বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাম্প্রতিক চীন সফর শুধু কূটনৈতিক নয়—এই অন্তর্বর্তী সরকারের একটি বড় মাপের কৌশলগত সাফল্য। তিনি বলেন, এই সফরের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক পরিসরে বাংলাদেশের অবস্থান যে পাল্টেছে, তা আবারও স্পষ্ট হলো।
মঙ্গলবার ঠাকুরগাঁও শহরের কালীবাড়ি এলাকায় নিজ বাসভবনে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আওয়ামী লীগের আমলে চীন যে একতরফা নীতিতে একটি দলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা রক্ষা করছিল, এখন সেটি আর নেই। সরকারের পরিবর্তনের পর চীন তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করেছে—এবং এখন তারা দেশের সব রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে সংলাপে আগ্রহী। এটিই সঠিক কূটনীতি।”
তিনি চীনের সঙ্গে গভীর অর্থনৈতিক ও কৌশলগত সম্পর্ককে বাংলাদেশের সম্ভাবনার ‘নতুন দরজা’ বলে আখ্যায়িত করেন এবং বলেন, চীন ইতোমধ্যেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে—বাংলাদেশে তারা উৎপাদন, প্রযুক্তি এবং অবকাঠামো খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করবে। এটা বাংলাদেশের জনগণের জন্য নিঃসন্দেহে একটি আশাব্যঞ্জক বার্তা।
তিনি আরও জানান, ঈদের দিন ঢাকায় ঈদের নামাজ আদায় শেষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা জানিয়ে দলীয় নেতাদের নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়ে গিয়েছিলেন।
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে মির্জা ফখরুল বলেন, “ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত এই সরকার সত্যিকারের রাষ্ট্র সংস্কারে এগোচ্ছে। ছয়টি সংস্কার কমিশনের সুপারিশ পর্যালোচনা করে বিএনপি সুনির্দিষ্ট মতামত দিয়েছে। সরকারও আশ্বাস দিয়েছে, তারা এ বিষয়ে আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসবে।”
তিনি দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে বলেন, চলতি বছরই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আমরা আশাবাদী। তিনি বলেন, “এই নির্বাচন হবে একটি বদলে যাওয়া বাংলাদেশের ভিত্তি। যেখানে আর কোনো একদলীয় শাসনের জায়গা থাকবে না, বরং থাকবে জনগণের মতামতের শ্রেষ্ঠত্ব।”
এ সময় জেলা বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সকলে প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরকে এক ঐতিহাসিক কূটনৈতিক অর্জন বলে স্বীকৃতি দেন।

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?