বাংলাদেশের রাজনীতির মাঠ আবারও উত্তপ্ত। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ (আ.লীগ) একাধিক দেশি ও বিদেশি কৌশলের মাধ্যমে রাজপথে সক্রিয় হওয়ার পরিকল্পনা নিচ্ছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। জাতীয় নির্বাচন পরবর্তী সময়েও যখন বিরোধীরা নতুন করে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে, তখন আ.লীগ নিজ দলকে পুনরায় রাজপথে সংগঠিত করতে উঠেপড়ে লেগেছে।
সূত্র বলছে, দলটির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ইতিমধ্যেই তৃণমূল পর্যায়ে পুনর্গঠন কার্যক্রম শুরু করেছে। এতে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাঠে নামতে উৎসাহিত করা হচ্ছে এবং জনসম্পৃক্ত কর্মসূচির ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে, আগামী কয়েক মাসে রাজধানী ও বিভাগীয় শহরগুলোতে বড় বড় মিছিল ও সমাবেশের আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।
রাজনৈতিক মহল বলছে, এই পরিকল্পনার পেছনে বিদেশি কূটনৈতিক চ্যানেলের একটি ভূমিকা রয়েছে। কয়েকটি উন্নয়ন সহযোগী দেশ চায়, বাংলাদেশে স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ বজায় থাকুক, যার জন্য তারা ক্ষমতাসীন দলের সক্রিয় উপস্থিতিকে ইতিবাচকভাবে দেখছে। পাশাপাশি, কয়েকটি আন্তর্জাতিক থিংক ট্যাংক এবং লবিস্ট গ্রুপ আ.লীগের বর্তমান নেতৃত্বের স্থায়িত্বকে ‘অংশীদারিত্বমূলক উন্নয়নের’ ধারা অব্যাহত রাখার অন্যতম উপায় হিসেবে তুলে ধরছে।
তবে শুধু বিদেশি পরিকল্পনার ওপর নির্ভর না করে, আওয়ামী লীগ এখন দেশে নিজেদের সাংগঠনিক শক্তিকে নতুন করে জাগিয়ে তুলতে চাইছে। তারা মনে করছে, রাজপথে শক্তিশালী উপস্থিতি না থাকলে বিরোধীরা সহজেই সুযোগ নিতে পারে। এ কারণেই বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ সংগঠনগুলোকে পুনরায় চাঙা করা হচ্ছে।
বড় মিছিল ও সমাবেশের মাধ্যমে জনমনে বার্তা দিতে চায় আ.লীগ—তারা এখনও জনগণের সাথে আছে এবং রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতেই। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এটা এক ধরনের শক্তি প্রদর্শনও, যা আগামী দিনের সম্ভাব্য রাজনৈতিক অস্থিরতা মোকাবিলায় দলের জন্য সহায়ক হতে পারে।
সবমিলিয়ে, মাঠে নামার এই উদ্যোগ একদিকে যেমন রাজনৈতিক দৃশ্যপটকে আরও প্রাণবন্ত করবে, অন্যদিকে ক্ষমতাসীন দলের জন্য এক নতুন চ্যালেঞ্জও বটে।

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?