চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হতে হবে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
বুধবার (৯ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে নাগরিক অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদের উদ্যোগে সংস্কার, জাতীয় নির্বাচন ও আগামীর বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় দুদু বলেন, নির্বাচন হবে। নির্বাচন ঠেকানোর মতো সাহস কারও নাই। নির্বাচন এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই হতে হবে। এটা এখন আমরা দাবি করছি। কিন্তু আমরা প্রমাণ করবো ডিসেম্বরেই নির্বাচন দিতে হবে।
আওয়মীলীগকে উদ্দেশ্য করে দুদু বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে শেখ হাসিনা ওবায়দুল কাদের বলতো সাহস থাকলে বাংলাদেশে আসেন। কিন্তু আপনারাতো পালিয়ে গেলেন। এভাবে কেউ পালায়? আপনাদের সাহস থাকলে দেশে আসেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদেরকে আমরা সমর্থন করি। আপনাদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা আছে। এই শ্রদ্ধা ভালোবাসা নষ্ট করবেন না।
বিএনপিকে রাস্তায় নামতে বাধ্য করবেন না। বিএনপি রাস্তায় নামার আগেই নির্বাচন দিন। বিএনপি রাস্তায় নামলে কি হবে শেখ হাসিনার দিকে তাকান।
বিএনপি যতবার ক্ষমতায় আসছে জনগণের সমর্থন ও ভালবাসা নিয়ে। কারণ আমাদের শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান আছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে কিভাবে এগিয়ে নিতে হয়। কিভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে। তা দেখিয়েছেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তিনি রাষ্ট্রক্ষমতার অধিষ্ঠিত হওয়ার পরে প্রমাণ করেছিলেন যে একজন মানুষ রাষ্ট্রের জন্য কত নিবেদিত হতে পারে।
কতটা বিশ্বাসযোগ্য মানুষ হিসেবে নিজেকে দার করাতে পারে তিনি তা প্রমাণ করেছে। তার হাত দিয়ে যে দলটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বিএনপি। এই দলটি আওয়ামী লীগের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে অনেক রাজনৈতিক দল মনে করছে নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপিকে হারিয়ে তারা সরকার গঠন করবে। তাহলে নির্বাচনের বিরোধিতা করেন কেন? নির্বাচন দেন। আপনারা বিজয়ী হলে সরকার গঠন করবেন। আমরা সাধুবাদ জানাবো।
তিনি প্রফেসর ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি তো রাজনীতির জন্য একদিনও জেল খাটেননি। অথচ বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী বছরের পর বছর জেল খেটেছে। তারা খুন, গুম ও নির্মম নির্যতনের শিকার হয়েছে।
বেগম জিয়া বিনা অপরাধে বছরের পর বছর জেল খেটেছেন, সন্তান হারিয়েছেন। দেশের জন্য তাদের ত্যাগ এবং অবদান সীমাহীন। আপনি তাদের অন্ধকারে রেখে কিছুই করতে পারবেন না।
দুদু বলেন, নির্বাচনের জন্য সংস্কার প্রয়োজন। সেই নির্বাচনই যদি না হয় তাহলে সংস্কার কি কাজে লাগবে। তিনি বলেন বর্তমান সরকার যদি ভুল না করে, দেশকে বিপথে চালিত না করে তাহলে আগামীর বাংলাদেশ হবে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ।
নাগরিক অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদের সভাপতি এস এম মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন নিউ নেশনের সাবেক সম্পাদক বিশিষ্ট সাংবাদিক ও বাংলাদেশ সাংবাদপত্র এডিটরস এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল মজুমদার, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, সমাজসেবক ও ব্যবসায়ী ড. রশীদ আহমেদ হোসাইনী প্রমুখ।

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?