নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বাংলাদেশের পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এই মত প্রকাশ করে দেশব্যাপী আলোচনার ঝড় তুলেছেন।
সারজিস আলম তার স্ট্যাটাসে লেখেন, “বাংলাদেশের নেতৃত্বে পরিবর্তনের সময় এসেছে। আমি বিশ্বাস করি ড. মুহাম্মদ ইউনূসই সেই উপযুক্ত ব্যক্তি যিনি আগামী পাঁচ বছর দেশের নির্বাচিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারেন।”
তার এই মন্তব্য দ্রুত ভাইরাল হয়ে পড়ে। কেউ এতে সমর্থন জানিয়েছেন, আবার অনেকেই এ ধরনের প্রস্তাবকে অবাস্তব ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করেছেন।
ড. ইউনূসকে একজন “বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি” হিসেবে উল্লেখ করে সারজিস বলেন, “ড. ইউনূস আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন।
তিনি রাজনীতির বাইরে থেকেও প্রমাণ করেছেন, কিভাবে নেতৃত্ব দিতে হয়। এখন সময় এসেছে, তাঁকে দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্বে আনা।”
তবে এনসিপির ভেতর থেকেও এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া এসেছে। কেউ কেউ বলছেন, দলের মূল আদর্শ থেকে সরে গিয়ে ব্যক্তিপ্রশংসার মাধ্যমে রাজনীতি পরিচালনা করা ঠিক নয়। অন্যদিকে, দলের কিছু তরুণ নেতা এই প্রস্তাবকে “উদ্ভাবনী চিন্তা” হিসেবে দেখছেন।
সরকারপক্ষ সারজিস আলমের এই মন্তব্যকে “রাজনৈতিক নাটক” বলে অভিহিত করেছে। ক্ষমতাসীন দলের এক নেতা বলেন, “যে ব্যক্তি কখনও নির্বাচনে অংশ নেননি, যিনি কখনো রাজনৈতিক দলের সদস্য ছিলেন না, তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাওয়া জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা ছাড়া কিছু নয়।”
অন্যদিকে, সারজিস আলমের এই স্ট্যাটাসের পর আন্তর্জাতিক মহলেও কিছু আলোচনার জন্ম হয়েছে।
যদিও ড. ইউনূস এ বিষয়ে এখনো প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি, তবে রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রশ্ন উঠছে—এটি কি শুধুই একজন ব্যক্তির মতামত, নাকি নতুন কোনো রাজনৈতিক মোড় নেওয়ার ইঙ্গিত?

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, সাময়িক মজুতদারির কারণে চালের বাজার অস্থিতিশীল। আপনিও কি তা-ই মনে করেন?