোনো মামলার আসামি নন কিংবা তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্য কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই, তখন এমন ঘটনায় জনমনে প্রশ্ন তৈরি হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়।
বর্তমানে এই বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত হোক বা রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ডপ্রসূত কারণ—ঘটনাটির স্বচ্ছ ব্যাখ্যা প্রয়োজন, যাতে বিভ্রান্তি না ছড়ায় এবং নাগরিকদের অধিকার বিষয়ে আস্থার পরিবেশ অটুট থাকে।
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে রাজধানীর যমুনা চত্বর ঘিরে জড়ো হচ্ছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। শুক্রবার (৯ মে) বাদ জুমা বৃহৎ জনসমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে যমুনার পূর্ব পাশে অবস্থিত ফোয়ারার সামনে। এরই মধ্যে আন্দোলনকারীরা ট্রাক দিয়ে নির্মিত অস্থায়ী মঞ্চের পাশে জড়ো হতে শুরু করেছেন। রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়ানো এই জমায়েতে অংশ নিচ্ছেন একাধিক সংগঠনের কর্মীরা।
দুপুর ১টার দিকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম এবং দলের অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতাকে মঞ্চের আশপাশে অবস্থান নিতে দেখা যায়। এর আগে সকালেই যমুনার সামনে এক তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনে এই সমাবেশের ঘোষণা দেন হাসনাত আবদুল্লাহ।
তিনি বলেন,
“আজ বাদ জুমা ফোয়ারার সামনে জনসমুদ্র হবে। আজ পরিষ্কার হবে—কে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চায় আর কে চায় না।”
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে এই অবস্থান কর্মসূচির সূচনা হয় বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত ১০টায়। হাসনাত আবদুল্লাহর আহ্বানে সাড়া দিয়ে এনসিপি ছাড়াও বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা যমুনা চত্বরে জমায়েত হতে থাকেন।
রাত ১টার দিকে এক বিশাল মিছিল নিয়ে যমুনার সামনে পৌঁছান এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা-কর্মীরা। আন্দোলনের পরিধি আরও বিস্তৃত হয় যখন হেফাজতে ইসলাম, এবি পার্টি, ইসলামী ছাত্রশিবির, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, ইনকিলাব মঞ্চ ও জুলাই ঐক্যের নেতাকর্মীরা একে একে অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দেন।
শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে ঢাকায় জামায়াতে ইসলামীর একটি বড় মিছিল এসে যমুনা চত্বরে যুক্ত হয়। জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের নেতৃত্বে শত শত কর্মী সেখানে উপস্থিত হন।
বিক্ষোভস্থলে দেওয়া এক বক্তব্যে ড. মাসুদ বলেন,
“এই অন্তর্বর্তী সরকারকে যে ছাত্র-জনতা ক্ষমতায় বসিয়েছে, আজ সেই ছাত্র-জনতাই বলছে—আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, আজকের মধ্যেই সব রাজনৈতিক দলকে ডেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দিতে হবে।”
যমুনার চারপাশে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। তবে আন্দোলনকারীদের তীব্র স্লোগান, ব্যানার ও বিভিন্ন প্ল্যাকার্ডে মুখর হয়ে উঠেছে এলাকা। মাঠপর্যায়ের নেতারা বলছেন,
“এটা আর কেবল রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, এটা জাতির পক্ষ থেকে অপরাধী রাজনৈতিক শক্তির বিচারের দাবি।”
দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে থাকা নেতাদের স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে সবাইকে দেশে ফিরতে হবে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা ফিরবেন না, তাদেরকে আটক করে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে এবং আইনের আওতায় আনা হবে।
গণহত্যা, দমন-পীড়ন ও অন্যান্য গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া আওয়ামী লীগপন্থী বহু নেতা এখন চরম অনিশ্চয়তার মুখে। ভারতের অভ্যন্তরে থাকা অবৈধ বিদেশিদের দ্রুত দেশত্যাগের নির্দেশ জারির পর দেশটিতে পালিয়ে থাকা এসব নেতাদের মধ্যে শুরু হয়েছে দেশ ছাড়ার হিড়িক।
আগস্ট মাস থেকে এ নির্দেশনা আরও কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করার কথা থাকায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে।
পুশব্যাক ও গ্রেফতারের আশঙ্কায় অনেক নেতা ভারতে অবস্থান ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছেন। ইতিমধ্যে ৫০ জনেরও বেশি নেতা ইউরোপ ও আমেরিকায় পালিয়ে গেছেন এবং অনেকে নতুন করে এসব দেশে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টায় রয়েছেন। তবে পালিয়ে বাঁচা যেন খুব সহজ হবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে থাকা নেতাদের স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে সবাইকে দেশে ফিরতে হবে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা ফিরবেন না, তাদেরকে আটক করে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে এবং আইনের আওতায় আনা হবে।
এ লক্ষ্যে সরকার আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে বহুমুখী কূটনৈতিক ও আইনি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
সরকারের একটি গোপন সূত্র জানিয়েছে, এই প্রক্রিয়ায় ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনায় আছে। সরকার চায়, এসব অপরাধের দ্রুত বিচার কার্যকর হোক এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হোক।
এই প্রেক্ষাপটে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে গা-ঢাকা দিয়ে থাকা নেতাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে আত্মগোপনে গেছেন, আবার কেউ কেউ দেশে ফেরার উপায় খুঁজছেন।
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে রাজধানীর যমুনা চত্বর ঘিরে জড়ো হচ্ছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। শুক্রবার (৯ মে) বাদ জুমা বৃহৎ জনসমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে যমুনার পূর্ব পাশে অবস্থিত ফোয়ারার সামনে। এরই মধ্যে আন্দোলনকারীরা ট্রাক দিয়ে নির্মিত অস্থায়ী মঞ্চের পাশে জড়ো হতে শুরু করেছেন। রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়ানো এই জমায়েতে অংশ নিচ্ছেন একাধিক সংগঠনের কর্মীরা।
দুপুর ১টার দিকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম এবং দলের অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতাকে মঞ্চের আশপাশে অবস্থান নিতে দেখা যায়। এর আগে সকালেই যমুনার সামনে এক তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনে এই সমাবেশের ঘোষণা দেন হাসনাত আবদুল্লাহ।
তিনি বলেন,
“আজ বাদ জুমা ফোয়ারার সামনে জনসমুদ্র হবে। আজ পরিষ্কার হবে—কে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চায় আর কে চায় না।”
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে এই অবস্থান কর্মসূচির সূচনা হয় বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত ১০টায়। হাসনাত আবদুল্লাহর আহ্বানে সাড়া দিয়ে এনসিপি ছাড়াও বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা যমুনা চত্বরে জমায়েত হতে থাকেন।
রাত ১টার দিকে এক বিশাল মিছিল নিয়ে যমুনার সামনে পৌঁছান এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা-কর্মীরা। আন্দোলনের পরিধি আরও বিস্তৃত হয় যখন হেফাজতে ইসলাম, এবি পার্টি, ইসলামী ছাত্রশিবির, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, ইনকিলাব মঞ্চ ও জুলাই ঐক্যের নেতাকর্মীরা একে একে অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দেন।
শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে ঢাকায় জামায়াতে ইসলামীর একটি বড় মিছিল এসে যমুনা চত্বরে যুক্ত হয়। জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের নেতৃত্বে শত শত কর্মী সেখানে উপস্থিত হন।
বিক্ষোভস্থলে দেওয়া এক বক্তব্যে ড. মাসুদ বলেন,
“এই অন্তর্বর্তী সরকারকে যে ছাত্র-জনতা ক্ষমতায় বসিয়েছে, আজ সেই ছাত্র-জনতাই বলছে—আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, আজকের মধ্যেই সব রাজনৈতিক দলকে ডেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দিতে হবে।”
যমুনার চারপাশে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। তবে আন্দোলনকারীদের তীব্র স্লোগান, ব্যানার ও বিভিন্ন প্ল্যাকার্ডে মুখর হয়ে উঠেছে এলাকা। মাঠপর্যায়ের নেতারা বলছেন,
“এটা আর কেবল রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, এটা জাতির পক্ষ থেকে অপরাধী রাজনৈতিক শক্তির বিচারের দাবি।”
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায় ও ডিক্রির বিরুদ্ধে আপিল বা রিভিউ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে মো. ইশরাক হোসেনের নামে গেজেট প্রকাশ এবং তাকে শপথ পড়ানো থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান এ নোটিশ পাঠান। সোমবার […]
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায় ও ডিক্রির বিরুদ্ধে আপিল বা রিভিউ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
নোটিশে মো. ইশরাক হোসেনের নামে গেজেট প্রকাশ এবং তাকে শপথ পড়ানো থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান এ নোটিশ পাঠান।
সোমবার তিনি সাংবাদিকদের জানান, গত রোববার বিকেলে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু এরই মধ্যে রোববার রাতেই নির্বাচন কমিশন ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে সংশোধনী গেজেট প্রকাশ করেছে।
তিনি জানান, দুই বাসিন্দার পক্ষে রোববার নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু একই দিন রাতেই নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করে। এখন পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা নোটিশদাতাদের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আইনজীবী মনিরুজ্জামান বলেন, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে দ্রুততার সঙ্গে এই রায় দেওয়া হয়েছে। আমরা ধারণা করেছিলাম, নির্বাচন কমিশন (ইসি) ট্রাইব্যুনালের রায় চ্যালেঞ্জ করবে। কিন্তু তা করা হয়নি। বরং, আইন উপদেষ্টার মন্তব্য অনুযায়ী, আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত না নিয়েই সংশোধনী গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ট্রাইব্যুনাল এমন কোনো আদেশ দিতে পারে না যার কার্যকারিতা নেই। এখানে মেয়রের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে এবং অধ্যাদেশের মাধ্যমে মেয়র পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়েছিল।
জানা যায়, ঢাকার কাকরাইলের বাসিন্দা মো. রফিকুল ইসলাম ও মো. মামুনুর রশিদের পক্ষে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, আইন সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, যুগ্ম জেলা জজ মো. নুরুল ইসলাম ও মো. ইশরাক হোসেনের কাছে আইনি নোটিশটা পাঠানো হয়েছিল।
উল্লেখ্য, গত ২৭ মার্চ ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম ২০২০ সালের ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত বাতিল করেন এবং বিএনপি নেতা মো. ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করেন।
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে রাজধানীর যমুনা চত্বর ঘিরে জড়ো হচ্ছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। শুক্রবার (৯ মে) বাদ জুমা বৃহৎ জনসমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে যমুনার পূর্ব পাশে অবস্থিত ফোয়ারার সামনে। এরই মধ্যে আন্দোলনকারীরা ট্রাক দিয়ে নির্মিত অস্থায়ী মঞ্চের পাশে জড়ো হতে শুরু করেছেন। রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়ানো এই জমায়েতে অংশ নিচ্ছেন একাধিক সংগঠনের কর্মীরা।
দুপুর ১টার দিকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম এবং দলের অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতাকে মঞ্চের আশপাশে অবস্থান নিতে দেখা যায়। এর আগে সকালেই যমুনার সামনে এক তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনে এই সমাবেশের ঘোষণা দেন হাসনাত আবদুল্লাহ।
তিনি বলেন,
“আজ বাদ জুমা ফোয়ারার সামনে জনসমুদ্র হবে। আজ পরিষ্কার হবে—কে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চায় আর কে চায় না।”
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে এই অবস্থান কর্মসূচির সূচনা হয় বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত ১০টায়। হাসনাত আবদুল্লাহর আহ্বানে সাড়া দিয়ে এনসিপি ছাড়াও বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা যমুনা চত্বরে জমায়েত হতে থাকেন।
রাত ১টার দিকে এক বিশাল মিছিল নিয়ে যমুনার সামনে পৌঁছান এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা-কর্মীরা। আন্দোলনের পরিধি আরও বিস্তৃত হয় যখন হেফাজতে ইসলাম, এবি পার্টি, ইসলামী ছাত্রশিবির, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, ইনকিলাব মঞ্চ ও জুলাই ঐক্যের নেতাকর্মীরা একে একে অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দেন।
শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে ঢাকায় জামায়াতে ইসলামীর একটি বড় মিছিল এসে যমুনা চত্বরে যুক্ত হয়। জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের নেতৃত্বে শত শত কর্মী সেখানে উপস্থিত হন।
বিক্ষোভস্থলে দেওয়া এক বক্তব্যে ড. মাসুদ বলেন,
“এই অন্তর্বর্তী সরকারকে যে ছাত্র-জনতা ক্ষমতায় বসিয়েছে, আজ সেই ছাত্র-জনতাই বলছে—আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, আজকের মধ্যেই সব রাজনৈতিক দলকে ডেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দিতে হবে।”
যমুনার চারপাশে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। তবে আন্দোলনকারীদের তীব্র স্লোগান, ব্যানার ও বিভিন্ন প্ল্যাকার্ডে মুখর হয়ে উঠেছে এলাকা। মাঠপর্যায়ের নেতারা বলছেন,
“এটা আর কেবল রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, এটা জাতির পক্ষ থেকে অপরাধী রাজনৈতিক শক্তির বিচারের দাবি।”
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, বিএনপির কি এত আকাল পড়েছে যে আওয়ামী লীগ থেকে সদস্য আমদানি করতে হবে? যেই আওয়ামী লীগের ডিএনএতে গণতন্ত্র নাই, তাদের কেন আহ্বান করতে…
বেঁচে থাকতে আওয়ামী লীগের সাথে কোনও আপস নয় বরং তাদের কেউ পুনর্বাসন করতে চাইলে বাধা দেয়া হবে। এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্হায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। সোমবার (১৯ মে)…
আওয়ামী লীগের সমর্থক ছিলেন, কিন্তু বিএনপির কার্যক্রমে কোনো বাধা দেননি — এমন ব্যক্তি এবং সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্যরা বিএনপিতে যোগ দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।…
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণের সিদ্ধান্ত নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কোনো নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়নি বলে দাবি করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তার মতে, এ সিদ্ধান্তের পেছনে দেশের জনগণের সমর্থন…