গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভালো হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, নির্বাচিত সরকারের ওপরই বিনিয়োগকারীদের আস্থা বেশি থাকে।
বুধবার (৯ এপ্রিল) রাজধানীতে আয়োজিত এক বিনিয়োগ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, দেশের অর্থনীতি ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ রক্ষায় গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, “বিনিয়োগকারীরা রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা খোঁজে, আর সেটা আসে একটি গ্রহণযোগ্য, নির্বাচিত সরকার থেকে।”
তিনি বলেন, বিএনপির রাজনীতির মূল প্রতিশ্রুতি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং বিনিয়োগের প্রসার ঘটানো। তিনি দাবি করেন, বেসরকারি খাতে যে প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিচ্ছে, তার পেছনে বিএনপি সরকারের প্রণীত নীতিমালাই ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছে।
আর্থিক নীতিতে স্বচ্ছতা এবং স্থিতিশীলতা আনার ওপর গুরুত্বারোপ করে আমীর খসরু জানান, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কর ব্যবস্থায় স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা হবে এবং দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ধারাকে পুনরুদ্ধার করতে হবে। কারণ, বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও একটি বৈধ ও গ্রহণযোগ্য সরকারের অধীনে ব্যবসা পরিচালনায় স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।
বিশ্লেষকদের মতে, রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে অর্থনীতিকে সামনে রেখে বক্তব্য রাখা বিনিয়োগ পরিবেশে আস্থার বার্তা দেয়। তবে সেই আস্থা নির্ভর করে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও কার্যকর নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ওপর।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যান্য অর্থনীতিবিদ ও বিনিয়োগ বিশ্লেষকরাও বলেন, বিনিয়োগে টেকসই পরিবেশ নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক সংহতি ও ব্যবসাবান্ধব নীতিই সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।
এই সম্মেলন ঘিরে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে বলে আয়োজক পক্ষ জানিয়েছে। সামগ্রিকভাবে সম্মেলনটি বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘিরে রাজনৈতিক অবস্থানগুলোর প্রতি আলো ফেলেছে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।

‘ছাত্র-জনতা হত্যার সম্পূর্ণ বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তিকে রাজনীতি করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত’ আপনি কি সমর্থন করেন?