রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

রাজনীতি

মৌলিক সংস্কার শেষে ডিসেম্বরে নির্বাচনে আপত্তি নেই এনসিপির

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রশ্নে অনেকটা একই কাতারে এসেছে দেশের বড় দুটি রাজনৈতিক দল বিএনপি এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের কথা বলেছে। আর জামায়াত কোনো মাস উল্লেখ না করে আগামী রমজানের আগে নির্বাচন করার ওপর জোর দিয়েছে। সেক্ষেত্রে কিছুটা ভিন্ন প্রস্তাবে আলোচনার জন্ম দিয়েছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের উদ্যোগে গঠিত […]

নিউজ ডেস্ক

১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৭:১১

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রশ্নে অনেকটা একই কাতারে এসেছে দেশের বড় দুটি রাজনৈতিক দল বিএনপি এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের কথা বলেছে। আর জামায়াত কোনো মাস উল্লেখ না করে আগামী রমজানের আগে নির্বাচন করার ওপর জোর দিয়েছে।

সেক্ষেত্রে কিছুটা ভিন্ন প্রস্তাবে আলোচনার জন্ম দিয়েছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের উদ্যোগে গঠিত নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। মৌলিক সংস্কার না হলে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ারও ইঙ্গিত দিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে এনসিপির একাধিক নেতা কালবেলাকে জানিয়েছেন, মৌলিক সংস্কার সম্পন্ন হলে ডিসেম্বর কিংবা জানুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাদের আপত্তি নেই। এ মুহূর্তে এনসিপি সংস্কার এবং বিগত সরকারের সময় গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা ও গণপরিষদ নির্বাচনের ওপর জোর দিচ্ছে।

এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব কালবেলাকে বলেন, ‘এনসিপির মূল দাবি হচ্ছে রাষ্ট্রের শাসনতান্ত্রিক কাঠামোর মৌলিক সংস্কার এবং একই সঙ্গে গত ১৫ বছরে হত্যা, গণহত্যায় অভিযুক্ত রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার করা। মৌলিক সংস্কার প্রশ্নে সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে সরকারের ঐকমত্যে পৌঁছানো। এসব বিষয়কে এনসিপি ফোকাস করেছে।

এ দাবিগুলো যত দ্রুত সময়ে পূরণ হবে; তত দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। নির্বাচনের সময় নিয়ে আমাদের এত বেশি কনসার্ন নেই। দাবিগুলো যদি পূরণ হয়, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময় ডিসেম্বর বা জানুয়ারি নিয়ে আমাদের আপত্তি নেই।

নির্বাচনের ক্ষেত্রে শুধু জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে গণপরিষদ নির্বাচনে জোর দিয়েছে এনসিপি। দলটির নেতারা বলছেন, বারবার ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরতন্ত্র ফিরে আসা চিরতরে বন্ধ করা, সংবিধান পুনর্লিখন ও শাসন কাঠামোর আমূল পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন গণপরিষদ। সেই গণপরিষদ নতুন সংবিধান তৈরি করবে এবং সেই সংবিধানের অধীনে হবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তবে সব পক্ষ চাইলে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণপরিষদ নির্বাচন একসঙ্গেও হতে পারে।

জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন কালবেলাকে বলেন, ‘যেহেতু আমরা নতুন সংবিধানের কথা বলছি, সেহেতু আমরা গণপরিষদ নির্বাচন আগে চাই। সেটা গণপরিষদ কাম জাতীয় সংসদ নির্বাচনও হতে পারে। এ ব্যাপারে ঐকমত্য এবং রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার যত দ্রুত হবে, নির্বাচন তত দ্রুতই হতে পারে। আমাদের ফোকাস জুলাই বিপ্লবের স্পিরিটকে ধারণ করে সংবিধান ও রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার করা। সেটা দৃশ্যমান করার জন্য আমরা সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছি।

এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার কালবেলাকে বলেন, ‘মৌলিক সংস্কারের পর নির্বাচন হলে আমরা কখনোই আপত্তি করিনি, করবও না। সেটি যদি ডিসেম্বরে হয়, তাতেও আমাদের আপত্তি নেই। মৌলিক সংস্কারের মানে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ এবং স্থায়ী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রবর্তন। এ জন্য গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে। এ প্রক্রিয়া নিয়ে আমরা কখনোই আপত্তি করিনি বা দ্বিমত জানাইনি।

এর আগে বুধবার বিকেলে ঢাকা সফররত যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোল চুলিকের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা এখানে রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার, গুণগত পরিবর্তনের জন্য আমরা কাজ করছি। কোনো ধরনের মৌলিক পরিবর্তন ছাড়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিকে গেলে সেটি সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য হবে না এবং সে নির্বাচনে জাতীয় নাগরিক পার্টি অংশগ্রহণ করবে কি না, সেটাও বিবেচনাধীন থাকবে।

এ ছাড়া প্রশাসন নিরপেক্ষ নয় বলে মন্তব্য করেও নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করছি প্রশাসন আমাদের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির পক্ষাবলম্বন করছে। অনেক জায়গায় এবং মাঠপর্যায়ে যে ধরনের চাঁদাবাজি চলছে, সেই জায়গায়ও মাঠ প্রশাসন আসলে নিশ্চুপ বা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। আমরা বলেছি, যদি এ ধরনের একটা প্রশাসন থাকে, তাহলে নির্বাচন করা সম্ভব নয়। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের জন্য একটি নিরপেক্ষ প্রশাসন, আমলাতন্ত্র এবং পুলিশ আমাদের ঠিক করতে হবে।

নাহিদ ইসলাম এমন মন্তব্য করলেও নির্বাচনের প্রস্তুতিতে পিছিয়ে নেই এনসিপির নেতাকর্মীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের সময় বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন করেছে দলটি। বিভিন্ন আসনে প্রার্থীও চূড়ান্ত করা হচ্ছে। আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এনসিপি কাজ করছে বলে জানিয়েছেন দলটির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দল হিসেবে মাত্র এক মাসের দল এনসিপি। তাই সারা দেশে প্রার্থী মনোনয়নে অবশ্যই বড় চ্যালেঞ্জ। আমাদের লক্ষ্য ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়া। আমরা সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছি।

এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে একটি গণপরিষদ নির্বাচন হওয়া উচিত, যেখানে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা প্রথমে জাতিকে একটি গণতান্ত্রিক সংবিধান উপস্থাপন করবেন। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি স্থায়ী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৯৬৩

রাজনীতি

ঢাকা বিমানবন্দর থেকে আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রী এবং মেয়ে আটক

এটি কি নিয়মতান্ত্রিক কোনো প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো নির্দেশনা বা রাজনৈতিক বিবেচনা কাজ করেছে?

নিউজ ডেস্ক

১৩ মে ২০২৫, ১৩:৫৮

বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রী শেখ শাইরা শারমিনের বিদেশযাত্রায় বাধা দেওয়ার ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনি থাইল্যান্ডগামী থাই এয়ারওয়েজের টিজি৩২২ ফ্লাইটে ওঠার প্রস্তুতি নিলেও ইমিগ্রেশন কাউন্টার থেকে তাকে থামিয়ে দেওয়া হয়। তিনি ফ্লাইটে উঠতে পারেননি।

বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে তিনি ফ্লাইটের জন্য চেক-ইন সম্পন্ন করলেও ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ কোনো নির্দিষ্ট কারণ না জানিয়ে তাকে ফ্লাইটে ওঠার অনুমতি দেয়নি। তবে ইমিগ্রেশন বা কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।

শেখ শাইরা শারমিনের পারিবারিক পরিচিতি ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক বলয়ের সঙ্গে যুক্ত। তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের ভাই শেখ আবু নাসেরের ছেলে শেখ হেলাল উদ্দীনের কন্যা এবং বাগেরহাট-২ আসনের আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়ের বড় বোন। অন্যদিকে, তার স্বামী আন্দালিব রহমান পার্থ একজন বিরোধী রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা এবং বিভিন্ন সময়ে সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের সমালোচনায় সক্রিয় থেকেছেন।

এই প্রেক্ষাপটে একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হয়েও বিদেশযাত্রায় বাধার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে—এটি কি নিয়মতান্ত্রিক কোনো প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো নির্দেশনা বা রাজনৈতিক বিবেচনা কাজ করেছে?

আইন ও প্রশাসনের নিরপেক্ষতা এবং ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের স্বচ্ছতা নিয়ে এ ধরনের ঘটনার পর নানা ধরনের আলোচনা এবং ব্যাখ্যার সুযোগ তৈরি হয়। বিশেষ করে যখন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সরাসরি কোনো মামলার আসামি নন কিংবা তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্য কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই, তখন এমন ঘটনায় জনমনে প্রশ্ন তৈরি হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়।

বর্তমানে এই বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত হোক বা রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ডপ্রসূত কারণ—ঘটনাটির স্বচ্ছ ব্যাখ্যা প্রয়োজন, যাতে বিভ্রান্তি না ছড়ায় এবং নাগরিকদের অধিকার বিষয়ে আস্থার পরিবেশ অটুট থাকে।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৯৬৩

রাজনীতি

ভারতে আশ্রয় নেওয়া সব আ:লীগ নেতাদের দেশে ফিরতে নির্দেশ দিলেন শেখ হাসিনা

দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে থাকা নেতাদের স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে সবাইকে দেশে ফিরতে হবে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা ফিরবেন না, তাদেরকে আটক করে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে এবং আইনের আওতায় আনা হবে।

নিউজ ডেস্ক

১৭ মে ২০২৫, ১৭:০৩

গণহত্যা, দমন-পীড়ন ও অন্যান্য গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া আওয়ামী লীগপন্থী বহু নেতা এখন চরম অনিশ্চয়তার মুখে। ভারতের অভ্যন্তরে থাকা অবৈধ বিদেশিদের দ্রুত দেশত্যাগের নির্দেশ জারির পর দেশটিতে পালিয়ে থাকা এসব নেতাদের মধ্যে শুরু হয়েছে দেশ ছাড়ার হিড়িক।

আগস্ট মাস থেকে এ নির্দেশনা আরও কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করার কথা থাকায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে।

পুশব্যাক ও গ্রেফতারের আশঙ্কায় অনেক নেতা ভারতে অবস্থান ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছেন। ইতিমধ্যে ৫০ জনেরও বেশি নেতা ইউরোপ ও আমেরিকায় পালিয়ে গেছেন এবং অনেকে নতুন করে এসব দেশে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টায় রয়েছেন। তবে পালিয়ে বাঁচা যেন খুব সহজ হবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে থাকা নেতাদের স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে সবাইকে দেশে ফিরতে হবে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা ফিরবেন না, তাদেরকে আটক করে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে এবং আইনের আওতায় আনা হবে।

এ লক্ষ্যে সরকার আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে বহুমুখী কূটনৈতিক ও আইনি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

সরকারের একটি গোপন সূত্র জানিয়েছে, এই প্রক্রিয়ায় ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনায় আছে। সরকার চায়, এসব অপরাধের দ্রুত বিচার কার্যকর হোক এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হোক।

এই প্রেক্ষাপটে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে গা-ঢাকা দিয়ে থাকা নেতাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে আত্মগোপনে গেছেন, আবার কেউ কেউ দেশে ফেরার উপায় খুঁজছেন।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৯৬৩

রাজনীতি

ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়াতে লিগ্যাল নোটিশ

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায় ও ডিক্রির বিরুদ্ধে আপিল বা রিভিউ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে মো. ইশরাক হোসেনের নামে গেজেট প্রকাশ এবং তাকে শপথ পড়ানো থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান এ নোটিশ পাঠান। সোমবার […]

নিউজ ডেস্ক

২৮ এপ্রিল ২০২৫, ২১:১০

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায় ও ডিক্রির বিরুদ্ধে আপিল বা রিভিউ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

নোটিশে মো. ইশরাক হোসেনের নামে গেজেট প্রকাশ এবং তাকে শপথ পড়ানো থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান এ নোটিশ পাঠান।

সোমবার তিনি সাংবাদিকদের জানান, গত রোববার বিকেলে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু এরই মধ্যে রোববার রাতেই নির্বাচন কমিশন ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে সংশোধনী গেজেট প্রকাশ করেছে।

তিনি জানান, দুই বাসিন্দার পক্ষে রোববার নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু একই দিন রাতেই নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করে। এখন পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা নোটিশদাতাদের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

আইনজীবী মনিরুজ্জামান বলেন, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে দ্রুততার সঙ্গে এই রায় দেওয়া হয়েছে। আমরা ধারণা করেছিলাম, নির্বাচন কমিশন (ইসি) ট্রাইব্যুনালের রায় চ্যালেঞ্জ করবে। কিন্তু তা করা হয়নি। বরং, আইন উপদেষ্টার মন্তব্য অনুযায়ী, আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত না নিয়েই সংশোধনী গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ট্রাইব্যুনাল এমন কোনো আদেশ দিতে পারে না যার কার্যকারিতা নেই। এখানে মেয়রের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে এবং অধ্যাদেশের মাধ্যমে মেয়র পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়েছিল।

জানা যায়, ঢাকার কাকরাইলের বাসিন্দা মো. রফিকুল ইসলাম ও মো. মামুনুর রশিদের পক্ষে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, আইন সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, যুগ্ম জেলা জজ মো. নুরুল ইসলাম ও মো. ইশরাক হোসেনের কাছে আইনি নোটিশটা পাঠানো হয়েছিল।

উল্লেখ্য, গত ২৭ মার্চ ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম ২০২০ সালের ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত বাতিল করেন এবং বিএনপি নেতা মো. ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করেন।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৯৬৩