যুক্তরাজ্যের লন্ডনে উন্নত চিকিৎসা এবং পারিবারিক আবহে কাটানো দীর্ঘ চার মাস শেষে দেশে ফিরেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। মানসিক প্রশান্তি ও সুস্থতার বার্তা নিয়েই তিনি মঙ্গলবার সকালে ঢাকায় পৌঁছান।
সকাল ১০টা ৪৩ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে তাঁর বহনকারী বিমান। পরে দুপুরে গুলশানের ফিরোজায় ফেরার পথে দেখা যায় জনতার ঢল। রাজধানীর প্রতিটি মোড়ে, ব্যানার-প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন দলীয় নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষ। কেউ ফুল হাতে, কেউ স্লোগানে মুখরিত করে রাখেন রাস্তার দুই পাশ।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এ গণজোয়ারকে বরণ করে নিয়ে এক বিবৃতিতে দেশনেত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে আসা সাধারণ মানুষ এবং দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
দলীয় বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী উল্লেখ করেন, যারা দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর দলের নেত্রীকে স্বাগত জানাতে রাস্তায় দাঁড়িয়েছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তারেক রহমান।
এছাড়াও বিমানবন্দর ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিযুক্ত সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্য, পুলিশ, র্যাব ও অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটির যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী দায়িত্ব পালন করেছেন, তাঁদের প্রতিও বিএনপির পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
বেগম খালেদা জিয়ার এই প্রত্যাবর্তন কেবল একটি রাজনৈতিক নেত্রীর দেশে ফেরা নয়, বরং এটি ছিল জনগণের সঙ্গে তাঁর আবেগঘন পুনর্মিলনের মুহূর্ত—যা ঢাকার রাজপথকে রূপ দেয় বিজয়মিছিলে।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?