নেত্রকোনার দুর্গাপুরে এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে হোটেলে আটকে রেখে বর্বর নির্যাতন চালিয়েছে ছাত্রদল নেতা ফয়সাল আহমেদ ওরফে দুর্জয়। মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার বিরিশিরি এলাকা থেকে অভিযুক্ত দুর্জয়কে হাতেনাতে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনার সময় অসহায় অবস্থায় উদ্ধার করা হয় নির্যাতিত তরুণীকেও।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান তৃতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী সম্প্রতি কলমাকান্দার এক ছাত্রের সঙ্গে বিয়ের আয়োজন করছিলেন। বিয়ের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার হবু বরকে সঙ্গে নিয়ে দুর্গাপুর ভ্রমণে যান। সেখানে দুর্জয়ের পুরনো বন্ধুত্বের সুযোগে তারা বিরিশিরির একটি আবাসিক হোটেলে ওঠেন।
কিন্তু বিকেল তিনটার দিকে তরুণীর হবু বর খাবার আনতে বের হলে, দুর্জয় সুযোগে হোটেল কক্ষে প্রবেশ করে ছাত্রীটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। নির্যাতিতার আর্তচিৎকারে হোটেল জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে দ্রুত অভিযান চালায় পুলিশ এবং ধর্ষক দুর্জয়কে গ্রেপ্তার করে।
দুর্গাপুর থানার ওসি মাহমুদুল হাসান জানান,
“ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। দুর্জয়ের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন। আজই তাকে আদালতে পাঠানো হবে। নির্যাতিতাকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”
ছাত্রদল নেতা পরিচয়ধারী দুর্জয়ের নোংরামিতে পুরো দুর্গাপুরে তীব্র ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, রাজনীতির নামে এইসব দুষ্কৃতকারীদের প্রশ্রয় দিয়ে দলগুলো নিজেদের অস্তিত্বকেই কলঙ্কিত করছে। জনসাধারণের দাবি—দুর্জয়ের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং ছাত্র রাজনীতির ছত্রছায়ায় লুকিয়ে থাকা অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চালাতে হবে।
জনমনে প্রশ্ন—রাজনীতির নামে কতদিন চলবে এমন লাম্পট্যের অবাধ ছড়াছড়ি?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?