দীর্ঘ ১৬ বছরের শাসনে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতারা এক দিকে যেমন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার সুবিধা নিয়েছেন। তেমনি আরেক দিকে তৈরি করেছেন অর্থনৈতিক শক্তিও।
কিন্তু শেখ হাসিনার শাসনামলের পতনের পর তাদের অনেক প্রভাবশালী নেতা দেশ ছেড়ে বাইরে পালিয়ে গেছেন। এবং দেশে থাকা ব্যবসাগুলোর ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে তারা খুঁজছেন নতুন অংশীদার।
এসব নেতাদের মধ্যে শুধু সাবেক এমপি, মন্ত্রীরা নয়, জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতারাও আছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম শামীম ওসমান। যারা নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবার। তাদের ব্যবসা পাঁচ হাজার কোটি টাকারও বেশি। যার মধ্যে রয়েছে গার্মেন্টস, শিপিং, পরিবহন ও আবাসন খাত।
শামীম ওসমান ও তার পরিবারের সদস্যদের বেনামি অংশীদারীত ছিল দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী গ্রুপের হাতে। এখন তারা নতুন অংশীদারত্ব খুঁজছেন, এবং এর মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির এক সদস্য তাদের নতুন অংশীদারও হয়েছেন।
এমনকি শামীম ওসমান পরিবারের মালিকানাধীন সম্পত্তির দেখাশুনাও করছেন সেই বিএনপি নেতা। তিনি এর আগে শামীম ওসমানের গুলশানের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
সংবাদমাধ্যম বিবিসির তথ্য অনুযায়ী সাবেক বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান শেখ হাসিনার আমলে নিয়েছিলেন বিপুল ঋণ।
এবং বর্তমানে তার প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো গ্রুপের এক ডজনের বেশি কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেছে। এখন ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি খুঁজছেন নতুন অংশীদার।
আরেকদিকে আওয়ামী লীগের আরেক নেতা গোলাম দস্তগীর গাজীও তার ব্যবসা পুনরায় সচল করার জন্য অংশীদার খুঁজছেন৷ তার গাজী গ্রুপের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে পাট ও বস্ত্র শিল্পের কারখানাগুলোর বেশ কিছু এখনো বন্ধ রয়েছে।
এদিকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহমুদও তার পরিবারের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করছেন।
চট্টগ্রাম বন্দরের শিপ হ্যান্ডলিং এবং ফিশিং ট্রলারের মালিকানা রয়েছে তার পরিবারের। এবং তারা স্থানীয় বিএনপি নেতাদের সহযোগিতা নিচ্ছেন এমন অভিযোগের বার্তা দিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
সাবেক ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীও তার পারিবারিক ব্যবসা বাঁচাতে অংশীদার খুঁজছেন। তার মালিকানাধীন বেশ কিছু বিদেশি সম্পত্তির মুল্য প্রায় ২৯৫ মিলিয়ন ডলার।
আওয়ামী লীগের যারা সরকার পতনের পর পালিয়ে গেছেন তারা তাদের ব্যবসায়িক ক্ষতি কমিয়ে নতুন অংশীদারদের মাধ্যমে এসব প্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখতে চান।

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা। তাঁর এই বক্তব্যে আপনার সমর্থন আছে কি?