আওয়ামী লীগকে আলাদাভাবে নিষিদ্ধ করার প্রয়োজন নেই, কারণ জনগণই ইতোমধ্যে তাদের রাজনৈতিকভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে—এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, “জুলাই আন্দোলনে শহীদদের রক্তের সঙ্গে কেউ যেন বেইমানি না করে, সে বিষয়ে জাতিকে সর্বদা সজাগ থাকতে হবে।”
সোমবার (৩১ মার্চ) পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়ের পর রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন জামায়াত আমির।
নামাজ শেষে শহীদ পরিবারগুলোর খোঁজখবর নেন তিনি এবং নিহত ও আহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে নিজেই মোনাজাত পরিচালনা করেন।
আন্দোলনে নিহতদের স্মরণ করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “১৬ বছর পর মানুষ শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ঈদ উদযাপন করছে। অথচ এখনও অনেক মা-বাবার চোখে অশ্রু ঝরছে, যারা তাদের সন্তান হারিয়েছেন। এই কান্নার জবাব দিতে হবে। যারা এর জন্য দায়ী, তাদের অবশ্যই কঠোর বিচার হওয়া প্রয়োজন।”
তিনি আরও বলেন, “ঈদের এই খুশির দিনেও অনেক পরিবার শোক বয়ে বেড়াচ্ছে। শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানি করার সুযোগ যেন কেউ না পায়। গণহত্যা, গুম, নির্যাতনের দায় আওয়ামী লীগ কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।”
জুলাই-আগস্টের গণআন্দোলনে নিহতদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একটি বৈষম্যহীন, ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন ডা. শফিকুর রহমান।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, জামায়াত আমিরের এই বক্তব্য রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জনগণের মধ্যে যে অনাস্থা সৃষ্টি হয়েছে, তা আরও একবার প্রতিফলিত হয়েছে জামায়াতের অবস্থানে। একইসঙ্গে, শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও তাদের রক্তের মর্যাদা রক্ষার বার্তা দিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তির মধ্যে ঐক্যের আহ্বানও তুলে ধরা হয়েছে।

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?