জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে বহনকারী হিসেবে পরিচিত হাসনাত আব্দুল্লাহর ওপর হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন এনসিপি নেতৃবৃন্দ ও বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক পিনাকী ভট্টাচার্য। রবিবার (৪ মে) রাতে নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ প্রতিক্রিয়া জানান।
স্ট্যাটাসে পিনাকী ভট্টাচার্য লেখেন,
“হাসনাত আব্দুল্লাহ শুধু একজন ব্যক্তি নন, তিনি একটি রাজনৈতিক চেতনার ধারক। তার ওপর আঘাত মানে জুলাই বিপ্লবের স্পিরিটের ওপর আঘাত। একজন বিবেকবান নাগরিক হিসেবে আমি মনে করি, তাকে রক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব।”
তিনি আরও বলেন,
“আমি যদি দেশে থাকতাম, তাহলে নিজে তাকে বুক দিয়ে আগলে রাখতাম। যারা দেশে আছেন, তারা যেন এই দায়িত্ব নেন এবং হাসনাতকে রক্ষা করেন।”

এর আগে একই দিন সন্ধ্যায় এনসিপির আরেক নেতা আব্দুল হান্নান মাসউদ নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে হামলার বিষয়টি প্রকাশ করেন এবং দলীয় নেতাকর্মীদের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার আহ্বান জানান।
রাত ১০টার পর এনসিপির নেতাকর্মীরা রাজধানীর বাংলামোটর থেকে টিএসসির উদ্দেশে বিক্ষোভ মিছিল করেন। শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে দলীয় পতাকা ও ব্যানার হাতে স্লোগান দিতে দিতে তারা এগিয়ে যান। বিক্ষোভকারীরা হামলার বিচার দাবি করে সরকারের নীরব অবস্থান নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
এনসিপি নেতারা দাবি করেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ওপর এই ধরনের আক্রমণ শুধু ব্যক্তি নয়, বরং মতাদর্শকেই লক্ষ্য করে পরিচালিত। তারা মনে করেন, দেশে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পরিবেশকে রুদ্ধ করার জন্য এ ধরনের হামলা পরিকল্পিতভাবে করা হচ্ছে।
বিক্ষোভ শেষে নেতারা বলেন,
“হাসনাত আব্দুল্লাহর প্রতি সহিংস আচরণ রাজনৈতিক পরিসরের জন্য অশনি সংকেত। আমরা এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করছি এবং এর সুষ্ঠু বিচার না হলে দেশজুড়ে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিচ্ছি।”
প্রসঙ্গত, এনসিপি গত কয়েক মাস ধরে রাজনৈতিক সংস্কার, অন্তর্বর্তী সরকার, এবং নতুন গঠনতন্ত্রের দাবি তুলে রাস্তায় সক্রিয় রয়েছে। হাসনাত আব্দুল্লাহ তাদের আন্দোলনের অন্যতম মুখ এবং সাংগঠনিক সমন্বয়ক হিসেবে পরিচিত।
এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও একাত্মতা প্রকাশ করছেন বহু নাগরিক। পিনাকী ভট্টাচার্যের প্রকাশিত স্ট্যাটাস ইতোমধ্যে দেশজুড়ে আলোচনা তৈরি করেছে।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?