মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

রাজনীতি

বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল

আওয়ামী লীগের টানা চার মেয়াদের বেশিরভাগ সময় জামায়াতে ইসলামী ও তাদের ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবির নানা ইস্যুতে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল করেছে। এবার ক্ষমতা হারানোর পর আওয়ামীলীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগও একই পথ ধরেছে। সোমবার (২১ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঝটিকা মিছিল করেছে ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে […]

নিউজ ডেস্ক

২১ অক্টোবর ২০২৪, ১৫:১৫

আওয়ামী লীগের টানা চার মেয়াদের বেশিরভাগ সময় জামায়াতে ইসলামী ও তাদের ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবির নানা ইস্যুতে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল করেছে। এবার ক্ষমতা হারানোর পর আওয়ামীলীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগও একই পথ ধরেছে।

সোমবার (২১ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঝটিকা মিছিল করেছে ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেওয়া সব মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এ বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা।

বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের আলোকে তার কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়ে যখন সমৃদ্ধির মহাসড়ক দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছিলেন, তখন পাকিস্তান সমর্থিত সাম্প্রদায়িক শক্তি জামায়াত-শিবির-বিএনপি সারা দেশে হত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুটতরাজ, মন্দির-গির্জা ভাঙচুর, সংখ্যালঘুদেরকে হত্যা, পুলিশ-আনসার হত্যা, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হত্যা, সংসদ ভবন, গণভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসসহ সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হামলা করে ব্যাপক ক্ষতি সাধনের মধ্য দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলে। নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে। সরকার প্রধান শেখ হাসিনাকে জোর করে দেশত্যাগ করতে বাধ্য করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত ধানমন্ডির ৩২ নম্বর ঐতিহাসিক বাড়িটি পুড়িয়ে দেয়।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে অন্যায় করা হচ্ছে। এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে এসেছি। এই সব মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা রাজপথে আছি, আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে সরকারকে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে বাধ্য করবো।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নিজাম উদ্দিন বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে, হচ্ছে। চেপে বসা অপশক্তির সরকার তাদের দোসরদের দিয়ে এই মিথ্যা মামলা করাচ্ছে। বাঙালির মুক্তি আন্দোলন ও স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগকে রাজনীতির মাঠ থেকে উচ্ছেদ করার অসৎ উদ্দেশে চেপে বসা সরকার এসব নোংরামি করছে।

এসময় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন, গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক আবু আব্বাস ভূঁইয়া, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শেখ মুহাম্মদ জামাল হোসাইন, ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক এনামুল হক প্রিন্স, হাসান আহম্মেদ খান, সাবেক সহ-সভাপতি এম. এম. নাজমুল হাসান, ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রানা, ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি পারভিন মিশু ও লাবনী চৌধুরী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি মো. হাসান প্রমুখ।

রাজনীতি

নাহিদ, সারজিসকে টার্গেট করে হামলা, উদ্দেশ্য ছিল সরাসরি হত্যা : অপু

হামলাকারীদের লক্ষ্য ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা নাহিদ বা সারজিস। গাড়িবহরে ঢুকে যে আচরণ তারা করেছে, তা দেখে হত্যার উদ্দেশ্য স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়। আমরা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

নিউজ ডেস্ক

০৪ জুলাই ২০২৫, ২০:২৯

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) অভিযোগ করেছে, তাদের কেন্দ্রীয় নেতাদের বহনকারী গাড়িবহরে ঠাকুরগাঁওয়ের টাঙ্গন ব্রিজ এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় কর্মসূচি শেষে পীরগঞ্জ যাওয়ার পথে এ ঘটনা ঘটে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কর্মসূচি শেষে ঠাকুরগাঁওয়ের আর্ট গ্যালারি মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করে গাড়িবহরটি পীরগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পথিমধ্যে টাঙ্গন ব্রিজ এলাকায় একটি আন্তঃজেলা বাস হঠাৎ বহরে ধাক্কা দেয়। এতে একটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলে, এনসিপির নেতাকর্মীরা বিষয়টি জানতে বাসটির কাছে গেলে ৫-৬ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে গাড়ির চালকসহ একজন কর্মী আহত হন।

এনসিপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, হামলাটি কেবল তাৎক্ষণিক কোনো ঘটনা নয়—বরং এটি ছিল একটি পূর্বপরিকল্পিত আক্রমণ। দলের ভাষ্য অনুযায়ী, বাস দুর্ঘটনার আড়ালে মূল উদ্দেশ্য ছিল গাড়িবহরে থাকা শীর্ষ নেতাদের লক্ষ্য করে প্রাণঘাতী হামলা চালানো। যদিও তারা ভুল গাড়িতে আঘাত করে, পরে তৎপর হয়ে আবারও হামলার চেষ্টা করা হয়।

ঠাকুরগাঁও জেলা এনসিপির মুখপাত্র অপু জানান,

“প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে যে, হামলাকারীদের লক্ষ্য ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা নাহিদ বা সারজিস। গাড়িবহরে ঢুকে যে আচরণ তারা করেছে, তা দেখে হত্যার উদ্দেশ্য স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়। আমরা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।”

ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সারওয়ার হোসেন বলেন, “আমরা অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এনসিপির পক্ষ থেকে ঘটনাটিকে হামলা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে এবং তারা একটি ভিডিও ফুটেজও আমাদের কাছে উপস্থাপন করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

রাজনীতি

বিএনপি নেত্রী নিলুফার মনিকে ক্ষমা চাইতে হবে, না হলে ব্যবস্থা নেবে ছাত্রশিবির

য়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে ২০১৯ সালে হত্যা করেছে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। অথচ নিলুফার মনি ক্ষমতাসীনদের অপরাধ আড়াল করতে নির্জলা মিথ্যাচার ছড়াচ্ছেন। তিনি আসলে আওয়ামী লীগ–ছাত্রলীগের সীমাহীন খুন, গুম, চাঁদাবাজি ও ধর্ষণের দায় এড়াতে শিবিরকে বলির পাঁঠা বানানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছেন

নিউজ ডেস্ক

২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮:৪৩

বিএনপি নেত্রী নিলুফার চৌধুরী মনির বক্তব্যকে ভিত্তিহীন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ঘৃণ্য অপপ্রচার আখ্যা দিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেছেন, আদালতের রায়ে প্রমাণিত সত্য হলো—বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে ২০১৯ সালে হত্যা করেছে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। অথচ নিলুফার মনি ক্ষমতাসীনদের অপরাধ আড়াল করতে নির্জলা মিথ্যাচার ছড়াচ্ছেন। তিনি আসলে আওয়ামী লীগ–ছাত্রলীগের সীমাহীন খুন, গুম, চাঁদাবাজি ও ধর্ষণের দায় এড়াতে শিবিরকে বলির পাঁঠা বানানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। এতে জনগণের মনে প্রশ্ন জেগেছে, তিনি কি পতিত ফ্যাসিস্টদের এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন?

শিবিরের নেতারা আরও বলেন, গত ১৬ বছরে সংগঠনের ১০১ জন কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে, ২০ হাজারেরও বেশি মামলায় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে নির্যাতন করা হয়েছে, সাতজন এখনো গুম রয়েছে। এই সময়ে ছাত্রলীগই ক্যাম্পাসগুলোতে দাপটের সঙ্গে খুন, ধর্ষণ, টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজি চালিয়েছে। সনাতন ধর্মাবলম্বী বিশ্বজিতকেও শিবির সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার ভয়াবহ নজির সৃষ্টি করেছে ছাত্রলীগ। অথচ এই সব অপরাধ অস্বীকার করে নিলুফার মনি আজ শিবিরকে দোষারোপ করছেন। এটি নিছক মিথ্যাচার নয়, বরং দেশের ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনকে দুর্বল করার নগ্ন ষড়যন্ত্র।

তারা স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, অবিলম্বে এই অসত্য বক্তব্য প্রত্যাহার করে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় ছাত্রশিবির আইনিভাবে কঠোর জবাব দেবে। দেশের মানুষ এখন খুব ভালো করেই জানে কারা আবরার ফাহাদকে হত্যা করেছে এবং কারা দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে শিক্ষাঙ্গনকে সন্ত্রাসের আখড়ায় পরিণত করেছে।

রাজনীতি

হামলার আগে সেনাপ্রধানের নিরাপত্তা অফিসার বিগ্রেডিয়ার শামস নুরকে ফোনে হুমকি দেয় : জাহের

“হামলা আগে সেনা প্রধানের নিরাপত্তা অফিসার বিগ্রেডিয়ার শামস নুর কে ফোনে হুমকি দেয়”- এমন অভিযোগ করেন গণঅধিকার উচ্চতর পরিষদ সদস্য আব্দুর জাহের। এক ফেসবুক পোস্টে অভিযোগ করে জাহের বলেন,”নুরুল হক নুরের উপর হামলার আগে সেনাবাহিনী প্রধানের নিরাপত্তা অফিসার বিগ্রেডিয়ার শামস নুর ভাইকে ফোন দেয়, জাতীয় পার্টি এবং জিএম কাদেরের বিষয়ে কিছু না বলার জন্য বলে।” […]

হামলার আগে সেনাপ্রধানের নিরাপত্তা অফিসার বিগ্রেডিয়ার শামস নুরকে ফোনে হুমকি দেয় : জাহের

ছবি সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

৩০ আগস্ট ২০২৫, ০৭:১২

“হামলা আগে সেনা প্রধানের নিরাপত্তা অফিসার বিগ্রেডিয়ার শামস নুর কে ফোনে হুমকি দেয়”- এমন অভিযোগ করেন গণঅধিকার উচ্চতর পরিষদ সদস্য আব্দুর জাহের।

এক ফেসবুক পোস্টে অভিযোগ করে জাহের বলেন,”নুরুল হক নুরের উপর হামলার আগে সেনাবাহিনী প্রধানের নিরাপত্তা অফিসার বিগ্রেডিয়ার শামস নুর ভাইকে ফোন দেয়, জাতীয় পার্টি এবং জিএম কাদেরের বিষয়ে কিছু না বলার জন্য বলে।”

“নুর ভাই স্পষ্ট করে বলে, জাতীয় পার্টি এবং ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান আগের মতই। তখন বিগ্রেডিয়ার শামস এটার ফল ভালো হবে না বলে নুর ভাইকে থ্রেট করে।”

এর কিছুক্ষণ পরেই আজকের হামলার মূল হোতা ক্যাপ্টেইন রাকিবের নেতৃত্বে আমাদের উপর হামলা শুরু হয়। নুর ভাই আমাদের কার্যালয়ের সামনে প্রেসব্রিফিংয়ে ছিল। সেনাবাহিনী এবং পুলিশ কোনপ্রকার কথা ছাড়াই নুর ভাইকে হ/ত্যা/র উদ্দেশ্যে হামলা করে।

আমাদের কার্যালয়ের ভিতরে আমাদের আসবাবপত্র ভাঙচুরের পাশাপাশি টয়লেট ভেঙ্গেও নেতাকর্মীদের উপর হা/ম/লা করে সেনাবাহিনী।

ওয়াকারের নিরাপত্তা অফিসার বিগ্রেডিয়ার শামস কার নির্দেশে আজ নুরুল হক নুরকে হুমকি দিয়েছে? জাতীয় পার্টির এবং জিএম কাদেরকে কার স্বার্থে প্রতিষ্ঠা করছে সেনাবাহিনী?

আজ নুরুল হক নুরের উপর আপাতত দৃষ্টিতে সেনাবাহিনীর হামলা করলেও মূলত পতিত সরকারই এই হামলার মাস্টার মাইন্ড।

লিখে রাখুন, আজ নুরুল হক নুর! কাল হাসনাত! পরশু আরেকজন।
এভাবেই পতিত সরকার ২৪এর প্রতিশোধ নিবে।