আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে দেশের সর্বস্তরের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তর অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এ বিষয়ে কোনো গড়িমসি বরদাশত করা হবে না। জুমার পর চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু হবে।
শুক্রবার (৯ মে) বেলা ১১টায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম জানান, জুমার আজানের পর মিছিল সহকারে মঞ্চের দিকে যাওয়া হবে। সেখানেই অন্যান্য রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারাও যোগ দেবেন। ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনের সড়কে জুমার নামাজের পর চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু হবে বলে জানান তিনি।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় গণতান্ত্রিক দল জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধানসহ বিভিন্ন দলের নেতারা।
এদিকে সকাল ১০টার পর থেকে যমুনার সামনে আন্দোলনকারীদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। পুরো এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
আন্দোলনকারীরা ‘সারা বাংলায় খবর দে, আওয়ামী লীগের কবর দে’, ‘গোলামী না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’, ‘ক্ষমতা না জনতা, জনতা জনতা’, ‘একটা একটা লীগ ধর, ধরে ধরে বিচার কর’, ‘জ্বালো জ্বালো, আগুন জ্বালো’—এমন স্লোগান দিচ্ছেন।
মিছিলকারীরা জানান, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত ১০টায় এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ঘোষণা দেন— আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ না পাওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চলবে। তিনি বলেন, “যার এজেন্ডায় গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সুস্পষ্ট বয়ান নাই, তার সঙ্গে আমরা নাই।”

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?