বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েস্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘কাফনের কাপড় পরার প্রয়োজন হলেও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া বিটি মাঠে বৈশাখী মেলা অনুষ্ঠিত হবেই।
কেউ তা বন্ধ করতে পারবে না। যুগের পর যুগ এ মাঠে মেলা হয়ে আসছে। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে এই মাঠে কোনো মেলার আয়োজন করতে পারিনি।
এখন খুনি হাসিনা নেই, আমরা মুক্ত। তাই এ মাঠে আনন্দ পালনের মধ্য দিয়ে মেলা হবে।’দুপুরে তেঘরিয়া বিটি মাঠে মেলার প্রস্তুতি পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরো বলেন, ১৮৪২ সাল থেকে এই মাঠটি বিটি মাঠ হিসেবে পরিচিত।
বিগত সরকারের আমলে সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু ক্ষমতার অপব্যবহার করে কিছু মানুষের জমি অধিগ্রহণ না করে এই মাঠটি তার বাবার নামে নামকরণ করেন। পরে জানতে পারি, মাঠটি বর্তমানে ক্রীড়া উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে চলে গেছে। বিষয়টা আমাকে হতাশ করেছে।
তিনি আরো বলেন, প্রাচীনকাল থেকেই এই মাঠে প্রতিবছর বৈশাখ মাসে মেলার আয়োজন হতো।
বিগত সরকারের আমলে তা বন্ধ হয়ে যায়। এখন আমরা স্বাধীন ও মুক্ত। এই বছর জনগণ স্বাধীনভাবে বৈশাখী মেলা ব্যাপকভাবে পালন করবে।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় মাঠ পরিদর্শনের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী, কেরানীগঞ্জ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী
কর্মকর্তা ও কেরানীগঞ্জ রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) জান্নাতুল মাওয়া, কেরানীগঞ্জ রাজস্ব সার্কেলের (দক্ষিণ) সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম সুমন, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোজাদ্দেদ আলী বাবুসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
প্রসঙ্গত, বিটি মাঠ নিয়ে মেলা হওয়াকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা সমালোচনা দেখা দেয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ১০ এপ্রিল মাঠটিতে মেলার অনুমতি বাতিল করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিনাত ফৌজিয়া।

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?