আওয়ামী লীগের বিচার ও নিষিদ্ধকরণের দাবিকে ঘিরে দলে বিভাজন কিংবা দ্বিধা ছড়ানোর বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন,
“মাহফুজ, আসিফ, নাহিদদের মতো সংগঠকরা নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই আওয়ামী লীগের বিচার ও নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি তুলেছেন। কিন্তু সেই প্রক্রিয়ায় কারা বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন, তাদের চিহ্নিত করতে হবে।”
পোস্টে তিনি অভিযোগ করেন,
“যারা মাহফুজ আলমের ওপর ক্ষোভ ঝাড়ছেন, তারা হয়ত কারো রাজনৈতিক খেলায় ব্যবহৃত হচ্ছেন, না হলে তাদের ভেতরে অন্য কোনো উদ্দেশ্য লুকিয়ে রয়েছে।”
তার মতে, মূল রাজনৈতিক সমস্যা এবং তার দায়ভাগ এড়িয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণ কিংবা গোষ্ঠীগত হিসাব মেলানোর রাজনীতি শেষ পর্যন্ত আন্দোলনকেই দুর্বল করবে।
তিনি আরও বলেন,
“আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার প্রশ্নে যারা নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে জড়াচ্ছেন বা ভিন্নমত পোষণকারীদের আক্রমণ করছেন, তারা যদি এই মুহূর্তে দায় নিতে না চান, তবে ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগের পুনঃউত্থানের দায়ও তাদের নিতে হবে।”
হাসনাত আবদুল্লাহর এই বক্তব্যকে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা আন্দোলনের ভেতরে চাপা ক্ষোভ ও অস্পষ্ট নেতৃত্ব কাঠামোর ইঙ্গিত বলেই মনে করছেন। বিশেষ করে গণবিচার এবং নিষিদ্ধকরণের মতো রূপরেখার ওপর যখন দলীয় ঐক্য জরুরি, তখন বিভাজনের এমন সংকেত দলটির সামনের রাজনৈতিক রণনীতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে।
এনসিপির ভেতর থেকে আগত এই বক্তব্য রাজনৈতিক পরিসরে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যেসব রাজনৈতিক জোট সক্রিয় রয়েছে, তাদের জন্য এটি এক ধরনের সতর্কবার্তা বলেই দেখছেন বিশ্লেষকরা।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?