জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম আজ শুক্রবার (১১ মার্চ) পঞ্চগড়ে পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগ নিয়ে বলেছেন, কোটা না মেধা- এই স্লোগান দিয়ে হওয়া অভ্যুত্থানে মেধার বিপরীতে সুপারিশ, শহীদের রক্তের সাথে প্রতারণার নামান্তর।
দয়া করে নিয়োগের ক্ষেত্রে আমার কাছে কেউ কোন প্রকার সুপারিশের আশায় আসবেন না এবং আহ্বান থাকবে অন্য কোন দলের কোন নেতার কাছেও যাবেন না।
সারজিস আলম তাঁর পোস্টে পঞ্চগড়ে পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগের বিষয়ে জানিয়ে বলেন,এখন ফিটনেস পরীক্ষা চলছে। এরপরে ৫০ মার্কের লিখিত পরীক্ষা হবে। সবশেষে ১৫ মার্কের ভাইভা হবে। ফিটনেস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে লিখিত এবং ভাইবার ৬৫ মার্কের উপর নির্ভর করবে তার চাকরি হবে কিনা।
অর্থাৎ এখানে রিটেন পরীক্ষা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যে রিটেনে যত ভালো করবে তার চাকরি পাবার সম্ভাবনা ততো বেশি।
তিনি লিখেছেন,গতবার প্রায় ৫০০+ পরীক্ষার্থী ফিটনেসে উত্তীর্ণ হয়ে রিটেন এবং ভাইবা দিয়েছিল। এর মধ্যে ফাইনালি ২৮ জন নিয়োগ পেয়েছিল। ভাইভাতে মোটামুটি বেসিক জ্ঞান থাকলে ১৫’র মধ্যে ৭-৮ এমনিতেই পায়।
সেখানে ভাইভাতে সুপারিশ করে ২-৪ মার্ক বাড়িয়ে কোন লাভ নেই যদি আপনি রিটেনে ভালো না করতে পারেন। যেহেতু রিটেনে ভাইবার তিনগুণ মার্কস রয়েছে তাই যদি আপনি পুলিশের কনস্টেবল হতে চান তাহলে লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি ভালোভাবে নিন।
সারজিস আলম বলেন, ফিটনেস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই রিটেন ভাইবার প্রিপারেশন বাদ দিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা বা সমন্বয়কদের পিছনে দৌড়ানো বন্ধ করুন। জেলা পুলিশ পঞ্চগড় নিশ্চিত করেছেন, পঞ্চগড়ে শতভাগ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে। কোন প্রকার সুপারিশকে গ্রহণ করা হবে না।
কোটা না মেধা; এই স্লোগান দিয়ে একটা অভ্যুত্থান হয়েছে। দেড় হাজারের অধিক মানুষ জীবন দিয়েছে। অর্ধ-লক্ষের অধিক মানুষ রক্ত দিয়েছে। সেখানে ‘মেধা’র বিপরীতে ‘সুপারিশ’ এই অভ্যুত্থানের শহীদের রক্তের সাথে প্রতারণার নামান্তর,বলেন সারজিস আলম।
তিনি জানান,দয়া করে নিয়োগের ক্ষেত্রে আমার কাছে কেউ কোন প্রকার সুপারিশের আশায় আসবেন না এবং আহ্বান থাকবে অন্য কোন দলের কোন নেতার কাছেও যাবেন না।
বরং আমরা চাইবো বাংলাদেশ পুলিশ শতভাগ স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া অনুসরণ করবে এবং সকল রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ আমরা সেখানে সহযোগিতা করবো, মেধার জয় নিশ্চিত করবো।

‘ছাত্র-জনতা হত্যার সম্পূর্ণ বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তিকে রাজনীতি করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত’ আপনি কি সমর্থন করেন?