বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

রাজনীতি

ইলেকশন যত দেরি হবে, বিএনপির জনপ্রিয়তা তত কমবে : সারোয়ার তুষার

জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেছেন, “বিএনপির একটা শংকা হচ্ছে, যত ইলেকশন দেরি হবে, বিএনপির মাঠ পর্যায়ে জনপ্রিয়তা তত কমবে।” সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন। সারোয়ার তুষার বলেন, “তার কারণ হচ্ছে, বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ের নেতারা,যদিও কেন্দ্র থেকে একটা আন্তরিকতা দেখা যায়, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানসহ কেন্দ্র একটি আন্তরিক ভূমিকা রাখছে,তবুও […]

ইলেকশন যত দেরি হবে, বিএনপির জনপ্রিয়তা তত কমবে : সারোয়ার তুষার

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৩:৪৬

জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেছেন, “বিএনপির একটা শংকা হচ্ছে, যত ইলেকশন দেরি হবে, বিএনপির মাঠ পর্যায়ে জনপ্রিয়তা তত কমবে।” সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

সারোয়ার তুষার বলেন, “তার কারণ হচ্ছে, বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ের নেতারা,যদিও কেন্দ্র থেকে একটা আন্তরিকতা দেখা যায়, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানসহ কেন্দ্র একটি আন্তরিক ভূমিকা রাখছে,তবুও সারা দেশে যেভাবে বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলো ঘটছে, তাতে একটা উদ্বেগ আছে। এসব ঘটনা এত নিরবিচ্ছিন্নভাবে ঘটছে যে, বাস্তবতা হচ্ছে এগুলো মহামারি আকারে রূপ নিয়েছে।”

তিনি বলেন, “ফলে বিএনপির দিক থেকে একটা উদ্বেগ আছে যে, ইলেকশন দেরিতে হলে তাদের জনপ্রিয়তা হ্রাস পেতে থাকবে। কারণ, ইন দ্য মিনটাইম জামায়াতে ইসলামী কাজ করছে, এনসিপি নতুন দল হিসেবে এন্ট্রি নিয়েছে, গণঅধিকার পরিষদও সক্রিয়। ফলে এবারের ইলেকশন ‘গিভেন’ না। তারেক রহমান দুই-তিন মাস আগেই বলেছিলেন, এবার অনেক সুইং ভোট, অনেক হিসাব থাকবে। সেসব হিসেব থেকেই বিএনপির এই উদ্বেগ।”

সরকারের বক্তব্য প্রসঙ্গে সারোয়ার তুষার বলেন, “দেখুন, সরকার কিন্তু এটা বলেনি যে ডিসেম্বরে ইলেকশন হবে না। তারা বলছে, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে যে কোনো সময় হবে—ডিসেম্বরও তো পড়ে এর মধ্যে।

আমাদের দিক থেকে বক্তব্য হচ্ছে, ডিসেম্বরে ইলেকশন করুক, উই ডোন্ট হ্যাভ এনি প্রবলেম। তবে আমরা যে কথাগুলো বলছি, এসিওরেন্স চাইছি কারণ এবারের ইলেকশনের এজেন্ডা হচ্ছে—সংস্কারের ভিত্তিতে নির্বাচন হবে। কিন্তু এই নির্বাচনটা করে ফেলাটাই এক ধরনের সংস্কার।”

সারোয়ার তুষার বলেন, “অনেকে বলছেন, নির্বাচিত সরকার এসে সংস্কার করবে। কিন্তু এটা নিয়ে দুই স্তরের সমস্যা আছে—একটা হচ্ছে কমিটমেন্ট, আরেকটা হচ্ছে পদ্ধতিগত।কিছু সংস্কার তো এই সরকার অধ্যাদেশ দিয়েই করতে পারে—যেগুলো সংবিধানের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত নয়।

পরবর্তী সরকার এসে সেগুলোকে অনুমোদন করবে।আর সংবিধান যেহেতু একটি মৌলিক নথি, আপনি এটা সংসদে গিয়ে সরাসরি পরিবর্তন করতে পারবেন না। সংবিধান সংস্কার করতে হলে গণভোট করতে হবে অথবা গণপরিষদ নির্বাচনে যেতে হবে—যেটা আমাদের জাতীয় ঐক্যমঞ্চের স্প্রেডশিটে বলা হয়েছে।”

তিনি বলেন, “আমাদের প্রস্তাব খুবই সহজ—আগামী নির্বাচিত বডি একযোগে গণপরিষদ এবং আইনসভা হিসেবে কাজ করবে। পৃথিবীর অনেক দেশে এটা ঘটেছে। এই অঞ্চলেও অনেক দৃষ্টান্ত রয়েছে।

দুর্ভাগ্যজনকভাবে, বিএনপির কাছ থেকে আমরা এ বিষয়ে খুব ইতিবাচক সাড়া পাইনি। তারা যে যুক্তি দিচ্ছে, তা ধোপে টেকে না। তারা বলছে, এটা তো একেবারে নতুন দেশ নয়, নতুন সংবিধান নয়—তাহলে কেন লাগবে?

আমরা বলছি, পৃথিবীতে অনেক দেশ আছে যারা প্রয়োজনে চার-পাঁচবার গণপরিষদ নির্বাচন করেছে। যদি মনে হয় এই কনস্টিটিউশনে আর কিছু হচ্ছে না, তাহলে করতেই হবে।”

তিনি বলেন, “৩১ দফার মধ্যে সংবিধানের প্রসঙ্গ তো স্পষ্টভাবে এসেছে। সেই সংবিধান কমিশন তো এখনো হয়নি। ফলে অন্তত একটি দফা তো বিএনপির বাতিল।

এই ৩১ দফা ফ্যাসিবাদের সময় এসেছে এবং বিএনপি এখন যেভাবে সংস্কারের ক্রেডিট নেওয়ার চেষ্টা করছে, সেটা ইতিহাসকে সরলীকরণ।

আমরা তো গণতন্ত্র মঞ্চ, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন এবং অনেক অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। আমরা জানি কিভাবে সংস্কার প্রক্রিয়াটি এসেছে—প্রথমে গণতন্ত্র মঞ্চের ১৪ দফা, তারপর বিএনপির ২৭ দফা, তারপর ৩১ দফা, আবার গণতন্ত্র মঞ্চের নিজস্ব ৩১ দফা।

বিএনপি এখন বলছে, তারা সবার আগে সংস্কার বলেছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, এ সমস্ত ছোট ছোট দলই আগে সংবিধান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বিএনপি আগে কখনও এসব প্রশ্ন তোলে নাই।”

সারোয়ার তুষার বলেন, “গণসংহতি আন্দোলন, রাষ্ট্রচিন্তা, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, যাসদ (রব ভাইয়ের দল)—সবাই কিন্তু ৭২-এর সংবিধান নিয়ে অনেক সমালোচনামূলক প্রশ্ন তুলেছে।

মূল সমস্যা হচ্ছে—এক ব্যক্তির হাতে সকল ক্ষমতা। এটা শুধু গত ১৬ বছরে না, বরং ৭২-এর সংবিধানের গোড়ার সমস্যা। এখানে প্রধান নির্বাহীকে কোনোভাবেই আটকে রাখার ব্যবস্থা নেই।

ইলেকশন কমিশন ভাগ্য নির্ধারণ করে না। প্রধান নির্বাহীর হাতে কতটা ক্ষমতা, তার ইনটেনশন কী—সেই অনুযায়ী নির্বাচন পরিবর্তন হয়।”

তিনি বলেন, “মূল সংস্কারটাই যদি বিএনপি বিরোধিতা করে, তাহলে অন্য সব সংস্কারে একমত হয়েও লাভ নেই।

প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ কতদিন থাকবে, নারী আসন কয়টা থাকবে, জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল থাকবে কি না, নিয়োগ কে দেবে—এসব হচ্ছে খুবই মৌলিক প্রশ্ন।

যদি নিয়োগ আপনার হাতে থাকে, আপনি প্রধান নির্বাহী হন, তাহলে আপনি বললেন—আমি তো বিচার বিভাগের সংস্কার চাই, দুদকের সংস্কার চাই, ইসি সংস্কার চাই—কিন্তু প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়োগ যদি আপনার হাতেই থাকে, তাহলে সংস্কার টিকবে না।

সুতরাং, ফান্ডামেন্টাল সংস্কার হচ্ছে সংবিধান সংস্কার। এতে বিএনপি সম্মত না হলে, সংস্কারের দাবিও অমূলক হয়ে যায়।”

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৭৩০

রাজনীতি

ঢাকা বিমানবন্দর থেকে আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রী এবং মেয়ে আটক

এটি কি নিয়মতান্ত্রিক কোনো প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো নির্দেশনা বা রাজনৈতিক বিবেচনা কাজ করেছে?

নিউজ ডেস্ক

১৩ মে ২০২৫, ১৩:৫৮

বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রী শেখ শাইরা শারমিনের বিদেশযাত্রায় বাধা দেওয়ার ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনি থাইল্যান্ডগামী থাই এয়ারওয়েজের টিজি৩২২ ফ্লাইটে ওঠার প্রস্তুতি নিলেও ইমিগ্রেশন কাউন্টার থেকে তাকে থামিয়ে দেওয়া হয়। তিনি ফ্লাইটে উঠতে পারেননি।

বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে তিনি ফ্লাইটের জন্য চেক-ইন সম্পন্ন করলেও ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ কোনো নির্দিষ্ট কারণ না জানিয়ে তাকে ফ্লাইটে ওঠার অনুমতি দেয়নি। তবে ইমিগ্রেশন বা কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।

শেখ শাইরা শারমিনের পারিবারিক পরিচিতি ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক বলয়ের সঙ্গে যুক্ত। তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের ভাই শেখ আবু নাসেরের ছেলে শেখ হেলাল উদ্দীনের কন্যা এবং বাগেরহাট-২ আসনের আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়ের বড় বোন। অন্যদিকে, তার স্বামী আন্দালিব রহমান পার্থ একজন বিরোধী রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা এবং বিভিন্ন সময়ে সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের সমালোচনায় সক্রিয় থেকেছেন।

এই প্রেক্ষাপটে একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হয়েও বিদেশযাত্রায় বাধার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে—এটি কি নিয়মতান্ত্রিক কোনো প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো নির্দেশনা বা রাজনৈতিক বিবেচনা কাজ করেছে?

আইন ও প্রশাসনের নিরপেক্ষতা এবং ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের স্বচ্ছতা নিয়ে এ ধরনের ঘটনার পর নানা ধরনের আলোচনা এবং ব্যাখ্যার সুযোগ তৈরি হয়। বিশেষ করে যখন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সরাসরি কোনো মামলার আসামি নন কিংবা তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্য কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই, তখন এমন ঘটনায় জনমনে প্রশ্ন তৈরি হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়।

বর্তমানে এই বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত হোক বা রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ডপ্রসূত কারণ—ঘটনাটির স্বচ্ছ ব্যাখ্যা প্রয়োজন, যাতে বিভ্রান্তি না ছড়ায় এবং নাগরিকদের অধিকার বিষয়ে আস্থার পরিবেশ অটুট থাকে।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৭৩০

রাজনীতি

উপদেষ্টা পদ থেকে পদত্যাগ করছেন নাহিদ ইসলাম

অন্তবর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আসছে বদল। কিছুদিনের মধ্যেই নিজেসহ উপদেষ্টা পরিষদে থাকা শিক্ষার্থীরা পদ ছাড়তে পারেন বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। আর চলতি মাসের শেষের দিকেই ঘোষণা আসছে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের নিয়ে নতুন রাজনৈতিক দলের। দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটা জানিয়েছেন তথ‍্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। কোটা বাতিল আন্দোলন থেকে সরকার […]

নিউজ ডেস্ক

১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৪:৪২

অন্তবর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আসছে বদল। কিছুদিনের মধ্যেই নিজেসহ উপদেষ্টা পরিষদে থাকা শিক্ষার্থীরা পদ ছাড়তে পারেন বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। আর চলতি মাসের শেষের দিকেই ঘোষণা আসছে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের নিয়ে নতুন রাজনৈতিক দলের।

দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটা জানিয়েছেন তথ‍্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

কোটা বাতিল আন্দোলন থেকে সরকার পতনের ঘোষণা। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন। তারপর, এরইমধ্যে চলে গেছে ছয় মাসের বেশি সময়।

কোটা বাতিল আন্দোলন থেকে সরকার পতনের ঘোষণা। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন। তারপর, এরইমধ্যে চলে গেছে ছয় মাসের বেশি সময়।

দেশ পুনর্গঠনে ঐকমত্য তৈরির লক্ষ্যে সেপ্টেম্বরে শিক্ষার্থীরা গঠন করেন জাতীয় নাগরিক কমিটি। তাদের পক্ষ থেকেই গঠিত হচ্ছে নতুন রাজনৈতিক দল। আর, এই নতুন দলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসছে এ মাসেই।

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা জানান, দলের কার্যক্রমে যোগ দিতে তিনিসহ উপদেষ্টা হিসেব দায়িত্ব পালন করা শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা পদত্যাগের ঘোষণা দিতে পারেন কয়েকদিনের মধ্যেই।

তিনি বলেন, ছাত্রদের নেতৃত্বে একটা নতুন রাজনৈতিক দলের পরিকল্পনা বা আলোচনা রয়েছে। সে দলে অংশগ্রহণ করতে হলে সরকারে থেকে সেটি সম্ভব নয়। সেই দলে আমি যদি যেতে চাই তাহলে সরকার থেকে আমি পদত্যাগ করবো।

তথ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, আমরা চিন্তাভাবনা করছি। আমি ব্যক্তিগতভাবেও চিন্তাভাবনা করছি। যদি মনে করি, সরকারের থেকে আমার মাঠে যাওয়া, জনগণের সঙ্গে কাজ করা বেশি জরুরি। মনে হয় আমি সরকার ছেড়ে দেবো এবং সে দলের প্রক্রিয়ায় যুক্ত হবো।

চলতি মাসেই বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের নিয়ে নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা আসছে জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, আর কয়েকদিনের ভেতরে একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সবাই জানতে পারবেন।

এছাড়া নির্বাচনের আগেই বিচারিক প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত আসতে পারে। নির্বাচন নিয়ে বিএনপির অবস্থান পরিষ্কার করায় সরকারের সঙ্গে দূরত্ব কমেছে বলেও মনে করেন নাহিদ ইসলাম।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৭৩০

রাজনীতি

ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়াতে লিগ্যাল নোটিশ

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায় ও ডিক্রির বিরুদ্ধে আপিল বা রিভিউ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে মো. ইশরাক হোসেনের নামে গেজেট প্রকাশ এবং তাকে শপথ পড়ানো থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান এ নোটিশ পাঠান। সোমবার […]

নিউজ ডেস্ক

২৮ এপ্রিল ২০২৫, ২১:১০

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায় ও ডিক্রির বিরুদ্ধে আপিল বা রিভিউ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

নোটিশে মো. ইশরাক হোসেনের নামে গেজেট প্রকাশ এবং তাকে শপথ পড়ানো থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান এ নোটিশ পাঠান।

সোমবার তিনি সাংবাদিকদের জানান, গত রোববার বিকেলে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু এরই মধ্যে রোববার রাতেই নির্বাচন কমিশন ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে সংশোধনী গেজেট প্রকাশ করেছে।

তিনি জানান, দুই বাসিন্দার পক্ষে রোববার নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু একই দিন রাতেই নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করে। এখন পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা নোটিশদাতাদের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

আইনজীবী মনিরুজ্জামান বলেন, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে দ্রুততার সঙ্গে এই রায় দেওয়া হয়েছে। আমরা ধারণা করেছিলাম, নির্বাচন কমিশন (ইসি) ট্রাইব্যুনালের রায় চ্যালেঞ্জ করবে। কিন্তু তা করা হয়নি। বরং, আইন উপদেষ্টার মন্তব্য অনুযায়ী, আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত না নিয়েই সংশোধনী গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ট্রাইব্যুনাল এমন কোনো আদেশ দিতে পারে না যার কার্যকারিতা নেই। এখানে মেয়রের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে এবং অধ্যাদেশের মাধ্যমে মেয়র পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়েছিল।

জানা যায়, ঢাকার কাকরাইলের বাসিন্দা মো. রফিকুল ইসলাম ও মো. মামুনুর রশিদের পক্ষে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, আইন সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, যুগ্ম জেলা জজ মো. নুরুল ইসলাম ও মো. ইশরাক হোসেনের কাছে আইনি নোটিশটা পাঠানো হয়েছিল।

উল্লেখ্য, গত ২৭ মার্চ ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম ২০২০ সালের ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত বাতিল করেন এবং বিএনপি নেতা মো. ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করেন।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ৭৩০