আদালতে যাতায়াত এখন বিএনপি নেতাদের জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, “আদালত এখন আমাদের সেকেন্ড হোম (দ্বিতীয় বাড়ি) হয়ে গেছে। আগে যেতে হয়েছে, এখনও যেতে হয়।”
সোমবার (৫ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘৫ মে হেফাজতের ওপর গণহত্যার বিচার, সংলাপ, সংস্কার ও আগামী নির্বাচন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ পেশাজীবী জোট নামক একটি সংগঠন এই সভার আয়োজন করে।
গয়েশ্বর রায় বলেন, “সকাল ৯টায় আদালতে গিয়েছিলাম, শুনানি শুরু হওয়ার কথা ছিল সাড়ে ১২টায়। পরে জানা গেল সাক্ষী আসেননি। তাই আমি এখানে চলে এসেছি।
” তিনি প্রশ্ন তোলেন, “বর্তমানে যিনি প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, তার বিরুদ্ধেও মামলা ছিল, তিনিও অব্যাহতি পেয়েছেন। তাহলে আমরা কেন এখনও আদালতে হাজিরা দিই? আমরা কি মরে গেছি? আমাদের কি কোনো অবদান নেই?”
নির্বাচন নিয়ে বিলম্ব প্রসঙ্গে গয়েশ্বর বলেন, “যদি শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট স্বাভাবিকভাবে পদত্যাগ করতেন, সংসদ বিলুপ্ত হতো, তাহলে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হতো। এখন কেন এত দেরি? ১৯৯৬ সালে খালেদা জিয়া দায়িত্ব ছাড়ার ৯০ দিনের মধ্যেই নির্বাচন হয়েছিল।”
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, খেলাফত মজলিশের মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমেদ, জোটের সমন্বয়কারী হুমায়ুন কবির বেপারী ও প্রজন্ম একাডেমির সভাপতি কালাম ফয়েজী।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?