ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আরও পাঁচ বছর ক্ষমতায় রাখার আশা প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তার এই মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
এক প্রতিক্রিয়ায় শামসুজ্জামান দুদু বলেন, “সারজিস আলমেরই প্রধানমন্ত্রী হওয়া উচিত, ড. ইউনূস থেকে কী লাভ? সবকিছু নিয়ে ছেলেমানুসি করা ঠিক নয়।”
তিনি বলেন, “নির্বাচন হলে ড. মুহাম্মদ ইউনূস যদি মনে করেন, জনগণ ৫ বছর নয় ১০ বছর তিনি থাকবে, জনগণ তাকে ভোট দিয়েছে, তাহলে তিনি থাকবেন। কিন্তু নির্বাচন ছাড়া আমি কীভাবে তাকে পাঁচ বছর রাখব?”
দুদু আরও বলেন, “যে ব্যক্তি জনগণের সমর্থন পাওয়ার অবস্থায় নেই, ভোট করার যোগ্যতাও নেই—তাকে ক্ষমতায় রাখার যুক্তি কী? কোন সংস্কার বেশি, কোনটা কম—এসব এখন হাস্যকর বিষয় বলে মনে হয়।”
তিনি নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, “সাংবিধানিকভাবেই ৯০ দিনের মধ্যে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
সে অনুযায়ী একটি সরকার বিদায়ের পর ৯০ দিনের মধ্যে আরেকটি নির্বাচিত সরকার আসার কথা ছিল। কিন্তু বর্তমানে সেই প্রক্রিয়া মানা হচ্ছে না, যেটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক।”
ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আরও পাঁচ বছর রাখার প্রস্তাব রাজনৈতিক দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, “এটা যেন শিক্ষার্থীদের পার্টি না হয়ে যায়।”
তিনি সব রাজনৈতিক পক্ষকে সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া মেনে চলার আহ্বান জানান।

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা। তাঁর এই বক্তব্যে আপনার সমর্থন আছে কি?