জাতীয় সংসদ এবং রাষ্ট্রপতির মেয়াদ পাঁচ বছরই বহাল রাখার পক্ষে মত দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন চার বছর মেয়াদের প্রস্তাব দিলেও জামায়াত এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে পুরনো মেয়াদ অক্ষুণ্ণ রাখার আহ্বান জানিয়েছে।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের এ অবস্থানের কথা জানান।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সকাল থেকে অনুষ্ঠিত আলোচনা পর্বের বিরতিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ তাহের বলেন,
“ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে সংসদ ও রাষ্ট্রপতির মেয়াদ কমিয়ে চার বছর করার প্রস্তাব এসেছে। তবে আমরা মনে করি, এটি যৌক্তিক হবে না। পাঁচ বছরের মেয়াদই যথার্থ এবং দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।”
দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠনের বিষয়ে জামায়াতে ইসলামী নীতিগতভাবে সম্মতি দিয়েছে বলে জানান তিনি। তবে দ্বিকক্ষের রূপ, কাঠামো ও নির্বাচনপদ্ধতি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত আলোচনা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন।
এছাড়া সংবিধান সংস্কার, বিচারব্যবস্থা, জনপ্রশাসন সংস্কার, দুর্নীতিদমন এবং নির্বাচন কমিশনের সংস্কারের বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে, সকালে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন,
“রাষ্ট্র সংস্কারের এই উদ্যোগ কোনো সরকারের একক সিদ্ধান্ত নয়; বরং এটি বাংলাদেশের জনগণের দীর্ঘদিনের দাবি এবং গণআকাঙ্ক্ষার ফল।
” তিনি আরও বলেন, চলমান আলোচনার মাধ্যমে একটি জাতীয় সনদ প্রণয়নের চেষ্টা চলছে, যেখানে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য প্রতিফলিত হবে।
উল্লেখ্য, রাজনৈতিক অঙ্গনে এই ঐকমত্য প্রচেষ্টা বর্তমানে ব্যাপক আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?