মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে তথাকথিত “মানবিক করিডর” চালুর সিদ্ধান্ত থেকে সরকার না সরলে রাজপথে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন গণ–অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও জনগণের স্বার্থের পরিপন্থী।
শনিবার (৩ মে) রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে এক সভায় তিনি বলেন, “সরকার যদি রাখাইনের জন্য তথাকথিত মানবিক করিডর চালু করার সিদ্ধান্ত থেকে না সরে, তবে গণ–অধিকার পরিষদ রাজপথে নামতে বাধ্য হবে। দেশের ভূখণ্ড অন্য কোনো দেশের স্বার্থে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।”
নুর এসময় গণ–অধিকার পরিষদের উপদেষ্টা পরিষদের সম্প্রসারণ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, “আসিফ, নাহিদসহ যাদের উপদেষ্টা করা হয়েছে, তাদের প্রধান দায়িত্ব ছিল আহতদের চিকিৎসা ও ফ্যাসিস্টদের বিচারে ভূমিকা রাখা। কিন্তু সে কার্যক্রম দৃশ্যমান নয়।” তিনি রাজনৈতিক চেতনা বিবেচনায় ‘জুলাই আন্দোলনের’ আদর্শ ধারণ না করা ব্যক্তিদের পরিহারের আহ্বান জানান।
দলের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খানও একই সুরে বলেন, “সরকার এখন করিডর–করিডর খেলায় মেতে উঠেছে। ভারত-পশ্চিমাদের দালালি করে তারা দেশের জনগণকে বিপদে ফেলছে। আমরা সেটা মেনে নেব না।”
তিনি আরও বলেন, “এমন একটি গুরুতর সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দেশের জনগণ কিংবা রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নেয়া হয়নি। এটি জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার শামিল।”
নুরুল হক নুর জানান, জনগণের আস্থা নতুন নেতৃত্বে গড়ে উঠছে এবং গণ–অধিকার পরিষদ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেবে। রাজপথে এবং সংসদেও জনগণের অধিকার আদায়ে সক্রিয় থাকবে দলটি।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?