গাজীপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চল শাখার মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ও তার সহযোগীদের ওপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের যেকোনো সহযোদ্ধার ওপর হামলা হলে ‘জুলাই বিপ্লবের সহযোদ্ধারা’ একসঙ্গে রুখে দাঁড়াবে।
রোববার (৪ মে) দেওয়া বিবৃতিতে জাহিদুল ইসলাম বলেন,
“ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনে যারা আমাদের সহযাত্রী, তাদের ওপর কোনো আঘাত হলে আমরা কেউ বসে থাকব না। ইনশাআল্লাহ, সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।” তিনি বলেন, “৩৬ জুলাই-পরবর্তী বাংলাদেশে যেকোনো ধরনের পুরাতন কিংবা আধুনিক ফ্যাসিবাদী শক্তিকে আর কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা প্রতিরোধ করব, ন্যূনতমও ছাড় দেব না।”
ছাত্রশিবির সভাপতি এ ঘটনাকে ‘নিষ্ঠুর সন্ত্রাসী তৎপরতা’ বলে উল্লেখ করে এর সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। তিনি বলেন,
“হাসনাত আবদুল্লাহর ওপর হামলা শুধু একজন রাজনৈতিক সংগঠকের ওপর হামলা নয়, এটি পুরো রাজনৈতিক সচেতন সমাজের ওপর আঘাত।”
এদিকে হামলার ঘটনার বিষয়ে এনসিপির উত্তরাঞ্চল শাখার মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম জানিয়েছেন, রোববার রাত ১০টার দিকে গাজীপুর এলাকায় গাড়িযোগে যাওয়ার সময় হাসনাত আবদুল্লাহর ওপর সংঘবদ্ধভাবে হামলা চালায় ১০ থেকে ১২ জন মুখোশধারী সন্ত্রাসী। তিনি অভিযোগ করেন, এটি পূর্বপরিকল্পিত রাজনৈতিক আক্রমণ।
এই ঘটনার পর গাজীপুরের বিভিন্ন পর্যায়ে রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এনসিপির স্থানীয় নেতারা বলেন, বারবার এ ধরনের আক্রমণ প্রমাণ করে, একটি গোষ্ঠী গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমিয়ে রাখতে চায়।
ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে বলা হয়, ফ্যাসিবাদবিরোধী সংগ্রামে যে কোনো মূল্যে পাশে থাকার অঙ্গীকার তারা পূর্ণতা দিয়ে পালন করবে। রাজনৈতিক ভিন্নমত দমন ও দমননীতি প্রয়োগ করে কেউ দীর্ঘস্থায়ী হতে পারবে না বলেও তারা উল্লেখ করে।
ঘটনার যথাযথ তদন্ত ও হামলাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবিতে ছাত্রশিবিরসহ বিভিন্ন সংগঠন সারা দেশে প্রতিবাদ কর্মসূচির প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানা গেছে।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?