হাফিজুর রহমান, সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার কুমিরা ইউনিয়ন ও কুমিরা গ্রামের মুনসুর সরদারের পুত্র ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের দোসর সন্ত্রাসী মোঃ গিয়াস উদ্দীনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে মোঃ মনিরুজ্জামান ও হাফেজ ফিরোজ হোসেন ৷
শুক্রবার ( ১১ এপ্রিল) তালা ইসমাইল মার্কেটের দোতালায় উপজেলা প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ৷
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন ‘সাংবাদিক ভাইয়েরা,
সন্ত্রাসী গিয়াস উদ্দীন বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের সময়ে, তালা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নূরুল ইসলামের ডান হাত বলে পরিচিত ছিলো।
সেই দাপট দেখিয়ে দীর্ঘদিন যাবত এলাকায় সন্ত্রাসী, চাদাবাজি, মামলা বাজি সহ নানা প্রকার অনৈতিক কাজের মাধ্যমে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কয়েম করে ছিলো।
সাংবাদিক বন্ধুরা, ৩৬ জুলাই ৫ আগষ্টে আওয়ামীলীগের পতন হলেও এক অদৃশ্য ক্ষমতার বলে সে এখনও বহাল তবিয়াতে তার অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। সে কুমিরা গ্রামের সালাম শেখ, গফুর সরদার, কাশেম শেখ সহ এলাকার কিছু মানুষের নামে হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলা দিয়েছে ৷
আবার ব্ল্যাকমেইল করে ঐ মামলা থেকে তাদের নাম বাদ দেওয়ার কথা বলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ৷ টাকা নিলেও মামলা হতে তাদের নাম বাদ দেইনি, বরং তাদেরকে মিথ্যা মামলায় দীর্ঘদিন ধরে জেলও খাটিয়েছে।
সে আওয়ামীলীগের আমলে ঘুষের মাধ্যমে অবৈধভাবে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসাবে চাকরী পেয়ে সরকারী সার কীট নাশক স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে নিজের লোককে দেওয়া সহ অবৈধভাবে তার নিজের দোকানে বিক্রয় করতো ৷ সে কারনে এলাকার সাধারণ জনগণের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
“প্রিয় সাংবাদিক ভায়ের”
এত কিছু করেও সন্ত্রাসী গিয়াস উদ্দীন ক্ষান্ত হয়নি ৷ বিগত কয়েকদিন পূর্বে এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা মিলে, ঈদের সময় ইসলামী সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানে আয়োজন করলে সে নিজে ও তার কয়েকজন সন্ত্রাসী মিলে গেট স্টেজে ভাংচুর ও আগুন ধরিয়ে দেয় ৷
এসময় এলাকার স্থানীয় মুসল্লি ও সাধারণ মানুষের বাঁধার মুখে সাময়িকভাবে পালিয়ে গেলেও, বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে আমাদেরকে জীবন নাশের হুমকি দিচ্ছে।
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পতন হলেও এই আওয়ামী দোসর এখনও তার সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ায় এলাকার সাধারণ মানুষ ক্ষোভে ফুসে উঠেছে। সন্ত্রাসী গিয়াস উদ্দিনকে অতি দ্রুত গ্রেপ্তার না করলে এলাকায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটতে পারে ৷
আমরা আপনাদের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশসহ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি ৷ তাকে অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেফতারপূর্বক আইনের মাধ্যমে যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?