আওয়ামী লীগকে “গণহত্যাকারী সংগঠন” আখ্যা দিয়ে এর বিচার ও রাজনৈতিক নিষিদ্ধকরণের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’-এর সামনে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর দক্ষিণাঞ্চল শাখার মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে এ কর্মসূচি শুরু হবে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে জানিয়েছেন তিনি।
ফেসবুকে দেওয়া বার্তায় হাসনাত আবদুল্লাহ লিখেছেন,
“গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগের বিচার ও এ দলটির রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের সুস্পষ্ট রূপরেখা না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের অবস্থান চলবে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই—যার এজেন্ডায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের কোনো নির্দিষ্ট ঘোষণা নেই, তার সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।”
এই অবস্থান কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানিয়ে এনসিপি’র উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমও একই ধরনের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি নিজের ফেসবুক পোস্টে লেখেন,
“হাসনাতের ডাকে সাড়া দিন, যমুনার সামনে এসে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিন। নয় মাস ধরে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে চেষ্টা করেছি। এখন সময় এসেছে দৃঢ় অবস্থান নেওয়ার—যদি সোজা আঙুলে কাজ না হয়, তবে আঙুল বাঁকাতে হবে।”
এনসিপি সূত্রে জানা গেছে, এই কর্মসূচিকে ঘিরে দলের বিভিন্ন ইউনিটকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। যমুনা চত্বরে দলীয় নেতাকর্মীরা জমায়েত হতে শুরু করেছেন বলেও জানিয়েছেন একজন মাঠ পর্যায়ের সংগঠক। তাঁদের ভাষায়,
“এই কর্মসূচি শুধু প্রতীকী প্রতিবাদ নয়, এটি একটি রাজনৈতিক অঙ্গীকার।”
হাসনাত আবদুল্লাহ এর আগেও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি তুলেছেন। এবার তার অবস্থান আরও কঠোর ও প্রকাশ্য। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এনসিপির এই আহ্বান আগামী দিনে সরকারবিরোধী জোটের আন্দোলন কৌশলে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।
আওয়ামী লীগের পক্ষে এখন পর্যন্ত এই কর্মসূচির বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে রাজনৈতিক মহলে এনসিপির এই অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উত্তাপ ছড়িয়েছে, বিশেষ করে সরকারবিরোধী ধারার রাজনীতিতে।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?